ছয় ব্যাংক ও দুই আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা পদে সমন্বিত নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা নেওয়ার পর চূড়ান্ত ফলও তৈরি হয়েছে। তবে পরীক্ষা নেওয়া প্রতিষ্ঠান দুই হাজার ৫০০ পরীক্ষার্থীর খাতা হারিয়ে ফেলায় নতুন করে আবারও পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটি সচিবালয়।
গত ২৫ মে ছয় ব্যাংক ও দুটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের এক হাজার ২২৯টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা পদে নিয়োগের লক্ষ্যে আহসানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় লিখিত পরীক্ষা গ্রহণ করে। দেড় মাস পর গতকাল বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে ব্যাংকার্স সিলেকশন সচিবালয় জানায়, অনিবার্য কারণবশত লিখিত পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। আগামী ২ আগস্ট ফের লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হবে। যাঁরা প্রিলিমিনারি উত্তীর্ণ হয়েছেন কেবল তাঁরাই পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন।
তবে পুনরায় পরীক্ষার সিদ্ধান্তকে প্রহসন উল্লেখ করে চাকরি প্রত্যাশীরা বলছেন, পরীক্ষা নেওয়া প্রতিষ্ঠানের গাফিলতির মাসুল চাকরি প্রত্যাশী বেকাররা দিতে পারে না। বিষয়টি প্রহসন ও অনৈতিক। তবে ব্যাংকার্স সিলেকশন সচিবালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতেই ফের পরীক্ষা নেওয়া হবে। দুই হাজার ৫০০ পরীক্ষার্থীর খাতা হারিয়ে যাওয়ার বিষয়টি সন্দেহজনক। সূত্র জানায়, টেন্ডারের মাধ্যমে ছয় ব্যাংক ও দুই আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ পরীক্ষা নেওয়ার দায়িত্ব পায় আহসানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। চুক্তি অনুযায়ী, প্রিলিমিনারি ও লিখিত পরীক্ষা সম্পন্ন করে ফলাফলও তৈরি করে তারা। কিন্তু দুই হাজার ৫০০ জন পরীক্ষার্থীর লিখিত পরীক্ষার খাতা দেখাতে পারেনি। আহসানউল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরনো একাডেমিক খাতার সঙ্গে চাকরি প্রত্যাশীদের লিখিত পরীক্ষার খাতা সের দরে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। যারা খাতা কিনেছে তাদের সঙ্গেও যোগাযোগ করে সেই খাতা পুনরুদ্ধার করা যায়নি। তবে তাদের এই ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট হতে পারেনি ব্যাংকার্স সিলেকশন সচিবালয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ও সরকারি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের জরুরি বৈঠকে ফের পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সে অনুযায়ী, গতকাল নতুন পরীক্ষার সময়সূচি প্রকাশ করা হয়।
ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটি সচিবালয়ের সহমহাব্যবস্থাপক আরিফ হোসেন খান কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘লিখিত পরীক্ষার চূড়ান্ত ফল তৈরি হয়েছে, তবে পরীক্ষা নেওয়া প্রতিষ্ঠান জানায়, দুই বা আড়াই হাজার খাতা খুঁজে পাচ্ছে না। নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে ফের পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’ সূত্রঃ কালের কন্ঠ