কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের চাকরির পরীক্ষার প্রশ্ন ও সমাধান
পদের নামঃ উপ সহকারী পরিচালক
পরিদর্শক পরীক্ষার
তারিখঃ 05-12-2020
কার্টেসী ছাড়া সমাধান কেউ কপি করে ফেসবুকে শেয়ার করবেন না। ধন্যবাদ..
সেট-১
সাধারণ জ্ঞান অংশ সমাধানঃ
১. মুক্তিযুদ্ধের সময় সমগ্র বাংলাদেশকে কয়টি সেক্টরে বিভক্ত করা হয়েছিল? উত্তরঃ ১১ টি (সাব-সেক্টর ৬৪ টি)
২. নির্মাণাধীন পদ্মা সেতুর দৈর্ঘ্য কত হবে? উত্তরঃ ৬.১৫ কি.মি (৬১৫০ মিটার)
৩. বাংলাদেশ কত সালে জাতিসংঘের সদস্যপদ লাভ করে? উত্তরঃ ১৯৭৪ সালে (১৭ সেপ্টেম্বর ১৯৭৪ সালে ১৩৬ তম দেশ হিসেবে যোগদান করে বাংলাদেশ)
৪. ২০২২ সালের ফিফা বিশ্বকাপ ফুটবল কোথায় অনুষ্ঠিত হবে? উত্তরঃ কাতার
৫. বাংলাদেশের একমাত্র পাহাড় বিশিষ্ট দ্বীপ কোনটি? উত্তরঃ মহেশখালী (কক্সবাজার)
৬. বাংলাদেশের বৃহত্তম দ্বীপ কোনটি? উত্তরঃ ভোলা (এটি দক্ষিণ শাহবাজপুর নামেও পরিচিত যার আয়তন ১২২১ বর্গ কিলোমিটার।)
৭. পাটের জন্মরহস্য উদ্ভাবনে গবেষণা করেন কে? উত্তরঃ ড. মাকসুদুল আলম (২০১০ সালে তিনি এটি উদ্ভাবন করেন)
৮. Joe Biden Jr. (জো বাইডেন জুনিয়র) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কততম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন? উত্তরঃ ৪৬ তম
গণিত অংশ সমাধানঃ
৯. ০.২×০.০২×০.০০২×০.০০০২=কত? উত্তরঃ ০.০০০০০০০০১৬
১০. - ২ + (-২) - {-(২)} - ২ এর মান কত? উত্তরঃ -৪
১১ একটি পণ্য ২০% ক্ষতিতে ৫৫২ টাকায় বিক্রয় করা হয়, পণ্যটির ক্রয় মূল্য কত টাকা? উত্তরঃ ৬৯০ টাকা
১২. পিতা ও মাতার বয়সের গড় ৪৫ বছর। আবার পিতা, মাতা ও পুত্রের বয়সের গড় ৩৬ বছর। পুত্রের বয়স কত?
উত্তরঃ ১৮ বছর
১৩. কোন সংখ্যাটি বৃহত্তম? উত্তরঃ .৯০
১৪. ৬টি সংখ্যা পরপর দেয়া আছে। যদি প্রথম ৩টি সংখ্যার যোগফল ১৮৩ হয় তবে শেষ ৩ টি সংখ্যার যোগফল কত? উত্তরঃ ১৯২
১৫. ২৮ ডিগ্রি কোণের সম্পূরক কোণের পরিমাপ কত? উত্তরঃ ১৫২ ডিগ্রি
১৬. একটি সংখ্যার বর্গ তার বর্গমূলের চেয়ে ১৪ বেশি হলে সংখ্যাটি কত? উত্তরঃ ৪
Solved by https://studyonlinebd.com/
বাংলা অংশ সমাধানঃ
১৭. ”সকলের জন্য প্রযোজ্য” এক কথায় কি হবে? উত্তরঃ সর্বজনীন (এককথায় সর্বজনীন মানে সর্বসাধারণের জন্য। যেমনঃ সর্বজনীন অনুষ্ঠান। আর সার্বজনীন মানে সকলের মধ্যে প্রবীণ বা জ্যেষ্ঠ। যেমনঃ সভায় সুমন সাহেব সার্বজনীন ব্যক্তি ছিলো।)
১৮. "খুব বিপদ “এর অর্থ প্রকাশক বাগধারা কোনটি? উত্তরঃ অকুল পাথার
১৯. ”মৌমাছি” কোন সমাস? উত্তরঃ কর্মধারয় (মৌমাছি=মৌ সংগ্রহকারি মাছি= মধ্যপদলোপী কর্মধারয়)
২০. সারেং বৌ উপন্যাসটির রচয়িতা কে? উত্তরঃ শহীদুল্লা কায়সার
২১. ”সংশয়” শব্দটির বিপরীত শব্দ কোনটি? উত্তরঃ নিশ্চয় (প্রত্যয়)
২২. কোন শব্দটি সঠিক? উত্তরঃ স্থায়িত্ব
২৩. ”শুক” শব্দের স্ত্রীবাচক শব্দ কোনটি? উত্তরঃ সারী (শুক অর্থ পাখি)
