মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের চাকরিরর পরীক্ষার প্রশ্ন ও সমাধান
পদের নাম: সহকারী প্রসিকিউটর
১. বৃক্ষ শব্দের সমার্থক শব্দ কোনটি? উত্তরঃবিটপী
২. কোনটি ইংরেজি শব্দ? উত্তরঃ কমা
৩. কোন শব্দ গঠনে বাংলা উপসর্গ ব্যবহৃত হয়েছে? উত্তরঃ অনাবৃষ্টি
৪. কোনটি শুদ্ধ বানান? উত্তরঃ আকাঙ্ক্ষা
৫. গাছ পাথর বাগধারাটির অর্থ কি? উত্তরঃ হিসাব-নিকাশ
৬. ভাষা আন্দোলন বিষয়ক উপন্যাস কোনটি? উত্তরঃ আরেক ফাল্গুন
৭. বাক্যের তিনটি গুণ কি কি? উত্তরঃআকাঙ্ক্ষা, আসত্তি ও যোগ্যতা
৮. ইয়ং বেঙ্গল কি? উত্তরঃইংরেজি ভাবধারাপুষ্ট বাঙালি যুবক
৯. অমিত্রাক্ষর ছন্দের বৈশিষ্ট্য হলো? উত্তরঃঅন্ত্যমিল নেই
১০. ভিক্ষুকটা যে পিছনে লেগেই রয়েছে, কি বিপদ। এখানে কী এর অর্থ? উত্তরঃ বিরক্তি
১১. কোনটি কাব্যগ্রন্থ? উত্তরঃ শেষ লেখা
১২. লিঙ্গান্তর হয় না এমন শব্দ কোনটি? উত্তরঃ কবিরাজ
১৩. সাধু ভাষা সাধারণত কোথায় অনুপযোগী? উত্তরঃ নাটকের সংলাপে
১৪. বাংলা ভাষায় প্রথম ব্যাকরণ রচনা করেন কে? উত্তরঃ রাজা রামমোহন
১৫. কোন চরণটি সঠিক? উত্তরঃধনধান্য পুষ্প ভরা
১৬. Right the wrong. Here right is a/an? উত্তরঃ verb
১৭. What is the abstract noun of hero? উত্তরঃ Heroism
১৮. One should be careful about—-duty. উত্তরঃ one’s
১৯. The plural form of Basis is? উত্তরঃ bases
২০. No news ——-good news. উত্তরঃ is
২১. Which is the following is feminine gender? উত্তরঃ mare
২২. He is ——heir to the property. উত্তরঃ an
২৩. Times have changed and so———. উত্তরঃ have I
২৪. Technology has developed——-great speed. উত্তরঃ at
২৫. I heard the baby——-for his food. উত্তরঃ cry
২৬. What is the passive voice of “Who did this”? উত্তরঃ By whom was this done?
২৭. Choose the appropriate reporting verb: “She (said) that I should take a holiday”. উত্তরঃ advised
২৮. বার্ষিক ১২% মুনাফায় কত বছরে ১০০০০ টাকার মুনাফা ৪৮০০টাকা হবে? উত্তরঃ ৪ বছর
২৯. একটি চৌবাচ্চার দৈর্ঘ্য ৩ মিটার, প্রস্থ ২ মিটার ও উচ্চতা ৪ মিটার। এতে কত লিটার পানি ধরবে? উত্তরঃ ২৪০০০ লিটার (ব্যাখ্যাঃআমরা জানি,
চৌবাচ্চার আয়তন= দৈর্ঘ্য X প্রস্থ X উচ্চতা।
= ৩ X ২ X ৪ ঘন মিটার
= ২৪ ঘন মিটার
আবার আমরা জানি,
১ ঘনমিটারে পানি ধরে= ১০০০ লিটার।
সুতরাং, ৬০ ঘনমিটারে পানি ধরে = ১০০০ X ২৪ লিটার
=২৪,০০০ লিটার
৩০. ১৩ সেন্টিমিটার ব্যাসার্ধ বিশিষ্ট বৃত্তের একটি জ্যা এর দৈর্ঘ্য ২৪ সে.মি হলে কেন্দ্র থেকে উক্ত জ্যা এর লম্ব দূরত্ব কত সে.মি? উত্তরঃ ৫ সে.মি
৩১. এক কুইন্টাল ওজনে কত কিলোগ্রাম হয়? উত্তরঃ ১০০ কিলোগ্রাম
