দেশের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৫৪ হাজার ৩০৪ জন শিক্ষক নিয়োগের তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তির শূন্য পদের বিষয় ও পদভিত্তিক আবেদন শেষ হয়েছে। এতে বিভিন্ন পদের বিপরীতে আবেদন জমা পড়েছে প্রায় ৯০ লাখ। সে হিসাবে এখন পর্যন্ত একটি পদের জন্য ১৬০ জনের বেশি আবেদন জমা পড়েছে। আজ বুধবার এনটিআরসিএর একটি সূত্র এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে। টাকা জমা দেওয়ার শেষ সময় ছিল গত সোমবার রাত ১২টা পর্যন্ত।
এনটিআরসিএর ওই সূত্র জানায়, একজন প্রার্থী একাধিক প্রতিষ্ঠানে আবেদন করতে পারেন। সেই হিসাবে আবেদনকারীর সংখ্যা কত, তা নির্ধারণ করা কঠিন। তবে মোট আবেদন ৯০ লাখ। আবেদনপ্রতি ১০০ টাকা নেওয়া হয়েছে। এ হিসাবে এনটিআরসিএ ফি বাবদ আবেদনকারীর কাছ থেকে ৯০ কোটি টাকা পেয়েছে।
রাজধানীর তিতুমীর কলেজের অর্থনীতি বিভাগ থেকে পাস করা মো. শান্ত আলী প্রথম আলোকে বলেন, তিনি শিক্ষক নিয়োগের আবেদন করেছেন। প্রথমে আবেদনের সময় স্কুল ও কলেজের প্রার্থীরা ৩৫০ টাকা দিয়ে আবেদন করেন। এই টাকায় প্রার্থীরা প্রিলিমিনারি, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় পাস করেন। কিন্তু এরপর গণবিজ্ঞপ্তি জারির পর আবার প্রতি প্রতিষ্ঠানে আবেদনের সময় ১০০ টাকা নেওয়া হয়, যা তাঁদের জন্য কষ্টের। সাধারণত এ প্রার্থীদের আয়ের উৎস তেমন নেই বললেই চলে। এটি না থাকলে প্রার্থীরা উপকৃত হতেন।
বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) জানিয়েছে, ৩০ এপ্রিল রাত ১২টা পর্যন্ত http://ngi.teletalk.com.bd অথবা www.ntrca.gov.bd ওয়েবসাইটের মাধ্যমে যাঁরা অনলাইনে ফরম পূরণ করে আবেদন করেছেন, তাঁরা ফি জমা দেন ৩ মে রাত ১২টার মধ্যে টেলিটকের মাধ্যমে। ফরম সাবমিটের পর প্রার্থীদের মুঠোফোনে এসএমএস পাঠিয়ে টাকা জমা দেওয়াসহ পরবর্তী নির্দেশনা জানিয়ে দেওয়া হবে।
এর আগে ৩০ মার্চ তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এনটিআরসিএ। গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ৫৪ হাজার ৩০৪টি শূন্য পদের মধ্যে স্কুল ও কলেজ পর্যায়ে ৩১ হাজার ১০১টি পদ রয়েছে। এর মধ্যে এমপিওভুক্ত পদ ২৬ হাজার ৮৩৮টি। মাদ্রাসা ও কারিগরি প্রতিষ্ঠানে মোট শূন্য পদ ২০ হাজার ৯৯৬টি। এর মধ্যে ১৯ হাজার ১৫৪টি এমপিওভুক্ত। মোট ৫৪ হাজার ৩০৪টি পদের মধ্যে ২ হাজার ২০৭টি এমপিও পদে রিট মামলায় অংশগ্রহণ করা প্রার্থী আবেদনের সুযোগ পেয়েছেন।
২০১৮ সালের ১২ জুন এমপিও নীতিমালা জারির আগে সনদ অর্জন করা প্রার্থীদের মধ্যে যাঁদের বয়স ৩৫-এর বেশি হয়ে গেছে, তাঁরাও আবেদনের সুযোগ পেয়েছেন।
সুত্রঃ প্রথম আলো