২৪. “বিনে স্বদেশী ভাষা মিটে কি আশা” এখানে ”বিনে” কি অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে? উত্তরঃ ব্যতিরেকে
ইংরেজী অংশ সমাধানঃ
২৫. Can you guess………...her age? উত্তরঃ with
২৬. The synonym for the word “reduce” is? উত্তরঃ lessen
২৭. Which word has correct spelling? উত্তরঃ Commission
২৮. The noun of the word “add” is? উত্তরঃ addition
২৯. The meaning of the underlined phrase in the sentence “please ”look into” the matter? উত্তরঃ investigate
৩০. Jane: are you going to the dance on Friday? Mary no I am not, I…………. School dances; they are loud, hot and crowded. উত্তরঃ don't enjoy
৩১. I have……………….. problems. উত্তরঃ a lot of
৩২. The Lion is the beast of prey এর সঠিক বাংলা কোনটি? উত্তরঃ সিংহ শিকারী পশু
বাংলা অংশ সমাধানঃ
১. এক কথায় প্রকাশ করুন।
(i) যা বলা হয়নি=উত্তরঃ অনুক্ত
(ii) এখনো আসে নাই এমন=উত্তরঃ অনাগত
(iii) মৃতের মত অবস্থা যার=উত্তরঃ মুমূর্ষু
(iv) যে ব্যাক্তি উপকারীর অপকার করে= উত্তরঃ কৃতঘ্ন
২. বাগধারার অর্থ লিখুন।
(i) তামার বিষ=উত্তরঃ অর্থের কুপ্রভাব
(ii) শাখের করাত= উত্তরঃ উভয় সংকট
(iii) অরণ্যে রোদন= উত্তরঃ নিষ্ফল আবেদন
(iv) দুধের মাছি=উত্তরঃ সুসময়ের বন্ধু
৩. ব্যাসবাক্যসহ সমাস নির্ণয় করুন।
(i) সাপে-নেউলে=উত্তরঃ সাপে ও নেউলে= অলুক দ্বন্দ্ব
(ii) মনমাঝি=উত্তরঃ মন রূপ মাঝি= রুপক কর্মধারয়
(iii) প্রাণপ্রিয়= উত্তরঃ প্রাণের চেয়ে প্রিয়=পঞ্চমী তৎপুরুষ বা অপাদান তৎপুরুষ সমাস
(iv) রাজনীতি=উত্তরঃ রাজার নীতি=৬ষ্ঠী তৎপুরুষ (রাজার অনুসৃত নীতি= মধ্যপদলোপী কর্মধারয়)
৪. “পরিবেশ সংরক্ষণে বনায়ন” বিষয়ে একটি রচনা লিখুন।
বৃক্ষ বা গাছ মানুষের পরম বন্ধু। সভ্য যুগের আগে থেকেই মানম গাছকে বন্ধ হিসেবে পেয়েছে। যখন মানুষ আগুন জ্বালাতে শেখেনি তখন গাছের ফল-মূল খেয়েই জীবনযাপন করেছে। যখন মানুষ ঘর বানানাে শেখেনি তখন গাছের ছায়ায় মানুষ বিশাম নিয়েছে। শিকার ধরার জন্য মানষ গাছে আশ্রয় নিয়েছে। সভ্যতা গড়ে ওঠার আগে থেকেই মানুষ গাছ থেকে নিচ্ছে জীবন রক্ষাকারী ওষুধ। মানুষ গাছের কাঠ দিয়েই ঘরবাড়ি তৈরি করতে শিখেছে। জ্বালানি হিসেবে গাছকে কাজে লাগিয়েছে। এরপর সভ্যতা যতই এগিয়েছে মানুষের উপকারী বন্ধ হিসেবে গাছ মানুষকে আরও অনেক ক্ষেত্রে সহায়তা দিয়েছে। সব মাগুণ এর প্রতিদান দিয়েছে খুব নির্মমভাবে। মানুষ গাছকে বন্ধ ভাবতে পারেনি। নির্বিচারে গাছ কেটে বনাঞ্চলে বসাত স্থাপন করেছে। এতে মানুষ নিজেদেরই ক্ষতি করছে। নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার জন্য প্রয়ােজন পরিমাণমতাে বনাঞ্চল ।