৩২. কোন ক্ষুদ্রতম সংখ্যাকে ৩, ৫, ৯ দ্বারা ভাগ করলে ভাগশেষ ২ হবে? উত্তরঃ ৪৭
৩৩. বাংলাদেশের জিডিপির প্রধান খাত কোনটি? উত্তরঃ সেবা খাত (প্রায় ৫৫ ভাগ)
৩৪. বাংলাদেশ ব্যাংকের বর্তমান ব্যাংক রেট কত? উত্তরঃ ৪%
৩৫. পদ্মা সেতুর পিলারের সংখ্যা কতটি? উত্তরঃ ৪২ টি
৩৬. যশোর জেলা প্রাচীন কোন জনপদের অংশ ছিল? উত্তরঃ বঙ্গ
৩৭. এসডিজির এর সহযোগী লক্ষ্য কয়টি? উত্তরঃ ১৬৯
৩৮. “নিউ সিল্ক রোড’ এর প্রবক্তা কে? উত্তরঃ চীন
৩৯. ‘ফ্রাংকফুট’ শহরটি কিসের জন্য বিখ্যাত? উত্তরঃ বইমেলা
৪০. ‘মাউরি’ শব্দটি কোন দেশের সাথে সম্পর্কিত? উত্তরঃ নিউজিল্যান্ড
১। এক কথায় প্রকাশ করুন।
ক) যে ক্রমাগত রোদন করছে= রোরুদ্যমান
খ) যে নারী জীবনে একমাত্র সন্তান প্রসব করেছে = কাকবন্ধ্যা
গ) সম্মুখে অগ্রসর হয়ে অভ্যর্থনা= প্রত্যুদ্গমন
ঘ) যে শুনেই মনে রাখতে পারে= শ্রুতিধর
ঙ) যা ক্রমশ বর্ধিত হচ্ছে = বর্ধিষ্ণু
২। Write Socio economic impact of COVID-19 in Bangladesh.
The COVID-19 pandemic and the associated economic crisis are posing huge challenges, raising many unknowns and imposing wrenching trade-offs. Both crises are global, but their impacts are deeply local. Socially the children are become weak in Psychosocial and mental health. Social distancing, self-isolation and travel restrictions have lead to a reduced workforce across all economic sectors and caused many jobs to be lost. Schools have closed down, and the need for commodities and manufactured products has decreased. In contrast, the need for medical supplies has significantly increased. The food sector is also facing increased demand due to panic-buying and stockpiling of food products. In response to this global outbreak, we summarize the socio-economic effects of COVID-19 on individual aspects of the world economy.
৩। Make sentences with the following words.
a) All in =(নিদারূণ পরিশ্রান্ত)- I am all in for doing this math.
b) Bottom line =(মূল বক্তব্য)- Please follow the bottom line of the sentence.
c) Carry the day =(জয় লাভ করা)- Bangladesh Cricket team has carried the day.
d) Heart of heart =(অত্যন্ত নিগূঢ় ও গোপনীয় বিষয়) – Do not open the heart of heart of our team.
৪। একটি চৌবাচ্চায় তিনটি নল আছে। প্রথম ও দ্বিতীয় নল দ্বারা যথাক্রমে ৩০ মিনিট ও ২০ মিনিটে চৌবাচ্চাটি পূর্ন হয়। তৃতীয় নল দ্বারা পূর্ণ চৌবাচ্চাটি ৬০ মিনিটে খালি হয়। তিনটি নল এক সঙ্গে খুলে দিলে চৌবাচ্চাটি কত মিনিটে পূর্ণ হবে?
