প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় শেষ সময় কি পড়তে হবে এবং কি বাদ দিতে হবে?

বিস্তারিত দেখুনঃ Click Here  প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার শর্ট সাজেশন/ শেষ সময়ের প্রস্তুতি

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত চেয়ে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) আবেদন করেছেন চাকরিপ্রার্থীরা। হরতাল–অবরোধে নিরাপত্তা শঙ্কার কথা উল্লেখ করে পরীক্ষা স্থগিতের দাবি জানিয়েছেন তারা।

বইটি কেন পড়বেন?

বইটি ২০০৬ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত অনুষ্ঠিত সকল প্রাথমিক  শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নের বিশ্লেষণ করে তৈরি করা হয়েছে। যে অংশ না পড়লেই নয় অর্থাৎ প্রতিটা প্রাথমিক  শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় যে অংশ থেকে কমন আসে সেই অংশগুলোর গুরুত্বপূর্ণ তথ্যে সাজানো হয়েছে।

বইটিতে কি কি থাকছে?

১। অধ্যায় ও বিষয়ভিত্তিক শর্ট সাজেশন

২। বিষয়ভিত্তিক মডেল টেস্ট

৩। স্পেশাল পূর্ণাঙ্গ মডেল টেস্ট

৪। ২০০৬ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত অনুষ্ঠিত সকল প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন যুক্ত করা হয়েছে অধ্যায়ের শুরুতে ।

অধ্যায় ও বিষয়ভিত্তিক শর্ট সাজেশনঃ

বাংলাঃ  মোট ৬৮পৃষ্ঠা

ইংরেজিঃ মোট ৫৯ পৃষ্ঠা

গণিতঃ মোট ৫২ পৃষ্ঠা

সাধারণ জ্ঞান , কম্পিউটার ও বিজ্ঞানঃ  মোট ৬১ পৃষ্ঠা

বিষয় ভিত্তিক মডেল টেস্ট- ২০ টি

পূর্ণাঙ্গ মডেল টেস্ট- ২৫ টি

বইটির মূল্যঃ  ১৮০টাকা

আজ বুধবার ‘প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ–২০২৩ (প্রথম ধাপ) পরীক্ষার্থীদের পক্ষে’ মো. আশরাফুল ইসলাম নামে এক চাকরিপ্রার্থী এ আবেদন করেন। নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা আবেদনটি গ্রহণ করে তা প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) কাছে উপস্থাপন করবেন বলে প্রার্থীদের জানানো হয়েছে।

আগামী ৮ ডিসেম্বর শুক্রবার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগে প্রথম ধাপে রংপুর, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের ১৮ জেলায় পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এরই মধ্যে প্রবেশপত্র ডাউনলোডও শুরু করেছেন চাকরিপ্রার্থীরা।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) বরাবর দেওয়া আবেদনে প্রার্থীরা উল্লেখ করেন, ‘আমরা প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ–২০২৩–এর প্রথম ধাপের পরীক্ষার্থী। আমাদের নিয়োগ পরীক্ষাটি আগামী ৮ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম ধাপের এ নিয়োগ পরীক্ষা রংপুর, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের ১৮ জেলায় পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এতে মোট ৩ লাখ ৬০ হাজার পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করবেন।’

এতে আরও বলা হয়, ‘দেশের সবচেয়ে বড় এ নিয়োগ পরীক্ষায় অর্ধেকের বেশি পরীক্ষার্থী বিভিন্ন কারণে নিজ জেলার বাইরে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে অবস্থান করছেন। দেশে হরতাল ও অবরোধের কারণে বুধ ও বৃহস্পতিবারের মধ্যে আমরা নিজ জেলায় যেতে পারছি না। এর সঙ্গে জীবনের ঝুঁকিও রয়েছে। সেই সঙ্গে অনেকের প্রবেশপত্র ডাউনলোডের মেসেজ এখনো আসেনি।’

আবেদনে তারা আরও উল্লেখ করেন, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর সব প্রতিষ্ঠান নির্বাচন কমিশনের আওতাধীন থাকে। দেশের এ পরিস্থিতিতে যদি ৮ ডিসেম্বর পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়, তবে অর্ধেকের বেশি পরীক্ষার্থী অবরোধের কারণে পরীক্ষা দিতে নিজ জেলাতে উপস্থিত হতে পারবেন না। বিষয়টি বিবেচনা করে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের প্রথম ধাপের পরীক্ষা স্থগিত করতে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন তারা।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ইসিতে আবেদন দেওয়া আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘শুক্রবার আমাদের পরীক্ষা। ওই দিন ভোর পর্যন্ত রাজনৈতিক দলগুলোর ডাকা অবরোধ চলবে। কিন্তু অনেক প্রার্থী পড়াশোনা বা চাকরির প্রস্তুতির জন্য বাইরের জেলায় বা ঢাকাতেও থাকেন। তাদের এ অবরোধের মধ্যে জেলার কেন্দ্রে গিয়ে পৌঁছাতে হবে। এটা কষ্টসাধ্য ও ঝুঁকিপূর্ণ।’

তিনি বলেন, ‘শুক্রবার সাতটি ব্যাংকের সমন্বিত নিয়োগ পরীক্ষা ছিল। প্রার্থীদের নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনা করে সেটা কিন্তু স্থগিত করা হয়েছে। এর আগে বিসিএসের লিখিত পরীক্ষাও স্থগিত করেছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। তাহলে প্রাথমিকের নিয়োগ পরীক্ষা কেন স্থগিত করা হবে না? এটা তো সবচেয়ে বড় (প্রার্থী ও শূন্য পদের হিসাবে) নিয়োগ পরীক্ষা। আমাদের দাবি, ঝুঁকিপূর্ণ এ সময়ে পরীক্ষা স্থগিত করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে নেওয়া হোক।’

সূত্রঃ ডিবিসি নিউজ -