সকল সরকারি চাকরির তথ্য সবার আগে মোবাইলে নোটিফিকেশন পেতে ডাউনলোড করুন
Android App: Jobs Exam Alert

করোনার সংক্রমণ পরিস্থিতির কারণে দীর্ঘ বন্ধের কবলে পড়ে শিক্ষার্থীরা বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েছেন। এ অবস্থায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষাগুলোও অনলাইনে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উপাচার্যদের সঙ্গে ইউজিসির এক সভায় আলোচনা করে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে।

ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক দিল আফরোজা বেগম প্রথম আলোকে এ তথ্য জানিয়ে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অনলাইনে পরীক্ষা নেবে। তবে কীভাবে নেবে, সেটা নিজ নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় আলোচনা করে ঠিক করবে। এ বিষয়ে তাঁরা একটি গাইড লাইন তৈরি করেছেন। সেটা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। এরপর মন্ত্রণালয় সেটা পরিপত্র আকারে জারি করলে তা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে পাঠানো হবে।

দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রথম আলোকে বলেন, আলোচনা হয়েছে। এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় আলোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

এর আগে গতকাল বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিনস কমিটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে, করোনা পরিস্থিতির উন্নতি না হলে আগামী ১ জুলাই থেকে অনলাইনে সব বর্ষের চূড়ান্ত (ফাইনাল) পরীক্ষাগুলো নেওয়া হবে। ইউজিসির কোনো কোনো সদস্য মনে করছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই সিদ্ধান্তের ফলে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও উৎসাহী হবে।

বাংলাদেশে স্কুল বন্ধ থাকায় দূরশিক্ষণের অংশ হিসেবে ১৭ বছর বয়সী অগ্নিদ্রোহী স্পন্দন অনলাইনে পরীক্ষা দিচ্ছে

করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে দেশের স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে ছুটি চলছে।

সরকারের সর্বশেষ ঘোষণা হলো, ২৩ মে স্কুল-কলেজ এবং ২৪ মে থেকে বিশ্ববিদ্যালয় খোলা হবে। কিন্তু করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হওয়ায় ঘোষিত সময়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা যাবে কি না, তা কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না।

এ রকম পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের পরীক্ষাগুলো অনলাইনে নেওয়ার বিষয়ে সুপারিশ দিতে সম্প্রতি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক দিল আফরোজা বেগমকে আহ্বায়ক করে কমিটি গঠন করা হয়। সেই কমিটি অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়ে একটি রূপরেখা বা নির্দেশনাও তৈরি করেছে। এটি আজকের সভায় উপস্থাপন করা হয়। ভার্চ্যুয়ালি (জুম অ্যাপ) এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।

দেশে বর্তমানে ৪৯টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। করোনা পরিস্থিতির কারণে গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে বন্ধ থাকায় এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েক লাখ শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে। সেশনজটে পড়ে শিক্ষার্থীরা কর্মজীবনেও পিছিয়ে পড়ছেন। এর আগে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়ার অনুমতি দিয়েছিল ইউজিসি। যদিও সেটি আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে।

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় একটি অভিন্ন আইনে চললেও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আলাদা আলাদা আইনে চলে। এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাসংক্রান্ত বিষয়গুলোর সিদ্ধান্ত হয়ে থাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা পরিষদের (একাডেমিক কাউন্সিল) সভায়। তার আগে ডিনস কমিটিসহ অন্যান্য কিছু সভায় প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হয়।

সুত্রঃ প্রথম আলো