বৃক্ষরােপণের প্রয়ােজনীয়তা : মানুষের জীবন রক্ষার্থে সবচেয়ে বেশি অবদান বৃক্ষের। বৃক্ষ থেকে নির্গত অক্সিজেন গ্রহণ করে আমরা বেচে আছি। আর আমাদের শরীর থেকে নির্গত বিষাক্ত কার্বন ডাইঅক্সাইড গ্রহণ করে বৃক্ষ পরিবেশকে বিষমুক্ত করে । পরিবেশের ভারসাম্য টিকিয়ে রাখে বৃক্ষ। প্রচুর বৃষ্টিপাত ঘটাতে বৃক্ষের অবদান রয়েছে। বাতাসের জলীয়বাষ্প ধারণ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে। এতে পরিবেশ ও আবহাওয়া থাকে নাতিশীতােষ্ণ ও হিমশীতল । মানুষের শরীর থাকে সুস্থ স্বাভাবিক। বৃক্ষ যেমন আবহাওয়াকে নিয়ন্ত্রণে আনে তেমনি প্রচুর বৃষ্টিপাতও ঘটায়। এতে মাটি উর্বর হয়, ফসল ফলে ভালাে। কিন্তু মানুষ নির্বিচারে বৃক্ষ নিধন করছে। এতে মানুষের জীবনধারণ ও পরিবেশ হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে। ঝড়-তুফান, নদীভাঙন বাড়ছে; ফুল-ফলের পরিমাণ কমছে। সুতরাং আমরা বলতে পারি, মানুষের জীবন বাঁচাতে ও পরিবেশ রক্ষার্থে বৃক্ষরােপণের প্রয়ােজনীয়তা অপরিসীম।
বাংলাদেশে বনাঞ্চলের পরিমাণ : সৌন্দর্যের অপার লীলাভূমি আমাদের এই বাংলাদেশ আমাদের জন্মভূমি পৃথিবীর একমাত্র জীবন্ত বদ্বীপ হিসেবে পরিচিত। আবার এই দেশেই রয়েছে পৃথিবীর সবচেয়ে বড়াে ম্যানগ্রোভ অরণ্য সুন্দরবন। এই বনে রয়েছে। সুন্দরি গাছসহ অসংখ্য প্রজাতির গাছ। কিন্তু দিন দিন বৃক্ষ নিধনের মাত্রা বেড়েই চলেছে। এতে বনভূমি প্রায় ধ্বংসের পথে। একটি দেশের পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার জন্য প্রয়ােজন ২৫% বনভূমি। কিন্তু আমাদের দেশে বনভূমির পরিমাণ মাত্র ১৬.৪৬% । মাথাপিছু বনের পরিমাণ ০.২২ হেক্টর। বনভূমি রক্ষার জন্য আমাদের সকলকে সচেতন হতে হবে এবং সরকারকে বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
বৃক্ষের সামগ্রিক অবদান : মানবজীবনে সবচেয়ে বেশি উপকার করে বৃক্ষ। মানুষের জীবন বাঁচাতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উৎসের যােগান দেয় বৃক্ষ। তাছাড়া ঘর-বাড়ি ও আসবাবপত্রসহ মানবজীবনে প্রয়ােজনীয় অনেক কিছুই বৃক্ষ থেকে তৈরি করা হয়। জালানি হিসেবে কাঠ ব্যবহার করা হয় এবং আর্থিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে বৃক্ষের অবদান অপরিসীম।
দুর্যোগ মােকাবিলায় বৃক্ষের অবদান : প্রায় প্রতিবছর বাংলাদেশে বিভিন্ন প্রকার দুর্যোগ হানা দেয়। যেমন-বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, সাইক্লোন, জলােচ্ছ্বাস, নদীভাঙন ইত্যাদি। এতে দেশের অনেক ক্ষতি হয়। অঞ্চল বিশেষে বিভিন্ন প্রকার বৃক্ষ সেখানকার পরিবেশ ও । ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণ করে, জমিকে ফসল ফলানাের উপযােগী করে তােলে। বক্ষ নদীভাঙন রক্ষা করে, ঘূর্ণিঝড়ের গতি কমিয়ে দেয়। অনাবৃর ২৩ থেকে ফসাল জমিকে রক্ষা করে। তাছাড়া উপকূলীয় এলাকায় দুর্যোগ মােকাবিলায় বৃক্ষ গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে ।
