সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে বড় আকারের উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার। প্রায় ৪০ হাজারের বেশি শিক্ষক নিয়োগের পরিকল্পনা রয়েছে। তবে এখনো প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (ডিপিই) নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে পারেনি।
ডিপিই সূত্র জানিয়েছে, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের জন্য নতুন বিধিমালা চূড়ান্ত করা হয়েছে। এতে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনা হয়েছে—বাতিল করা হয়েছে নারী ও পোষ্য কোটা। বর্তমানে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এবং আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ বিভাগের মতামতের অপেক্ষায় আছে অধিদপ্তর। মতামত পাওয়ার পরই কোটা বাতিলের পরিপত্র জারি হবে এবং এরপর নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে।
ডিপিইর নিয়োগ শাখার গবেষণা কর্মকর্তা এস এম মাহবুব আলম বলেন, ‘নিয়োগের নীতিমালায় বেশ কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে। বিষয়গুলো নিয়ে জনপ্রশাসন ও আইন মন্ত্রণালয় কাজ করছে। তাদের মতামত পেলেই পরিপত্র জারি করা হবে। এর আগে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের সুযোগ নেই। এজন্য কিছুটা সময় লাগবে।’
ডিপিইর তথ্যানুযায়ী, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বর্তমানে ৩২ হাজার প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে, যা সহকারী শিক্ষকদের পদোন্নতির মাধ্যমে পূরণ করা হবে। পাশাপাশি ৮ হাজার ৪৩টি সহকারী শিক্ষক পদের ঘাটতি রয়েছে, যা জুনের শেষে ১০ থেকে ১২ হাজারে পৌঁছাতে পারে। এছাড়া সংগীত ও শারীরিক শিক্ষা বিষয়ের জন্য ৫ হাজার ১৬৬ জন শিক্ষক নিয়োগের পরিকল্পনা রয়েছে। সব মিলিয়ে অর্ধলাখের কাছাকাছি শিক্ষক নিয়োগের সম্ভাবনা রয়েছে।
উল্লেখ্য, এখন পর্যন্ত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ ২০১৯ সালের বিধিমালা অনুযায়ী পরিচালিত হয়ে আসছে। যেখানে ৬০% নারী, ২০% পোষ্য এবং ২০% পুরুষ কোটার বিধান ছিল। নতুন প্রস্তাবিত বিধিমালায় এ ধরনের কোনো কোটা রাখার প্রস্তাব নেই। তবে ২০% পদে বিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক প্রার্থীদের অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।