করোনা পরিস্থিতি ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় আগামী দুই সপ্তাহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা

শুক্রবার (২১ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর মহাখালীতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে করোনার সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে ব্রিফিংকালে এ তথ্য জানান তিনি।

সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, শনিবার (২২ জানুয়ারি) থেকে ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সামাজিক, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে ১০০ জনের বেশি লোক অংশ নিতে থাকতে পারবে না। সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান অর্ধেক জনবল নিয়ে চলচে। এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়েছে। শিগগিরই প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।

মন্ত্রী বলেন, করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় আমরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলেছিলাম। সব অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বজায় রেখেছিলাম। কিন্তু ইদানিং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে করোনা সংক্রমণের হার বেড়ে যাচ্ছে। তাই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগামী ২ সপ্তাহ স্কুল, কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

আরও পড়ুন:

জাহিদ মালেক বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার উদ্দেশ্য হচ্ছে, সংক্রমণ কমানো। যাতে শিক্ষার্থীরা সংক্রমিত না হয়। আগামী দুই সপ্তাহ পরে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।

তিনি বলেন, সংক্রমণ কমানোর জন্য আরও কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে। দেশে পরিবহন ও সামাজিক অনুষ্ঠানে প্রচুর পরিমাণে লোক চলাচল করছে। এতে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে। তাই সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, কোনো অনুষ্ঠানে ১০০ জনের বেশি লোক থাকতে পারবে না। এবং যারা আসবে, তাদের টিকার সদন এবং করোনা পরীক্ষা করা থাকতে হবে। যানবাহনে উঠার ক্ষেত্রেও একই বিষয় প্রয়োজন হবে।

তিনি আরও বলেন, ১১ দফা বিধিনিষেধ দেওয়া হয়েছিল। সেটা এখনও সেভাবে কার্যকর হয়নি। তবে চেষ্টা চলছে। জেলাপ্রশাসন, পুলিশ বাহিনী ও অন্যান্য সংশ্লিষ্টদের আহ্বান জানাচ্ছি, সরকারের বিধিনিষেধগুলো যেন বাস্তবায়ন হয়।