বৃক্ষানন ও তার প্রতিকার : বৃক্ষ মানুষের পরম বন্ধু হলেও প্রয়ােজনে-অপ্রয়ােজনে বৃক্ষ কাটা হচ্ছে। কেউবা জ্বালানির জন্য, কেউবা অর্থের প্রয়ােজনে আবার কেউবা ঘর-বাড়ি ও আসবাবপত্র তৈরি করতে বক্ষনিধন করছে। এতে বনজ সম্পদ কমছে। আমাদের এই বক্ষনিধন বন্ধ করতে হবে। একটি গাছ কাটার সাথে সাথে দশটি গাছ লাগাতে হবে। ধ্বংস নয় সষ্টি— এমন মনােভাব নিয়ে বক্ষ রক্ষার্থে এগিয়ে আসতে হবে। তবেই পরিবেশ রক্ষার সময়ােপযােগী বনাঞ্চল গড়ে তােলা সম্ভব হবে।
বৃক্ষরােপণ অভিযানে সরকারি উদ্যোগ : ১৯৯৫ সালে সরকারি ও বেসরকারিভাবে প্রায় ২০ কোটি চারা বিক্রয় ও বিতরণের কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। বিটিসি চলতি মৌসুমে প্রায় ৩ লাখ চারা বিনামূল্যে বিতরণ করে। কয়েকটি বেসরকারি সংস্থা দেশের বিভিন্ন স্থানে ৭ হাজার চারা রােপণ করে। কুষ্টিয়া, মেহেরপুর, ভেড়ামারা, দিনাজপুরসহ কয়েকটি জেলায় সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি বেসরকারি উদ্যোগেও বনায়ন শুরু হয়েছে। বেশকিছু উদ্যোগী লােক বিভিন্ন রাস্তা, সেচ প্রকল্পের খাল ও বিভিন্ন জায়গা লিজ নিয়ে বৃক্ষরােপণ শুরু করেছেন। এরা অন্যান্য সুফলসহ আর্থিক দিক দিয়েও লাভবান হচ্ছেন। দেশের ব্যস্ত মহানগরগুলােসহ বিভিন্ন। শহরের রাস্তাঘাট, ট্রেন লাইনসহ বিভিন্ন স্থানে বৃক্ষরােপণ করা যায়। লায়ন্স, রােটারি ও লিও ক্লাবগুলােসহ অন্যান্য সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন বৃক্ষরােপণ অভিযানে সহায়তা দিচ্ছে। সেই থেকে প্রতিবছর সরকারি ও বেরসকারি উদ্যোগে বৃক্ষরােপণ অভিযান চলে।
বৃক্ষরােপণ অভিযানের গুরুত্ব : বাংলাদেশের মতাে বিশ্বের অন্যতম জনবহুল ও উন্নয়নশীল দেশে বৃক্ষরােপণ অভিযানের গুরুত্ব অপরিসীম। বর্ধিত জনসংখ্যার জন্য অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, স্কুল, কলেজ, হাট-বাজার প্রভৃতির যােগান দিতে গিয়ে চাপ পড়ছে বনজ সম্পদ ও বনভূমির ওপর। প্রতি বছরই বনজ সম্পদ ও বনভূমি কমছে। এ পরিস্থিতিতে গ্রামে-গঞ্জে বা বনভূমিতে প্রকৃতির ইচ্ছা অনুযায়ী গাছপালা জন্মানাে ও বেড়ে ওঠা সম্ভব নয়। বনজ সম্পদ বাড়ানাের একমাত্র উপায় হলাে বৃক্ষরােপণ করা । সুস্থ জীবনযাপনের জন্য যেখানে শতকরা ২৫ ভাগ বনজ সম্পদ ও বনভূমি থাকা দরকার, সেখানে আমাদের দেশে বন রয়েছে শতকরা। ১৬.৪৬ ভাগ। বনাচ্ছাদিত বনভূমির পরিমাণ শতকরা ১০ ভাগ ।
বৃক্ষরােপণ অভিযানের উদ্দেশ্য : বৃক্ষরােপণ অভিযানের মাধ্যমে বৃক্ষের উপকারিতা ও সংরক্ষণের প্রয়ােজনীয়তা সম্পর্কে জনগণের মধ্যে গণসচেতনতা বাড়ানাে যায়। সরকারি বনভূমিই বনজ সম্পদ সৃষ্টির একমাত্র উৎস নয়, এক্ষেত্রে জনগণকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে এগিয়ে আসতে হবে। বাড়ির আশেপাশের আঙ্গিনায় ছােটো-বড়াে যেকোনাে গাছের চারা লাগানাের জন্য জনগণকে উৎসাহিত করতে হবে । মসজিদ, মন্দিরের খালি জায়গা, খেলার মাঠ, স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে গাছ লাগানাের মাধ্যমে বনজ সম্পদ বাড়ানাে