উত্তরঃ ১৫ মিনিট
৫। একটি খুঁটি এমনভাবে ভেঙ্গে গেল যে, তার ভাঙ্গা অংশ দন্ডায়মান অংশের সাথে ৩০° কোণ উৎপন্ন করে খুঁটির গোড়া থেকে ১০ মিটার দূরে মাটিতে স্পর্শ করে। খুঁটির দৈর্ঘ্য নির্ণয় কর।
উত্তরঃ ৩৭.৩২০ মিটার ( প্রায়)
ব্যাখ্যাঃ
মনে করি খুঁটির সম্পূর্ণ দৈর্ঘ্য AB = h মিটার।
খুঁটিটি BC = x মিটার উচ্চতায় ভেঙ্গে গিয়ে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন না হয়ে ভাঙ্গা অংশ দন্ডায়মান অংশের সাথে BCD = 30° কোণ উৎপন্ন করে BD = 10 মিটার দূরে গিয়ে মাটিতে স্পর্শ করে।
এখানে CD = AC = AB –AC = (h –x) মিটার
ত্রিভুজ BCD হতে পাই ,
tan BCD = BD /BC = 10/x
tan 30° = 10/x
x = (10)(3½ )
x = 17.320 মিটার ( প্রায় )
ত্রিভুজ BCD হতে পাই ,
Sin BCD = BD /CD = 10 /(h – x)
বা, Sin 30° = 10 /(h – x)
বা, ½ = 10 /(h – x)
বা, h – x = 20
বা, h = 20 + x = 20 + 17.320 = 37.320 মিটার ( প্রায়)
৬। মুজিববর্ষ সম্পর্কে লিখুন।
মুজিব বর্ষ হল বাংলাদেশের জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী পালনের জন্য ঘোষিত বর্ষ। বাংলাদেশ সরকার ২০২০-২১ সালকে মুজিব বর্ষ হিসেবে পালনের ঘোষণা দেয়। ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে ২০২১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত এ বর্ষ উদযাপন করা হবে।(করোনাভাইরাসের কারণে গ্রহণ করা কর্মসূচিগুলো নির্ধারিত সময়ে যথাযথভাবে করতে না পারায় মুজিববর্ষের মেয়াদ প্রায় ৯ মাস বাড়ানো হয়েছে। বাংলাদেশের জাতির পিতা এবং বঙ্গবন্ধু খ্যাত নেতা অবিভক্ত ভারতের পূর্ববঙ্গে (বর্তমানে বাংলাদেশের গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া গ্রামে) ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ জন্মগ্রহণ করেন। আবার ২০২১ সালের ২৬ মার্চ বাংলাদেশ স্বাধীনতার অর্ধ-শত বার্ষিকীতে পদার্পণ করবে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে শেখ মুজিবুর রহমান ওতপ্রোতভাবে জড়িত থাকায় ঘোষিত বর্ষটি বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি বিষয়ক অঙ্গসংগঠন ইউনেস্কোর ৪০তম সাধারণ অধিবেশনে বাংলাদেশের সাথে যৌথভাবে মুজিব বর্ষ পালনের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। ২০১৯ সালের ১২-২৭ নভেম্বরে প্যারিসে অনুষ্ঠিত অধিবেশনে ২৫ নভেম্বরে ইউনেস্কোর সকল সদস্যের উপস্থিতিতে এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে শেখ মুজিবুর রহমানের ভূমিকা তৃণমূল পর্যায়ে প্রচারের পাশাপাশি প্রতি বছরের মতই তার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস, আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী, জাতীয় শোক দিবস এবং জেল হত্যা দিবসও পালিত হবে। এছাড়াও বাংলাদেশ সরকার জন্মশতবার্ষিকী ও মুজিব বর্ষ উদযাপন উপলক্ষ্যে স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ও প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণের পরিকল্পনা করেছে।
