বিসিএস পরীক্ষার জন্য গ্রুত্বপূর্ণ একটা অধ্যায় । প্রতিটা বিসিএস পরীক্ষায় ২-৪টা প্রশ্ন হয়েছে এই অধ্যায় থেকে নৈতিকতা মূল্যবোধ ও সুশাসন বিষয়ে মোট মার্ক ১০ এর মধ্যে এই অধ্যায় থেকেই ২-৩টা প্রশ্ন হয়ে থাকে। এই অধ্যায় কম করে হলেও দুই -তিনটা বই থেকে পড়েন । বই ক্রয় করতে সমস্যা হলে বন্ধুদের থেকে কপি করে নেন অথবা অনালাইনে সার্চ করলে পিডিএফ ভার্সন বই পাবেন। 

সবাই এই অধ্যায়ের কুইজ প্যাকটিস করবেন।


৪১তম বিসিএস পরীক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ সাজেশন -মূল্যবোধ শিক্ষা ও সুশাসনের সংজ্ঞা-  ২-৪ মার্ক কমন পাবেন

বিগত পরীক্ষায় এই অধ্যায় থেকে প্রশ্ন এসেছেঃ

৩৫ তম বিসিএস-৩টা

৩৬তম বিসিএস-৪টা

৩৭তম বিসিএস-১টা

৩৮তম বিসিএস- ২টা

৪০তম বিসিএস-৩ টা


নৈতিকতা মূল্যবোধ ও সুশাসন

মূল্যবোধ শিক্ষা ও সুশাসনের সংজ্ঞা

পরীক্ষার তারিখঃ 21 -12-2019

পরীক্ষার সময়ঃ রাত ৮.০০টা থেকে ১২.০০টা

পরীক্ষা দিতে পারবেন www.studyonlinebd.com অথবা Android app: Jobs Exam Alertএর মাধ্যমে

কি ভাবে পেইড মেম্বার হতে পারবেন নিচের ভিডিওতে দেখতে পাবেনঃ 


এই অধ্যায়ের গ্রুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তরঃ 


● নৈতিকতা হচ্ছে নীতিঘটিত বা নীতি সংক্রান্ত বিষয় বা মুলনীতি, সৎনীতি বা উৎকর্ষ নীতিকে ধারণ করে।

● নৈতিকতা হলো একটি গুণ যা ভালো আচারণ অথবা মন্দ অাচার, স্বচ্ছতা, সততা ইত্যাদির সাথে সম্পর্কিত।

● নৈতিকতা হলো সমাজ কর্তৃক স্বীকৃত আচারণবিধি।

● জেনাথান হ্যাইট বলেছেন, “ধর্ম, ঐতিহ্য এবং মানব অাচারণ এ তিনটি থেকেই নৈতিকতার উদ্ভব ঘটতে পারে।

● নৈতিকতার উদ্দেশ্য সৎ ও ন্যায়বান মানুষ সৃষ্টি করে সমাজ ও রাষ্ট্রীয় করে সমাজ ও রাষ্ট্রীয় জীবনের সার্বিক উন্নতি সাধন এবং নীতিবোধ প্রতিষ্ঠা করা।

● নৈতিক শিক্ষা শুরু হয় পারিবারিক ভদ্রতা, শিষ্টাচার, সততা, ন্যায়পরায়ণতা, নিয়ম-নিষ্ঠা, সহনশীলতা ইত্যাদি দ্বারা।

● প্লেটো, এরিস্টটলের সময়ে আইনসমূহ নীতিশাস্ত্রের ওপর প্রতিষ্ঠিত ছিল।


● ভালো-মন্দ, ঠিক বেঠিক, কাঙ্ক্ষিত-অনাকাঙ্ক্ষিত বিষয় সম্পর্কে সমাজের সদস্যদের যে ধারণা তার নামই মূল্যবোধ।

● মূল্যবোধ হলো সেসব রীতিনীতির সমষ্টি, যা ব্যক্তি সমাজের নিকট হতে পেতে চায় এবং যা সমাজ ব্যক্কির নিকট হতে লাভ করে।