যায় । বৃক্ষরােপণের মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টি, দারিদ্র্যবিমােচন ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করা যায়। বন্য প্রাণীর আবাসস্থল তৈরি ও বন্য প্রাণী সংরক্ষণ করা যায়। এসব উদ্দেশ্যকে সামনে রেখেই ১৯৮৪ সালে বাংলাদেশে প্রথম বৃক্ষরােপণ অভিযানের যাত্রা শুরু হয়। বাংলাদেশ বন বিভাগ এ অভিযানের নেতৃত্ব দিচ্ছে। বৃক্ষরােপণ অভিযানকে সফল করার লক্ষ্যে বর্তমানে জাতীয় পর্যায়ে বৃক্ষরােপণ অভিযান পালন, এ উপলক্ষ্যে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় ক্রোড়পত্র প্রকাশ, রেডিও, টিভিতে এ অভিযান সম্পর্কে ব্যাপক প্রচারণা চালানাে, বিভিন্ন ডকুমেন্টারি ফিল্ম তৈরি করে তা প্রচার করা ও বৃক্ষরােপণ অভিযান উপলক্ষ্যে প্রতি বছর র্যালি আয়ােজন করা হয় । এছাড়া সারা দেশব্যাপী বৃক্ষমেলার আয়ােজন, বৃক্ষ সম্পর্কিত লিফলেট, পােস্টার ও বিনামূল্যে পুস্তিকা বিতরণ করা হচ্ছে।
বৃক্ষমেলা : বৃক্ষরােপণে জনগণের সচেতনতা বৃদ্ধি ও বৃক্ষের উপকারিতা সম্পর্কে ধারণা প্রদানের জন্য সারা দেশব্যাপী জেলা ও থানা সদরে ১৯৯৪ সাল থেকে বৃক্ষমেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সারা দেশে অনুষ্ঠিত বৃক্ষমেলায় জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করে । বৃক্ষমেলায় গাছের চারা, আসবাবপত্র, পরিবেশ সম্পর্কিত ও বন গবেষণাসহ বিনােদনমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। বৃক্ষরােপণ কার্যক্রমকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য ও সকলকে অনুপ্রাণিত করার জন্য সরকার ১৯৯২ সাল থেকে বৃক্ষরােপণ পুরস্কার প্রবর্তন করেন । এতে প্রতি বছর ৯টি করে ২৭টি পুরস্কার প্রদান করা হয় ।
বন বিভাগের নার্সারি : ১৯৯৪ সালে বন বিভাগের বিভিন্ন নার্সারি কেন্দ্র থেকে ১ কোটি ৮ লাখ চারা বিতরণ করা হয়। সরকারি নার্সারি কেন্দ্র হতে এসব চারা বিক্রি হয়। বৃক্ষরােপণ অভিযানের ফলে প্রতি বছর বৃক্ষরােপণে জনগণের অংশগ্রহণ ও সম্পৃক্ততা বাড়ছে। বাংলাদেশে সরকারি নার্সারির পাশাপাশি ৫ হাজার ৫শটি বেসরকারি নার্সারি গড়ে উঠেছে। বৃক্ষরােপণ অভিযানকে সার্থক করার জন্য বেশ কয়েকটি এনজিওসহ সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এগিয়ে এসেছে।
উপসংহার : বক্ষ মানুষের পরম বন্ধু । একজন মানুষের কমপক্ষে তিনটি গাছ লাগানাে উচিত। একটি ফুলের, একটি ফলের ও একটি ঔষধি । তাহলেই বক্ষরােপণ অভিযান সফল হবে। গাছ বাড়লে মানুষের জীবন বাচবে। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বৃক্ষ সম্পর্কে বলেছেন—
ইংরেজী অংশ সমাধানঃ
৫. Translate the following sentences from bangla to english :
(i) মধু খেতে মিষ্টি=উত্তরঃ Honey is sweet when it is tasted (Honey tastes sweet)
(i) ট্রেনটি সকাল নয়টায় ছাড়ে=উত্তরঃ The train leaves at 9 AM in the morning.