৭। বর্তমান সরকারের বিগত ১০ বছরে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অর্জন/সফলতাগুলো লিখুন।
১। শিক্ষাখাতে অর্জন
শিক্ষাকে সর্বস্তরে ছড়িয়ে দেবার জন্য বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক গৃহীত পদক্ষেপসমূহের মধ্যে অন্যতম হলো- শতভাগ ছাত্রছাত্রীর মাঝে বিনামূল্যে বই বিতরণ কার্যক্রম। নারী শিক্ষাকে এগিয়ে নেবার জন্য প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত চালু করা হয়েছে উপবৃত্তি ব্যবস্থা। বর্তমান ২৬ হাজার ১৯৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে নতুন করে জাতীয়করণ করেছে। উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শিক্ষকের চাকরি সরকারীকরণ করা হয়েছে। ১৯৯০ সালে বিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া শিশুর শতকরা হার ছিল ৬১, বর্তমানে তা উন্নীত হয়েছে শতকরা ৯৭.৭ ভাগে। শিক্ষার সুবিধাবঞ্চিত গরিব ও মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে “শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট আইন, ২০১২ প্রণয়ন করা হয়েছে, গঠন করা হয়েছে “শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট”।
২। স্বাস্থ্যসেবায় সাফল্য
শিশুদের টিকাদান কর্মসূচির সাফল্যের জন্য এক্ষেত্রে বাংলাদেশ বিশ্বে অন্যতম আদর্শ দেশ হিসেবে তার স্থান করে নিয়েছে। স্বাস্থ্যখাতকে যুগোপযোগী করতে প্রণয়ন করা হয়েছে “জাতীয় স্বাস্থ্য নীতিমালা-২০১১”। তৃণমূল পর্যায়ের দরিদ্র মানুষদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে গড়ে তোলা হয়েছে ১২ হাজার ৭৭৯টি(১) কমিউনিটি ক্লিনিক। ৩১২টি(২) উপজেলা হাসপাতালকে উন্নীত করা হয়েছে ৫০ শয্যায়। মেডিকেল কলেজ ও জেলা হাসপতালগুলোতে ২ হাজার শয্যা সংখ্যা বৃদ্ধি করা হয়েছে। মাতৃ ও শিশু মৃত্যুহার এবং জন্মহার হ্রাস করা সম্ভব হয়েছে উল্লেখযোগ্য হারে। ১৯৯০ সালে নবজাতক মৃত্যুর হার ১৪৯ থেকে নেমে বর্তমানে দাঁড়িয়েছে ৫৩তে(৩)। স্বাস্থ্যসেবাকে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেবার লক্ষ্যকে সামনে রেখে নির্মাণ করা হয়েছে নতুন ১২টি(৪) মেডিকেল কলেজ, নিয়োগ দেওয়া হয়েছে ৪৭ হাজারেও বেশি জনশক্তি।
৩। নারী ও শিশু উন্নয়নে অর্জন
নারীর সার্বিক উন্নয়নের জন্য প্রণয়ন করা হয়েছে “জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতিমালা-২০১১”। নারী শিক্ষাকে উৎসাহিত করতে প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত চালু করা হয়েছে উপবৃত্তি কার্যক্রম। সমাজের প্রতিটি স্তরে নারী অংশগ্রহণকে নিশ্চিত করতে গৃহীত হয়েছে নানামুখী পদক্ষেপ। প্রযুক্তি জগতে নারীদের প্রবেশকে সহজ করতে ইউনিয়ন ডিজিটাল কেন্দ্রের মতো ইউনিয়ন ভিত্তিক তথ্যসেবায় উদ্যোক্তা হিসেবে একজন পুরুষের পাশাপাশি নিয়োগ দেওয়া হয়েছে একজন নারী উদ্যোক্তাকেও। “জাতীয় শিশু নীতি-২০১১” প্রণয়নের মাধ্যমে সুরক্ষিত করা হয়েছে শিশুদের সার্বিক অধিকারকে। দেশের ৪০টি জেলার সদর হাসপাতাল এবং ২০টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্থাপন করা হয়েছে ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেল। দুঃস্থ্, এতিম, অসহায় পথ-শিশুদের সার্বিক বিকাশের জন্য স্থাপন করা হয়েছে ১৫টি শিশু বিকাশ কেন্দ্র। তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে দেশের নারী ও শিশুর উন্নয়নে ভূমিকা রাখার জন্য গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভূষিত করা হয়েছে জাতিসংঘের সাউথ–সাউথ এওয়ার্ডে।
৪।
নারীর ক্ষমতায়নে অর্জন
নারী বঞ্চনার তিক্ত অতীত পেরিয়ে বাংলাদেশ নারীর ক্ষমতায়নে অনেকদূর এগিয়েছে। পোশাকশিল্পে বাংলাদেশ এখন বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ দেশ। আর এই শিল্পের সিংহভাগ কর্মী হচ্ছে নারী। ক্ষুদ্রঋণ বাংলাদেশে গ্রামীণ উন্নয়নে ও নারীর ক্ষমতায়নে অভূতপূর্ব অবদান রেখেছে। আর ক্ষুদ্রঋণ গ্রহীতাদের মধ্যে ৮০% এর উপর নারী। বাংলাদেশ সরকার নানাভাবে নারী উদ্যোক্তাদের অনুপ্রেরণা দিয়ে এসেছে।
৫। ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠন
ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্নকে বাস্তবতায় রূপ দিতে বাংলাদেশ সরকার নিয়েছে যুগান্তকারী সব পদক্ষেপ। দেশের তৃণমূল পর্যায়ে প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে সরকারি সেবা পৌঁছে দেবার অভিপ্রায়ে দেশের ৪৫৫০টি ইউনিয়ন পরিষদে স্থাপন করা হয়েছে ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার। তৈরি করা হয়েছে বিশ্বের অন্যতম বিশাল ন্যাশনাল ওয়েব পোর্টাল। কেন্দ্রীয় পর্যায় থেকে শুরু করে ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত এ পোর্টালের সংখ্যা প্রায় ২৫০০০। দেশের সবক’টি উপজেলাকে আনা হয়েছে ইন্টারনেটের আওতায়। টেলিযোগাযোগের ক্ষেত্রে নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কারণে বর্তমানে বাংলাদেশে মোবাইল গ্রাহকের সংখ্যা ১২ কোটি ৩৭ লক্ষ(১) এবং ইন্টারনেট গ্রাহকের সংখ্যা ৪ কোটি ৪৬ লক্ষে(২) উন্নীত হয়েছে। সেবা প্রদান প্রক্রিয়া সহজ ও স্বচ্ছ করতে চালু করা হয়েছে ই-পেমেন্ট ও মোবাইল ব্যাংকিং। সরকারী ক্রয় প্রক্রিয়া অনলাইনে সম্পাদন করার বিষয়টিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়া হয়েছে। ৩-জি প্রযুক্তির মোবাইল নেটওয়ার্কের বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।
৬। কৃষিতে কৃতিত্ব এবং খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন
কৃষিখাতে অভূতপূর্ব কিছু সাফল্যের জন্য বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশ বারবার আলোচিত হয়েছে।প্রায় ১৬ কোটি জনগোষ্ঠীর বাংলাদেশ বর্তমানে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। বিগত বছরগুলোতে বাংলাদেশে ধানের উৎপাদন বেড়েছে প্রায় ৫০ লক্ষ মেট্রিক টন। প্রধানমন্ত্রী ও কৃষিমন্ত্রীর সরাসরি পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলাদেশের বিজ্ঞানী ড. মাকসুদুল আলম আবিষ্কার করেছেন পাটের জিনোম সিকুয়েন্সিং। সারা বিশ্বে আজ পর্যন্ত মাত্র ১৭ টি উদ্ভিদের জিনোম সিকুয়েন্সিং হয়েছে, তার মধ্যে ড. মাকসুদ করেছেন ৩টা। তাঁর এই অনন্য অর্জন বাংলাদেশের মানুষকে করেছে গর্বিত।
