এইটা পড়ার আগে একবার ভাবেন বাংলাদেশেও কি বর্তমানে তাই হচ্ছে না???? আজকের অবস্থা দেখছেন ৫০ হাজার মানুষ ফেরি ঘাটে , ৮০০ মানুষ লঞ্চে ।সবাই ঢাকা থেকে বাড়ির পথে দৌড়াদৌড়ি । ভাইরাস এই ভাবেই বিস্তার লাভ করে। বাংলাদেশের মানুষ কতটা উদাসীন। বর্তমানে সবার উচিৎ আপনি যেখানে আছেন , সেই খানেই অবস্থান করা যাতে কারো মধ্যে ভাইরাস প্রবেশ করলেও যেন অন্যজন আক্রান্ত না হয় ।এই হাজার হাজার মানুষের ভিরে ৪-৫ রোগী গেলে কি হবে একবার ভাবছেন আপনারা ?? প্রতিটা গ্রামে এই রোগ বিস্তার লাভ করবে ফলে আমরা করোনা মুক্ত না হয়ে, করোনায় যুক্ত হতে চলেছি।
ইতালিতে মৃত্যুর মহামারি লেগেছে। বাতাসে শুধু লাশের গন্ধ। আপাতত মৃত্যুনগরী সেই দেশ। কিন্তু কীভাবে এমন ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখে পড়লো ইতালি? ভয়ঙ্কর সেই অভিজ্ঞতা শোনালেন সে দেশের এক শিক্ষক।
তার মতে করোনা ভাইরাস নিয়ে ইতালি সরকারের উদাসীন মনোভাবই এর প্রধান কারণ। তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে জনসাধারণের চরম উদাসীনতা।
লকডাউনের গুরুত্ব না বুঝে ইতালিতে সকাল-বিকাল আড্ডা দিতে বেরিয়েছেন অনেকেই। তাদের ধারণা ছিলো একটু বেরোলে কী আর এমন হবে। আবার অ্যাডভেঞ্চারের নেশাতেও অল্পবয়সীরা বেরিয়ে পড়ছেন ঘরের বাইরে।
ইতালির মানুষের তখন মনে হয়েছিলো- চীন তো অনেক দূরে! আর এই অবহেলায় এখন ইতালিকে করেছে মৃত্যুনগরী।
এই বিষয়টি জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দক্ষিণ ইতালি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক পিঙ্কি সরকার বলেন, জানুয়ারিতে করোনা ভাইরাসকে কেউ সেভাবে পাত্তা দেয়নি। বুঝতেই পারেনি রোগের গুরুত্ব। ফলে সংক্রমণ ছড়াতে ছড়াতে এমন জায়গায় পৌঁছে যায় যে, বিনা নোটিশে স্কুল-কলেজ বন্ধ করে দেওয়া হয়। তাতে সবাই ছুটির মুডে টাইমপাস করতে থাকেন রেস্তোরাঁ, শপিং মল, বাজার-হাটে। কার্ফু জারির পরেও সবাই ভেবেছিলেন ঠিক হয়ে যাবে।
অথচ মাত্র এক মাসের মাথায় ইতালিতে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৬০ হাজারের মতো মানুষ। আর মৃতের সংখ্যা ৬ হাজারেরও বেশি।
তাই ইতালির প্রধানমন্ত্রী জুসেপ্পে কন্তের কণ্ঠে হতাশা ও ভেঙে পড়ার সুর।
টুইটারে তিনি বলেছেন, আমরা সমস্ত নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছি। আমরা শারীরিক ও মানসিকভাবে মারা গেছি। আর কী করতে হবে তা আমরা জানি না। পৃথিবীর সমস্ত সমাধান শেষ হয়ে গেছে। তার এ বক্তব্য বিশ্ববাসীকে নাড়া দিয়েছে।