৪৩তম বিসিএসের আবেদনের সময়সীমা আবার বাড়ছে। পিএসসি বলছে, এখনো অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক পর্যায়ের ফাইনাল পরীক্ষা শেষ হয়নি। তাই সবার কথা বিবেচনা করে ৪৩তম বিসিএসের আবেদনের সময়সীমা বাড়ানো হবে
সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)
সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)
ছবি: সংগৃহীত

৪৩তম বিসিএসের আবেদনের সময়সীমা বাড়ছে। বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) বলছে, এখনো অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক পর্যায়ের ফাইনাল পরীক্ষা শেষ হয়নি। তাই সবার কথা বিবেচনা করে ৪৩তম বিসিএসের আবেদনের সময়সীমা বাড়ানো হবে। তবে সময় কত দিন বাড়ছে, তা জানা যায়নি। এ নিয়ে এই বিসিএসের আবেদনের সময়সীমা দুই দফায় বাড়ছে।

৪৩তম বিসিএস আবেদনের সময় আগামী ৩১ জানুয়ারির পরিবর্তে ৩১ মার্চ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়। তাতে বলা হয় প্রার্থীরা এই সময়ের মধ্যে অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।

৪৩তম বিসিএসের বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশনের (পিএসসি) চেয়ারম্যান সোহরাব হোসাইন আজ রোববার প্রথম আলোকে বলেন, ৪৩তম বিসিএসের আবেদনের সময় বাড়ানো হবে। যেহেতু অনেক প্রতিষ্ঠান স্নাতক পর্যায়ের ফাইনাল পরীক্ষা শেষ করতে পারেনি। সবার সমান অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার জন্য কমিশন সভায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সেখানেই সবার মতামত নিয়ে কত দিন বাড়ানো হবে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

৪৩তম বিসিএসে আবেদনের সময় বাড়ছে
৪৩তম বিসিএসে আবেদনের সময় বাড়ছে
ছবি: সংগৃহীত

৪৩তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এ বিসিএসে বিভিন্ন ক্যাডারে ১ হাজার ৮১৪ জন কর্মকর্তা নেওয়া হবে। এর মধ্যে প্রশাসন ক্যাডারে ৩০০ জন, পুলিশ ক্যাডারে ১০০ জন, পররাষ্ট্র ক্যাডারে ২৫ জন, শিক্ষা ক্যাডারের জন্য ৮৪৩ জন, অডিটে ৩৫ জন, তথ্যে ২২ জন, ট্যাক্সে ১৯ জন, কাস্টমসে ১৪ জন ও সমবায়ে ১৯ জন নিয়োগ দেওয়া হবে।

প্রিলিমিনারি পরীক্ষার নম্বর বণ্টন

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রার্থীকে ২০০ নম্বরের প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। পরীক্ষার সময় ২ ঘণ্টা। প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় ২০০টি প্রশ্ন থাকবে। প্রার্থী প্রতিটি শুদ্ধ উত্তরের জন্য ১ নম্বর পাবেন। তবে ভুল উত্তর দিলে প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য প্রাপ্ত মোট নম্বর থেকে দশমিক ৫০ (শূন্য দশমিক পাঁচ শূন্য) নম্বর কাটা যাবে। প্রিলিমিনারির বিষয়ভিত্তিক সিলেবাস পিএসসির ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।
 প্রিলিমিনারি পরীক্ষার বিষয় ও নম্বর বণ্টন
 বাংলা ভাষা ও সাহিত্য ৩৫, ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য ৩৫, বাংলাদেশ বিষয়াবলি ৩০, আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি ২০, ভূগোল (বাংলাদেশ ও বিশ্ব), পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ১০, সাধারণ বিজ্ঞান ১৫, কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি ১৫, গাণিতিক যুক্তি ১৫, মানসিক দক্ষতা ১৫, নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সুশাসন ১০ নম্বরের ওপর পরীক্ষা হবে।
 পরীক্ষাকেন্দ্র
 প্রিলিমিনারি ও লিখিত পরীক্ষা ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, রংপুর ও ময়মনসিংহ কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে।
 এর আগে ৪৩ তম বিসিএস পরীক্ষার আবেদনের সময়সীমা আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত বাড়ানোর অনুরোধ জানিয়ে সরকারি কর্ম কমিশনকে (পিএসসি) চিঠি দিয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।
 করোনাভাইরাসের কারণে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে বন্ধ রয়েছে। এ অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের চূড়ান্ত (সেমিস্টার) পরীক্ষা নির্ধারিত সময়ে নেওয়া সম্ভব হয়নি। পরীক্ষা সময়মতো না হওয়ায় অনেক শিক্ষার্থী ৪৩ তম বিসিএসে আবেদন করতে পারবেন না। এরই মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় স্নাতক পরীক্ষা শুরু হয়েছে। সেই সময় ৪৩ তম বিসিএস পরীক্ষার আবেদনের সময়সীমা বাড়াতে পিএসসিকে অনুরোধ জানিয়ে চিঠি দিয়েছিল ইউজিসি।
 গত ১৩ ডিসেম্বর ইউজিসি চেয়ারম্যানের সভাপতিত্বে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উপাচার্যদের সঙ্গে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের সেমিস্টারের চূড়ান্ত পরীক্ষা স্বাস্থ্যবিধি মেনে গ্রহণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। ওই সভাতেই বিসিএস পরীক্ষার আবেদনের সময় বৃদ্ধির ব্যাপারে পদক্ষেপ নিতে ইউজিসিকে অনুরোধ জানানো হয় উপাচার্যদের পক্ষ থেকে। ইউজিসিও তাতে একমত পোষণ করেছিল। এরপরই ৪৩ তম বিসিএস পরীক্ষার আবেদনের সময়সীমা দুই মাস বাড়ানোর অনুরোধ জানিয়ে পিএসসিকে চিঠি দিয়েছিল ইউজিসি। এখন আবেদনের সময় ৩১ জানুয়ারির পরিবর্তে আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে।

সুত্রঃ প্রথম আলো