প্রথমেই বলতে চাই সরকার ত্রাণ দিয়ে সমস্যার মোকাবেলা করতে চাইছে যা সত্যি অনেক সুন্দর কাজ কিন্তু সরকার যে ভাবে ত্রাণ দিচ্ছে তাতে করোনা মোকাবেলায় তেমন কোন কাজেই দিচ্ছে না ,সাথেই দেখা যাচ্ছে কেউ সহযোগিতাও করছে না সরকার কে । সবাই দূর্নীতি করে সরকারের এতো বড় কার্যকম কেও প্রশ্নবিদ্ধ করছে , সাথেই এর যে কার্যকারিতা নষ্ট করে দিচ্ছে । তবে আমার দৃষ্টিতে এতে সরকারের পদ্ধতি গত কিছু ভুল আছে । কিছু প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে হবে,তা হলে আমরা এর ভুল এবং সমাধান পাবো ।
১। ত্রাণ কেন দিচ্ছে সরকার ??
ত্রাণ এই জন্য সরকার দিচ্ছে যারা গরীব তারা যেন করোনার সময় বাসায় বসে থাকে । বাস্তবে কি তাই হাচ্ছে ?? যারা ত্রাণ নিচ্ছে তারাই আবার বাহিরেও বেড় হয়ে ঘুরছে ।আমার দেখা অনেকেই ত্রাণ নিয়েছে কিন্তু আবার রিকশাও বেড় করেছে ।তা হলে লাভ কি হলো?
২।সরকার কি একা এই মহামারি মোকাবেলা করতে পারবে ???
সরকার একাই এই মহামারি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেই মূলত ব্যর্থ বেশি হচ্ছে । সরকারের উচিৎ ছিল সকল দায়িত্ব ভাগ ভাগ করে দিয়ে দেখা কে ভুল করছে আর কে ঠিক করছে । সব নিজেই করতে গেলে তো সমস্যা হবেই ।
৩। ত্রাণের প্রচার ভুল?
ত্রাণ কেন দিচ্ছে এইটা আজ পর্যন্ত সরকার জনগন কে বুঝাতে পারে নাই । বেশি ভাগ সময় আমার যেটা মনে হয়েছে এইটা করোনা উৎসব হচ্ছে । আর এই জন্য ত্রাণ দেওয়া হচ্ছে । আর সব চেয়ে বড় কষ্টের বিষয় সরকার শুধু বলছে আমি এতো ত্রাণ দিয়েছি এবং এতো নগদ টাকা দিয়েছি কিন্তু একবারও বলছে না কেন দিয়েছে এবং যারা ত্রাণ নিয়েছে সেই জনগনের দ্বায়িত্ব কি । আমার যা মনে হয়েছে সত্যি বলতে এইটাই বুঝানোর চেষ্টা করা হচ্ছে শুধু এই সরকার ত্রাণ দিচ্ছে ।আবার করোনার মধ্যে প্রচার দেখেন ঈদের উপহার । কোন মাথা মোটা এই বুদ্ধি দিয়েছিল? আপনারা করোনার মধ্যে ঈদের এমন প্রচার করবেন , আবার বলবেন ঈদে বাড়িতে যাওয়া যাবে না এইটা মানুষ মানবে?
সমস্যার সমাধানঃ
প্রথমে একটা বিষয় আমার মাথায় এখন পর্যন্ত যাচ্ছে না সরকার কি ভুলে গিয়েছে ৩০০ আসনে ৩০০জন এমপি আছে ।৩০০জন এপমির সাথে সরকার কেন কথা বলছে না ।৩০০জন এমপির মধ্যে ২৫৭ জন সরকার দলেরই তাও যদি সরকার নিজেই তাদের বিশ্বাস করতে না পারে , তা হলে জনগণের এমপি বানানোর কি দরকার ছিল ?? সরকার এই ৩০০জনের সাথে কড়া ভাষায় কথা বলে করোনা মোকাবেলা কি ভাবে করবে একটা নির্দেশনা কেন দিলো না? শুরুতেই ৩০০ আসনের এমপির সাথে কথা বলে তাদের দ্বায়িত্ব দেওয়া উচিৎ ছিল, সাথে এই ভাবে বলা উচিৎ ছিল এই করোনার সময় কোন ধরণের দূর্নীতি বা অযুহাত আমি শুনতে চাইনা। প্রধানমন্ত্রী নিজে এই ভাবে ফোনে কথা বলে দিলে ৭০% সমাধান হয়ে যেতো। কিছু কথা টিভিতে বলে যা হয়না ফোনে বললে তার থেকে ১০০গুণ বেশি ফলাফল পাওয়া যায় ,আর ৩০০জন এমপি নিয়ন্ত্রণ অরা যত সহজ দেশের ১৬কোটি মানুষকে নিয়ন্ত্রণ করা তার থেকে ৮০গুণ কঠিন। সাথেই তার আসনের যত ইউনিয়ন পরিষদ আছে সকল চেয়ারমান ও মেম্বারদের সাথে এমপিকে কথা বলার নির্দেশ দেওয়া উচিৎ ছিল। করোনার সময় তার ইউনিয়ন থেকে এবং মেম্বারদের ওয়ার্ড থেকে যেন কোন ব্যাক্তি বেড় না হয় এবং প্রতিটা মসজিদের ইমাম ও ওয়ার্ডের বিচার করে এমন ১০ জন ব্যাক্তিকে নিয়ে মেম্বার একটা ছোট কমিটি করবে এবং তারা দেখবে এই ওয়ার্ডের কোন কোন ব্যাক্তি এই ২০ দিন অথবা ৩০ তিন চলতে পারবে না, এমন পরিবারের একটা লিষ্ট এবং সাথেই ভোটার আইডির লিস্ট করবে । সাথেই সেই ওয়ার্ড থেকে এই নিদিষ্ট সময় পর্যন্ত যেন কোন ব্যাক্তি বেড় না হয় , এইটার দায়িত্ব তাদের নিতে হবে।