ঘোষিত নির্বাচনি ইশতেহারে চাকরিতে যোগদানের কোনো বয়সসীমা রাখবে না বলে জানিয়েছে জাতীয়  ঐক্যফ্রন্ট। ইশতেহারে বলা হয়, পুলিশ ও সামরিক বাহিনী ব্যতীত অন্যসব চাকরিতে প্রবেশের কোনো বয়সসীমা থাকবে না।

এখানে সমস্যা কিঃ
দেশের উন্নয়েনে প্রথমে কিছু বাধা সৃষ্টি করবে । ২-৩ বছরের মত এই সমস্যা হবে । যাদের বয়স এখন ৩০ বা তার বেশি তারা চাকরির প্রস্ততির জন্য আরো সময় ব্যয় করবে কিন্তু কোন কাজ করবে না । আগে ৩০ বছর পার হলে সবাই চাকরির প্রস্তুতি শেষ করে যে কোন পেশাতে যেতো , এখন এইটা সময় না থাকায় আরো কিছুদিন পর্যন্ত বেকার সমাজ বেকার হয়ে চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে থাকবে। যা রাষ্ট্রের জন্য সমস্যার সৃষ্টি করবে অর্থনীতিতে ।

দেশের উন্নয়নে ভূমিকা-
উপরের সমস্যা কিছুদিন থাকবে কিন্তু তার পরে থেকে এইটা তেমন গ্রুত্ব পাবে না। আগে মানুষ ভাবতো চাকরির বয়স আছে এইটা শেষ করেই , যে কোন একটা পেশায় আমরা যাবো কিন্তু এখন এই চিন্তা থাকবে না। এখন পড়াশুনা শেষে কিছুদিন চাকরির চেষ্টা করবে তার পরে যদি দেখে তার দ্বারা হচ্ছে না , সে নিজের মত যে কোন একটা পেশায় চলে যাবে ৩০ বছর পর্যন্ত অপেক্ষা করবে না। আর কার খেয়ে কাজ নাই যে  শুধু সরকারি চাকরির পিছনেই সারা লাইফ শেষ করবে। 

যোগ্য ব্যাক্তিদের গ্রুত্বঃ

অনেকে খারাপ দিক দেখতে পারেন । অনেকে ভাবতে পারেন ৭০ বছর বয়সেও মানুষ এসে সরকারি চাকরির পরীক্ষা দিবে কিন্তু এইটা কোন ভাবেই হবে না। আর কেউ যদি যোগ্য হয় সে ১৮০ বছর বয়সে পরীক্ষা দিলেই বা কি সমস্যা । আমার দৃষ্টিতে ৩৫ করলেই সমস্যা হতো। কারণ সবাই সেই ৩৫ বছর পর্যন্ত অপেক্ষা করতো এখন সেইটা করবে না। আর একজন ব্যাক্তি ২৫-২৬ বছরের শিক্ষা জীবন শেষে যদি চাকরির জন্য কোন বয়স ধরে দেন এইটাই অনেক খারাপ। ২৫ বছর শিক্ষা জীবন শেষে বললেন তুমি ১০ বছর পাবে তোমার যে কোন চাকরি করতে হবে। এর থেকে যে যার ইচ্ছে মত চেষ্টা করতে পারবে এইটাই ভাল।কেউ যদি ৭০ বছর বয়সে এসে বিসিএস দেয় আর সে পাশ করে আর আপনি যদি ৩০-৩৫ বছর বয়সে এসে ফেল মারেন তা হলে আপনার থেকে সে বেশি যোগ্য তাকে আমার দৃষ্টিতে সবার আগে সুযোগ দেওয়া উচিৎ ।দেশে পড়ার বয়স নাই চাকরির কেন বয়স???     

সংগ্রহঃ  এনামুল হক