আগেও আমি বলেছি এই বিষয়ে কথা , সরকার কিছু পদক্ষেপ নিলেও বর্তমান অবস্থা দেখে বুঝায় যাচ্ছে এই পদক্ষেপে কাজ হবে না । একটা দেশের অভিভাবক সরকার তাই বর্তমান অবস্থায় আরো বেশি কঠোর হতে হবে , না হলে দিন দিন দেশের অবস্থা খারাপের  দিকেই যাবে । দেশের বর্তমান অবস্থা ভাল না । অনেকে অন্যদেশের সাথে তুলনা করে বলছে বাংলাদেশ অনেক ভাল আছে কিন্তু আক্রান্ত দেশ গুলোর বিশ্লেষণ করে তারা দেখছে না । আমাদের পাশের দেশ ভারতের অবস্থাও শুরুতে আমাদের মত ছিল কিন্তু বর্তমান অবস্থায় বিশ্বে ২০তম করোনা আক্রান্ত দেশ হতে চলেছে । আগে যেখানে দিনে আক্রান্ত ১০০ জন হতো এখন সেখানে ১০০০ বেশি হচ্ছে । তার মানে দিনে দিনে বাংলাদেশের অবস্থাও খারাপ হতে চলেছে ।বাংলাদেশের সরকার অনেক পদক্ষেপ নিলেও দেশের জনগণের অসচেতনার জন্য দেশে করোনা বেশি হচ্ছে । দেশের বৃহৎ স্বার্থে এবং দেশের জনগণের নিরাপত্তার জন্য আরো কঠোর হতে হবে।দেশের ৮০% মানুষ সব কিছু মেনে চললেও দেশের ২০% না মানায় এর ফলাফল শূণ্য হয়ে যাচ্ছে । এখনও অনেক গ্রামে ঢাকা থেকে নারায়ণগঞ্জ থেকে মানুষ প্রবেশ করছে ,  এমন কি প্রায় ৭০%  জেলাতে করোনা আক্রান্ত রোগী পাওয়ার পরেও যদি সরকার কঠোর না হয় ।  এই সমস্যার জন্য চরম মূল্য দিতে হবে । সরকার প্রায় আজে ২৭ দিন ধরে সব কিছু বন্ধ করেই রেখেছে কিন্তু কঠোর না হওয়ায় আক্রান্ত প্রতিদিন বেড়েই চলেছে ।এই ভাবে যদি চলতে থাকে দেশের অবস্থা কি হবে এইটা উন্নত বিশ্বকে দেখলে বুঝতে পারবেন । মাত্র ৬০০-৮০০ জন করোনা রোগী নিয়ে আমরা অনেক চাপে আছি , তা হলে এই সংখ্যা ৬০ হাজারে গেলে কি হবে?? সময় থাকতে আমার দৃষ্টিতে সরকার কে আরো কঠোর হতে হবে , না হলে পরিনাম অনেক খারাপ হবে। যেহেতু আমরা জানি না এখন করোনা কোন গ্রামে আছে আর কোন গ্রামে নাই ।তাই আমাদের উচিৎ হবে প্রতিটা গ্রামেই গ্রুত্ব দেওয়া। ২৭ দিন কিন্তু চলে গিয়েছে এই ভাবে চলতে থাকলে ৬ মাসেও সমাধান সম্ভব না ।দেশের ২৭ দিনের ক্ষতি হয়েছে আরো ৬মাস যদি এই ভাবে ক্ষতি হয় তা হলে অবস্থা এতো খারাপ হবে যা থেকে আমরা উঠে দাড়াতে পারবো না । লক্ষ্ণ ১৫  দিনের মধ্যেই  পাওয়া যায় , তা হলে আর ২০% কঠোর না  হয়ে , কেন আমরা মাসের পর মাস দেশের জনগণ কে বিপদে ফেলে দিচ্ছি। প্রয়োজন প্রতিটা গ্রামে টিম এবং সবার সহযোগিতা । এই জাতিকে ক্ষমতা না দেখালে এই সব কথা কোন ভাবেই মাথায় নিবে না । এই ২৭ দিন কিন্তু ৮০% মানুষ মেনে চলেছে কিন্তু ২০%  মানুষ না মানায় সমস্যা বেড়েই যাচ্ছে , ফলে ফলাফল শূণ্য।  সরকার চাইলে এই টিমের মাধ্যমে অসহায় মানুষ কে সাহায্য করতে পারবে । 

বর্তমান অবস্থায় যে পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারেঃ

১। ১৫ দিন পর্যন্ত কারফিউ জারি । কোন ব্যাক্তি ১৫ দিন পর্যন্ত বাড়ি থেকে বের হতে পারবেনা । যে যেখানে আছে ১৫ দিন সেই খানেই অবস্থান করবে ।

