সকল সরকারি চাকরির তথ্য সবার আগে মোবাইলে নোটিফিকেশন পেতে ডাউনলোড করুন
Android App: Jobs Exam Alert

আগামী ১৯ মার্চ অনুষ্ঠিতব্য ৪১তম বিসিএস প্রিলিমিনারি (এমসিকিউ টাইপ) পরীক্ষার সব প্রস্তুতি গ্রহণ করার পর ‘এই মুহূর্তে পরীক্ষা বন্ধ করা খুবই কঠিন’ বলে জানিয়েছেন সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) চেয়ারম্যান মো. সোহরাব হোসাইন।

মঙ্গলবার (১৬ মার্চ) স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালকের সভাপতিত্বে কোভিড-১৯ প্রতিরোধ ও বর্তমানে করণীয় সম্পর্কে জরুরি সভায় সব ধরনের পাবলিক পরীক্ষা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সুপারিশ করে।

বুধবার (১৭ মার্চ) সন্ধ্যার পর এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে পিএসসির চেয়ারম্যান মো. সোহরাব হোসাইন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘এই মুহূর্তে পরীক্ষা বন্ধ করা খুবই কঠিন। স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।’

পিএসসি সূত্রে জানা গেছে, বুধবার (১৭ মার্চ) সন্ধ্যা পর্যন্ত স্বাস্থ্য অধিদফতরের কোনও প্রস্তাবনা সম্পর্কে জানতে পারেনি পিএসসি। মঙ্গলবার অধিদফতরের নেওয়া সিদ্ধান্ত বুধবার (১৭ মার্চ) গণমাধ্যমকর্মীদের কাছ থেকে জানতে পারে পিএসসি। আগামী শুক্রবার (১৯ মার্চ) অনুষ্ঠিতব্য ৪১তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।

পিএসসি সূত্র জানায়, রাজধানীর বাইরে অনেক শিক্ষার্থী ইতোমধ্যে ঢাকায় পৌঁছেছে। অনেকে রওনা দিয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের মঙ্গলবারের প্রস্তাবটি পিএসসি জানতে পারলে হয়তো পরীক্ষা বন্ধ করা সম্ভব হতো। কিন্তু শেষ মূহূর্তে পরীক্ষা বন্ধ করা খুবই কঠিন। তাছাড়া স্বাস্থ্য অধিদফতরের পক্ষ থেকে এখনও তারা কিছুই জানতে পারেনি।

মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদফতরের মিনি কনফারেন্স রুমে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালকের সভাপতিত্বে কোভিড-১৯ প্রতিরোধ ও বর্তমানে করণীয় সম্পর্কে জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ১২টি প্রস্তাব গৃহীত হয়।

প্রস্তাবগুলো হলো:

১. সম্ভব হলে কমপ্লিট লকডাউনে যেতে হবে, সম্ভব না হলে ইকোনমিক ব্যাল্যান্স রেখে যেকোনও জনসমাগম বন্ধ করতে হবে।

২. কাঁচা বাজার, পাবলিক ট্রান্সপোর্ট, শপিং মল, মসজিদ, রাজনৈতিক সমাগম, ভোট অনুষ্ঠান, ওয়াজ মাহফিল, পবিত্র রমজান মাসের ইফতার মাহফিল ইত্যাদি অনুষ্ঠান সীমিত করতে হবে।

৩. শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যেগুলো বন্ধ আছে সেগুলো বন্ধ রাখতে হবে। অন্যান্য কার্যক্রম সীমিত রাখতে হবে।

৪. যেকোনও পাবলিক পরীক্ষা (বিসিএস, এসএসসি, এইচএসসি, মাদ্রাসা, দাখিলসহ অন্যান্য) বন্ধ রাখতে হবে।

৫. কোভিড পজিটিভ রোগীদের আইসোলেশন জোরদার করা।

৬. যারা রোগীদের সংস্পর্শে আসবে তাদের কঠোর কোয়ারেন্টিনে রাখা।

৭. বিদেশ থেকে বা প্রবাসী যারা আসবেন তাদের ১৪ দিনের কঠোর কেয়ারেন্টিনে রাখা এবং এ ব্যাপারে সামরিক বাহিনীর সহায়তা নেওয়া।

৮. আগামী ঈদের ছুটি কমিয়ে আনা।

৯. স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়ে আইন প্রয়োজনে জোরদার করা।

১০. পোর্ট অব এন্ট্রিতে জনবল বাড়ানো, মনিটরিং জোরদার করা।

১১. সব ধরনের সভা ভার্চুয়াল করা।

১২. পর্যটন এলাকায় চলাচল সীমিত করা।

সূত্রঃ  বাংলা ট্রিবিউন