তার পরে চেয়ারমান সাহেব এইটা ভেরিফাই করে এমপির কাছে পাঠাবে । প্রয়োজন হলে এমপি নিজেও এইটা ভেরিফাই করতে পারবে এবং কোথায়ও কোন সমস্যা মনে হলে তাদের থেকে জবাব চাইবে । তার পরে সেইটা উপরে পাঠিয়ে দিবে । সাথেই প্রয়োজন হলে সেই গ্রামের মাইকে বলে দিবে, যারা এই কয়দিন চলতে পারবে না তাদের জন্য যে টাকা টা দেওয়া হবে তার পরিমান এবং টিভিতে ও এই ভাবে বলে দিবে তা হলে তারা পাচ্ছে না কি নিজেরাও বুঝতে পারবে । সাথেই ওয়ার্ডের লিস্টে ১০ জন আলাদা ব্যাক্তি দ্বায়িত্বে থাকায় এইটা ভুল এবং দূর্নীতির সম্ভাবনা থাকবে না বললেই চলে ।এতো গুলো ব্যাক্তি যদি একত্রিত হয়ে দূর্নীতি করে , তা হলে বুঝবেন পৃথিবী ধ্বংসের আর কিছু সময় বাঁকি। এর পরেও কেউ দূর্নীতির কোন পথ বেড় করতে চাইলে সাথে সাথে শাস্তি দিতে হবে । তা হলেই এই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে । এই ভাবে ভাগ করে দিলে দুইটা সমস্যার সমাধান হবে ।
১। প্রকৃত ব্যাক্তি ত্রাণ পাবে ,
২। সাথেই একটা নিদিষ্ট সময় পর্যন্ত মানুষ নিজের অবস্থানে থাকবে ।
এখানে কিছু ব্যাক্তি হয়তো মানার চেষ্টা করবে না , তাদের জন্য প্রশাসন কে কাজে লাগাতে হবে । এখন যে ভাবে প্রশাসন মানুষকে সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে তখন তাদেরও এমন কষ্ট হতো না ।
বর্তমানে যা হচ্ছেঃ সরকার পানির মত দেশের অর্থ দিচ্ছে কিন্তু কোথায় যাচ্ছে সরকার খুজেও পাচ্ছে না । যে অর্থ এখন পর্যন্ত ব্যয় করেছে করোনা মোকাবেলায় সেই অর্থ এই ভাবে ব্যয় করলে এতো দিন বাংলাদেশ থেকে করোনা অনেক দূরে থাকতো।আর যারা এই ত্রাণ পাচ্ছে তারা নিজেরাও নিয়ে ঘুরে বাড়াচ্ছে ।এইটার ও সমাধান করা প্রয়োজন ছিল ।এখন পর্যন্ত যত টাকা বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানকে ও চাকরিজীবীদের দিয়েছে তার ৫০% যদি এই ভাবে মানুষ কে দিয়ে , সকল মানুষ কে একটা নিদিষ্ট সময় বাড়িতে রাখতে পারতো । আজ হিসাব করতে হতো না, কত জন্য করোনায় আক্রান্ত হয়েছে । ব্যয় ঠিকি হচ্ছে কিন্তু কাজে দিচ্ছে না । আর কষ্টের বিষয় সরকার নিজে একা একা ত্রাণ দেওয়া ও করোনা মোকাবেলা করতে গিয়েই বিপদে পরে যাচ্ছে । ছোট ছোট ভাগ ভাগ করে দ্বায়িত্ব দিলেই এইটার সমাধান হয়ে যেতো। কোন ব্যাক্তি যদি ওয়ার্ডে যেতে না পারে তা হলে সে নিজের অবস্থান পরিবর্তন করবে না ।তাই সর্ব প্রথম বন্ধ করতে হবে ওয়ার্ড। আর সরকার যদি হিঁয়ালি না করে কঠোর হয় , তা হলে কেউ ভয়েই আইন ভঙ্গ করবে না , এমন কি দূর্নীতি ও করবে না ।
সর্বশেষ বলতে চাই আমার দৃষ্টিতে মনে হচ্ছে এইটাই সমাধান । তবে আপনার দৃষ্টিতে হয়তো নাও হতে পারে । তবে আমার কোন ভুল হলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন ।