সারা দেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে (ডিসেম্বর ২০১৯ পর্যন্ত) মোট ২৮ হাজার ৮৩২টি শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। এর মধ্যে প্রধান শিক্ষকের মোট শূন্য পদ ৭ হাজার ১৮টি। আর সহকারী শিক্ষকের মোট শূন্য পদ ২১ হাজার ৮১৪টি।

আজ মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে সরকারি দলের সাংসদ মামুনুর রশীদের প্রশ্নের জবাবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন এই তথ্য জানান। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বৈঠকের শুরুতে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপন করা হয়।

জাকির হোসেনের দেওয়া তথ্য অনুয়ায়ী, প্রধান শিক্ষক পদে সরাসরি নিয়োগযোগ্য শূন্য পদ ২ হাজার ৮৫২টি। ২০১৮ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত প্রধান শিক্ষক পদে সরাসরি নিয়োগযোগ্য ৩৫ শতাংশ শূন্য পদে ৩৭তম বিসিএস থেকে পিএসসির মাধ্যমে নিয়োগের জন্য গত বছরের ২৬ জুন প্রয়োজনীয় তথ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। আর পদোন্নতিযোগ্য প্রধান শিক্ষকের শূন্যপদ ৪ হাজার ১৬৬টি। মামলা থাকায় প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতি কার্যক্রম আপাতত বন্ধ রয়েছে। তবু জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে সহকারী শিক্ষকদের প্রধান শিক্ষক পদে চলতি দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে।

প্রতিমন্ত্রী জানান, ২০১৯ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত ৬১টি জেলায় সহাকারী শিক্ষকের ১৮ হাজার ১৪৭টি শূন্য পদে নিয়োগের জন্য গত বছরের ২৪ ডিসেম্বর সমান সংখ্যক প্রার্থীকে চূড়ান্ত নির্বাচিত করা হয়েছে। শিগগিরই নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকেরা যোগ দেবেন।

সরকারি দলের সাংসদ আফজাল হোসেনের প্রশ্নের জবাবে জাকির হোসেন বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার প্রাথমিক শিক্ষায় ঝরে পড়া রোধে ব্যাপকভাবে সফল হয়েছে। ২০১০ সালে ঝরে পড়ার হার ৩৯ দশমিক ৮ শতাংশ। সেখান থেকে কমে ২০১৮ সালে ১৮ দশমিক ৬ শতাংশ হয়েছে। বর্তমান সরকার প্রাথমিক শিক্ষায় মিলেনিয়াম ডেভেলপমেন্ট গোল অর্জন করেছে।

সরকারি দলের সাংসদ বেনজীর আহমদের প্রশ্নের জবাবে জাকির হোসেন বলেন, জাতীয় শিক্ষানীতি অনুযায়ী প্রাথমিক শিক্ষা অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত চালু করার কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে ভালো ভৌত অবকাঠামো ও পর্যাপ্ত শিক্ষা উপকরণ রয়েছে এমন ৭৮৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণি চালু করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

২০২৫ সালের মধ্যে সকল বয়স্কদের ভাতা
সরকারি দলের সাংসদ মীর মোস্তাক আহমেদের প্রশ্নের জবাবে সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ জানান, বর্তমান সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে প্রতি বছরই বয়স্ক ভাতা কর্মসূচিতে উপকারভোগীর সংখ্যা ১০ শতাংশ হারে বাড়ানো হচ্ছে। ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে সারা দেশে ৪৪ লাখ জনকে বয়স্ক ভাতা দেওয়া হচ্ছে। সে হিসেবে পর্যায়ক্রমে ২০২৫ সালের মধ্যে সব ৬৫ বছর বা তদূর্ধ্ব বয়স্ক পুরুষ এবং ৬২ বা তদূর্ধ্ব বয়স্ক নারীকে ভাতা দেওয়ার পরিকল্পনা সরকারের আছে।

সরকারি দলের সাংসদ দিদারুল আলমের প্রশ্নের জবাবে সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ জানান, চলতি ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে ৫৬৯৭ কোটি ৬৬ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

সুত্রঃ প্রথম আলো