● মূল্যবোধ ক্রমশ পরিবর্তনশীল।

● মূল্যবোধ স্থান কাল পাত্রভেদে বিভিন্ন রূপ পরিগ্রহ করে।

● মূল্যবোধ মানুষের আচার আচারণ নিয়ন্ত্রণ করার সামাজিক মানদণ্ডস্বরূপ।

● মূল্যবোধ সমাজের যোগসূত্র ও সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করে।

● বুদ্ধিবৃত্তির মূল্যবোধ বলতে কোনো বিষয়কে বাস্তবিকভাবে বোঝার সামর্থ্যকে বোঝায়।

● সামাজিক মূল্যবোধ হলো সমাজিক শিষ্টাচার, সততা, সত্যবাদিতা, ন্যায়বিচার, শৃঙ্খলাবোধ, আতিথেয়তা ইত্যাদি।

● রাজনৈতিক মূল্যবোধ যদি গণতান্ত্রিক হয় তবে ঐ রাষ্ট্র এবং সমাজ গণতান্ত্রিক সমাজ বা রাষ্ট্রে পরিণত হবে।

● নাগরিকের জীবন রক্ষার জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণ হলো গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ।

● গণতন্ত্র হলো জনগণের শাসন।

● গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের ধারণা হলো জাতি, ধর্ম, বর্ণ, নারী, পুরুষের নির্বিশেষে প্রত্যেকের জন্য সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, ব্যক্তিগত ও অর্থনৈতিক সাম্যের প্রতি সম্মান ও  কার্যকর করতে বাস্তব পদক্ষেপ গ্রহণ করা।

● গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের দৃষ্টিতে রাষ্ট্র হলো জনগণের।

● দার্শনিক জন স্টুয়ার্ট মিল গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার সাফল্যের জন্য তিনটি শর্ত উল্লেখ করেছেন।

● গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থাকে গহণ করার ইচ্ছা ও সামর্থ্য জনগণের থাকা প্রয়োজন।

● ব্যক্তিগত অধিকার সংরক্ষণের জন্য জনগণকে সদা সতর্ক থাকতে হবে।

● গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের চর্চা দ্বারা দায়িত্বশীল শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়।

● গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ নাগরিকের মর্যাদাকে বৃদ্ধি করে।

● মূল্যবোধ হলো সমাজ ও রাষ্ট্রের ভিত্তি।

● সুশাসন হলো জনগণের অংশগ্রহণ, আইনের শাসন, স্বচ্ছকা, জনমত, সমতা, দক্ষতা, দায়িত্বশীলতা, স্বচ্ছ ও অবাধ তথ্যপ্রবাহ।

● আইনের শাসন হচ্ছে সুশাসন ও মূল্যোধের অন্যতম উপাদান।

● দায়িত্বশীলতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত জলে সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হবে।

● নৈতিকতা শব্দটি ইংরেজি Ethics শব্দের বাংলা প্রতিশব্দ।

● Ethics শব্দটির উৎপত্তি গ্রিক Ethica শব্দ থেকে।

● Ethics শব্দের বাংলা অর্থ হলো আচার ব্যবহার বা চরিত্র বা রীতিনীতি বা অভ্যাস।

● শাব্দিক অর্থে নৈতিকতাকে মানুষের রীতিনীতি বা আচার ব্যবহারেই বোঝায়।


● এরিস্টটল বলেছেন, “সুন্দর জীবনের স্বার্থেই অাইন বিদ্যমান থাকে।

● রাষ্ট্রবিজ্ঞানীদের মতে, আইন ও নৈতিকতার উৎপত্তিস্থল অভিন্ন।

● আইনের উদ্দেশ্য সৎ ও ন্যায়বান মানুষ সৃষ্টি করে সামাজ ও রাষ্ট্রীয় জীবনে সার্বিক উন্নতি সাধন এবং নীতিবোধ প্রতিষ্ঠা করা।

● আইন ও নৈতিকতার আলোচ্য বিষয় মানুষ ও সমাজ।

● আইনের সাফল্য নির্ভর করে মূলত নীতিবোধের ওপর।