৭। প্রবাসী শ্রমিকদের উন্নয়নে অর্জন
বর্তমানে বিশ্বের ১৫৭টি দেশে বাংলাদেশের ৮৬ লক্ষেরও অধিক শ্রমিক কর্মরত আছে। বিদেশে শ্রমিক প্রেরণ প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশ স্থাপন করেছে অনন্য দৃষ্টান্ত। স্বল্প সুদে অভিবাসন ঋণ প্রদানের লক্ষ্যে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক স্থাপন করে দেশের ৭টি বিভাগীয় শহরে এর শাখা স্থাপন করা হয়েছে। এই ব্যাংকের মাধ্যমে এপ্রিল ২০১৪ পর্যন্ত ২০ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা অভিবাসন ঋণ বিতরণ করা হয়েছে।তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে সারাদেশে তৃণমূল পর্যায় থেকে বিদেশ গমনেচ্ছু জনগণকে রেজিস্ট্রেশন করা হয়েছে ফলে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের জনগণকেও এ সেবা গ্রহণের আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে এবং মধ্যস্বত্বভোগীদের মাধ্যমে হয়রানি ছাড়াই স্বল্প ব্যয়ে মালয়েশিয়াসহ অন্যান্য দেশগুলোতে শ্রমিকগণ যেতে পেরেছে।
৮। জাতিসংঘ শান্তি মিশনে বাংলাদেশ
১৯৮৮ সালে বাংলাদেশ জাতিসংঘ শান্তি মিশনে যোগদানের পর এ পর্যন্ত বিশ্বের ৩৯টি দেশের ৬৪ শান্তি মিশনে খ্যাতি ও সফলতার সাথে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করেছে। এ যাবৎকালে জাতিসংঘ শান্তি মিশনে বিভিন্ন কার্যক্রমে অংশগ্রহণকারী ১১৫টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান সর্বাগ্রে।
৯। বিদ্যুৎখাতে সাফল্য
বিদ্যুৎখাতে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অর্জনের মধ্যে রয়েছে জাতীয় গ্রিডে অতিরিক্ত ৬ হাজার ৩২৩ মেগাওয়াট(১) বিদ্যুৎ সংযোজন, যার ফলে বিদ্যুতের সুবিধাভোগীর সংখ্যা ৪৭ শতাংশ থেকে ৬২ শতাংশে(২) উন্নীত হয়েছে। একই সাথে মাথাপিছু বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিমাণ ২২০ কিলোওয়াট ঘণ্টা থেকে বেড়ে ৩৪৮ কিলোওয়াট(৩) ঘণ্টায় দাঁড়িয়েছে। নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদান করা হয়েছে ৩৫ লক্ষ গ্রাহককে।নির্মাণ করা হয়েছে নতুন ৬৫টি(৪) বিদ্যুৎ কেন্দ্র।
১০। শিল্প ও বাণিজ্য খাতে অর্জন
বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের পাশাপাশি প্রসার ঘটেছে আবাসন, জাহাজ, ঔষুধ, ও প্রক্রিয়াজাতকরণ খাদ্য শিল্পের। বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যের তালিকায় যোগ হয়েছে জাহাজ, ঔষুধ এবং বিভিন্ন প্রক্রিয়াজাত খাদ্যসামগ্রী। বাংলাদেশের আইটি শিল্প বহির্বিশ্বে অভূতপূর্ব সুনাম কুড়িয়েছে। সম্প্রতি ২০১৩-২০১৪ অর্থবছরে বাংলাদেশের আইটি শিল্প ১০ কোটি মার্কিন ডলার রপ্তানি আয় ছাড়িয়ে গেছে।