২ । প্রতিটা গ্রামের প্রাথমিক শিক্ষক এবং মসজিদের ইমাম এসব দেখভালের দ্বায়িত্বে থাকবে। ঐ গ্রামের যা কিছু প্রয়োজন তারা একটা টিম করে নিরাপদে বাসায় পাঠিয়ে দিবে ।এই ক্ষেত্রে গ্রামের তরুণরা-যুবকরা সরকার কে সাহায্য করবে।

৩ । সেনাবাহিনী , বডারগার্ড , পুলিশ , আনসার সহ সকল বাহিনীর সদস্য প্রতিটা গ্রামে ক্যাম্প করবে যাতে কেউ আইন ভঙ্গ করতে না পারে । এছাড়া তারা বিভিন্ন বিষয়ে তদারকি করবেন। একটা গ্রামে ৫জন সদস্য থাকে তা হলে কেউ ভয়ে বাড়ি থেকেই বের হবে না।

৪। জেলা প্রশাসাক সহ টিএনও , ইউএনও , বিসিএস ক্যাডার সহ সকল উচ্চ পদস্থ ব্যক্তির অধীনে একটা করে ইউনিয়ন পরিষদের দ্বায়িত্ব দিতে হবে । তারা সেই ইউনিয়নের সকল ওয়ার্ড পরিচালনা করবে ।  

৫। যে কোন রোগী বা করোনা আক্রান্ত কোন ব্যক্তির সন্ধান পাওয়া মাত্র বিশেষ নিরাপত্তা দিয়ে হাঁসপাতালে নিয়ে আসতে হবে ।

৬। এভাবে ১৫ দিন পরিচালনা করতে পারলে করোনা সংক্রমণ ০% নিয়ে আসা যাবে ।

৭। যখন দেখা যাবে আমাদের দেশে করোনা আক্রান্ত সংখ্যা নাই , তখন বিদেশ থেকে যে কেউ আসলে তাকে সরকার নিজ দ্বায়িত্তে ১৫ দিন কোয়ারেন্টাইনে রাখবে । তা হলে নতুন করে আর রোগী আমাদের দেশে আক্রান্ত হবে না ।

৮। আমরা বাহিরের দেশের সাথে যোগাযোগ না করতে পারলেও, ১৫ দিন পরে নিজেদের সকল কিছু সচল করতে পারবো। আমাদের দেশের সকল কিছু স্বাভাবিক ভাবে চলবে ।

বর্তমানে সরকার যা করছে তাতে আমাদের ক্ষতি কি কি হচ্ছে তা দেখুন নিচের তালিকায়ঃ

১। শিক্ষা বন্ধঃ যদিও সরকার ২৫ তারিখ পর্যন্ত বন্ধ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করেছে কিন্তু ২৫ তারিখে স্বাভাবিক হবে এমন লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না ।

২।এখনও মানুষ কোন চিন্তা ভাবনা ছাড়ায় নিজের  মত চলছে ,অনেকে গ্রামে গিয়ে আরো বেশি মানুষকে আক্রান্ত করছে । গ্রামের মানুষ অসচেতন বেশি , ফলে করোনার বিস্তার আরো বেশি হচ্ছে ।

৩। বর্তমানে অর্থনৈতিক যে ক্ষতি হচ্ছে তা যদি আরো ৬ মাস চলে তা হলে দেশের মানুষকে রক্ষা করা কঠিন হয়ে যাবে । তাই আমরা যদি ৬ মাসের ক্ষতিকে ১৫ দিনে করে স্বাভাবিক হতে পারি । আমার দৃষ্টিতে এটাই আমাদের জন্য ভাল ।

৪। আমরা কিন্তু দেশের ৮০% দেশের সব কিছু বন্ধ করেই দিয়েছি, তা হলে আর ২০% কঠোর হয়ে  যদি ১৫ দিন পরে আমরা ১০০% নিরাপদ হয় তা হলে আমার দৃষ্টিতে অনেক ভাল হয় ।

সরকারের কাছে বিশেষভাবে অনুরোধ করবো বিষয়টা নিয়ে ভাবার জন্য এবং আপনাদের সবাইকে অনুরোধ করবো বিষয়টা বিশ্লেষণ করার। যদি আমার আইডিয়া ভাল লাগে এবং বিশ্লেষণ আপনার পছন্দ হয় তাহলে আপনার পরিচিত উচ্চ পদস্থ কোন কর্মকর্তা থাকলে আলোচনা করতে পারেন । সাথে আপনাদের ও তাঁদের মতামত যোগ করতে পারেন। আমাদের Jobs Exam Alert App এর ব্যবহারকারী ৪ লাখ ৪৪ হাজার এর মধ্যে অনেকেই আছেন এমন পরিবার থেকে যারা এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার ক্ষমতা রাখেন। দয়া করে বিষয়টা আলোচনা করে দেখবেন।

বাংলাদেশ নিরাপদ হোক, আমরা নিরাপদে থাকতে চাই।

লিখেছেনঃ জবস এক্সাম অ্যালার্ট এর  প্রতিষ্ঠাতা এনামুল হক ।