এক নজরে বাজেট ২০২০-২০২১
বাজেট- ৫০ তম ( একটি অন্তবর্তীকালীন বাজেট সহ ৫০ তম বাজেট)
বাংলাদেশের ৪৯ তম বাজেট
অর্থমন্ত্রী হিসেবে মোস্তফা কামালের ২য় বাজেট।
আওয়ামী লীগ সরকারের টানা ১২তম বাজেট এবং সব মিলিয়ে ২০ তম বাজেট।
স্লোগান- ‘অর্থনৈতিক উত্তরণ: ভবিষ্যৎ পথ পরিক্রমা’।
উত্থাপনকারী- আ.হ.ম মোস্তফা কামাল (অর্থমন্ত্রী)।
বাজেট উপস্থাপন করা হয়ঃ বৃহস্পতিবার (১১ জুন ২০২০)
এটি সংসদে পাস হবে ৩০ জুন ২০২০।
এটি কার্যকর হবেঃ ১ জুলাই ২০২০ থেকে
বাজেটের আকার- ৫৬৮০০০ কোটি (পাঁচ লাখ আটষট্টি হাজার কোটি টাকা) এটি জিডিপির ১৭ দশমিক ৯ শতাংশ)
সর্বোচ্চ বরাদ্দঃ শিক্ষা ও প্রযুক্তিতে ৮৫ হাজার ৭৬২ কোটি টাকা।
করমুক্ত আয়সীমাঃ ৩,০০,০০০ টাকা (পুরুষ) আর মহিলা ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা।। এর পরবর্তী ১ লাখ টাকা পর্যন্ত মোট আয়ের ওপর কর ধরা হয়েছে ৫ শতাংশ।
রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৭৮ হাজার ৩ কোটি টাকা। এটি জিডিপির ১৩ দশমিক ১ শতাংশের সমান।
বাজেটে ঘাটতি- ১ লক্ষ ৮৯ হাজার ৯৯৭ কোটি টাকা। ( যা জিডিপির ৬ শতাংশ)
জিডিপির আকার ৩১ লাখ ৭১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা।
জিডিপির প্রবৃদ্ধির হার নির্ধারণ- ৮.২%
মুদ্রাস্ফিতির হার- ৫.৪%
বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (ADP) তে বরাদ্দ- ২ লক্ষ ৫ হাজার ১৪৫ কোটি টাকা।
করোনা মোকাবিলায় থোক (জরুরী) বরাদ্দঃ ১০ হাজার কোটি টাকা।
সামাজিক নিরাপত্তা খাতে ৯৫ হাজার ৫৭৪ কোটি টাকা
অর্থের উৎসঃ
১. এনবিআর থেকে ৩ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা।
২. কর বহির্ভুত আয় ৩৩ হাজার কোটি টাকা।
৩. এনবিআর বহির্ভুত আয় ১৫ হাজার কোটি টাকা।
৪. ব্যাংক থেকে ৮৫ হাজার কোটি টাকা (আগের দ্বিগুন)।
৫. সঞ্চয়পত্র ও অন্যান্য মিলিয়ে ২৫ হাজার কোটি টাকা।
৬. বিদেশি ঋণ থেকে ৭৬ হাজার কোটি টাকা।
আরো কিছু গুরুত্বপুর্ণ তথ্য যা বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় আসতে পারেঃ
স্বাস্থ্যখাতে বরাদ্দ ৪১ হাজার ২৭ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে ১৫ হাজার ৬৯১ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
পদ্মাসেতুতে বরাদ্দ ৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
পরিবহন ও যোগাযোগ খাতের জন্য মোট ৬৪ হাজার ৫৮০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
বাজেটে ক্রীড়া খাতে ২৩৩ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
নিত্যপণ্যের উৎসে আয়কর কমিয়ে ২ শতাংশের প্রস্তাব করা হয়েছে।
ভাতার আওতায় আসবেন আরও সাড়ে ৩ লাখ বিধবা
আরও ৫ লাখ দরিদ্র প্রবীণ আসছেন বয়স্ক ভাতার আওতায়
বিদ্যুৎ বিভাগ এবং জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের জন্য বাজেটে ২৬ হাজার ৭৫৮ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে
স্বাধীন বাংলাদেশে ১৯৭২ সালে তাজউদ্দীন আহমদ ৭৮৬ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করেন।
সর্বোচ্চ ১২টি বাজেট দেওয়ার রেকর্ড রয়েছে বিএনপির প্রয়াত অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমান ও আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের।
বাজেটে যেসব পণ্যের দাম বাড়বেঃ
আমদানি করা পেঁয়াজ, এয়ারকন্ডিশনার, প্রসাধনী সামগ্রী, মোবাইল ফোন সেবা খরচ, ইন্টারনেট সেবা, বিড়ি ও সিগারেট, আলোকসজ্জা সামগ্রী, গাড়ি রেজিস্ট্রেশন খরচ, গাড়ি, শ্যাম্পু, চকলেটসহ বিদেশি টিভি, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত লঞ্চের টিকিট খরচ, চার্টার্ড ফ্লাইট ও হেলিকপ্টার ভাড়া, হাতে তৈরি খাবার, গুঁড়া দুধ, রং, অনলাইন খাবার, অনলাইন কেনাকাটা, সোডিয়াম, সালফেড, আয়রন স্টিল, স্ক্রু, বার্নিস, বাইসাইকেল, কম্প্রেসার শিল্পে ব্যবহৃত উপকরণ, বিদেশি মোটরসাইকেল বডি স্প্রে, স্মার্টফোন, ফলের জুস, বোতলজাত পানি, আমদানি করা অ্যালকোহল, কোমল পানীয় পলিথিন ব্যাগের দাম প্রস্তাবতি বাজেট বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।
বাজেটে যেসব পণ্যের দাম কমবেঃ
স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী, কৃষি উৎপাদনে ব্যবহৃত বিভিন্ন যন্ত্রপাতি, হ্যান্ড গ্লাভস, পিপিই, আইসিইউ যন্ত্রপাতি, ওষুধ এবং কৃষি কাজে ব্যবহারে হস্তচালিত কৃষি যন্ত্রপাতি, চিনি, পাদুকা শিল্প ও টেক্সটাইল ফেব্রিস, প্যারাফিন ওয়াক্স, হস্তচালিত কৃষি যন্ত্র, বৈদ্যুতিক সিগন্যালিং পণ্য, ইথিলিন বা প্রোপিলিন, আর্টিফিশিয়াল গার্টস, কৃষিপণ্য রোলার চেইন, বল-বেয়ারিং, এমএস সিট, গিয়ার বক্স ও পার্টস, টায়ার-টিউব, মর্টার, ফটো সেনসেটিভ প্লেট, লুব্রিকেট বা কাটিং ওয়েল এবং বিটুমিন মিনারেল ওয়েল এর দাম প্রস্তাবতি বাজেট কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।