(i) মশি মামা পুকুরে মাছ ধরছিলেন=উত্তরঃ Moshi uncle was fishing in the pond.
৬. Make the sentences with meaning using the following idioms:
(i) For good উত্তরঃ (চিরতরে) - Humayun Ahmed has left us for good.
(i) On and on উত্তরঃ (একটানা) - He runs 2 miles on and on everyday.
(i) In a nutshell উত্তরঃ (সংক্ষেপে) - Please tell me the evet in a nutshell.
৭. Write a paragraph on “ Importance of corruption-free society”
Corruption breeds immoral individuals working in improper systems of society wherein resources meant for welfare of society are diverted for personal gains rather than being utilized for the purpose these are meant for. The quality and impact of living in a corrupt-free nation depends on patriotism and a life of profound commitment and biblical values. All citizens must listen to their conscience and do what it takes to respect the rule law. No one can claim to be corrupt-free, what is called upon is a spirit of vigilance in keeping alive the essential dimension of honesty. Churches and more so the Catholic Church has the obligation of being the conscience of the nation. In the process of maintaining corrupt-free deals, we become models whom the society will desire always to imitate. Let us not be afraid to speak to people about honest living and to introduce them by our own example to life. It is not only thieves who are rich. Even a lot of honest people are rich and even generous. Let us make sure that we became rich only in the right way and then all of us will be happy. To be corrupt free we need to be prudent, intelligent, moderate, courageous, willing to sacrifice, wise and educated. Let us build a corrupt-free society anywhere we live.
কৃষি বিষয়ভিত্তিক অংশ সমাধানঃ
ক-বিভাগ
৮. ফলের মিষ্টি গন্ধের জন্য দায়ী কি? উত্তরঃ এস্টার
৯. তুত কোন শিল্পে ব্যবহৃত হয়? উত্তরঃ বস্ত্র শিল্পে
১০. কোন সার ব্যবহারে অম্লতা (Acidity) বৃদ্ধি পায়? উত্তরঃ টিএসপি (ট্রিপল সুপার ফসফেট)
১১. পিঁয়াজের কান্ড কোন ধরনের? উত্তরঃ রূপান্তরিত কাণ্ড
১২. হলটেয়ার (Holtair) থাকে কোন পোকায়? উত্তরঃ মাছি
১৩. ডুমুর কোন জাতীয় ফল? উত্তরঃ যৌগিক ফল (যখন একটি পুষ্পমঞ্জরির সব ফুল মিলে একটি ফলে পরিণত হয় তখন সে ফলকে যৌগিক ফল বলে। যৌগিক ফলের ভেতরে অসংখ্য বীজ থাকে। যেমন- আনারস, কাঁঠাল, ডুমুর ইত্যাদি।)
১৪. প্লাংকটন (Plankton) কি? উত্তরঃ প্লাংকটন হলো পানিতে মুক্তভাবে ভাসমান আণুবীক্ষণিক জীব। এক কথায় বলতে গেলে মাছের প্রাকৃতিক খাবারকে প্লাংকটন বলে।
১৫. বোর্দো মিক্সার (Bordeaux mixture) এর কার্যকারী অনুপাত কত? উত্তরঃ তুঁত, চুন এবং পানির অনুপাত হবে ১:১:১০০
১৬. বীজ তুলা থেকে বীজ ছাড়ানোকে কি বলে? উত্তরঃ জিনিং
১৭. হার্ডেনিং (Hardening) কখন করতে হয়? উত্তরঃ হার্ডেনিং করা হয় চারা বীজতলা থেকে মূল জমিতে স্থানান্তরের সময়।
১৮. বাংলাদেশ মহিষ প্রজনন খামার কোথায় অবস্থিত? উত্তরঃ বাগেরহাট
১৯. সিম, সরষা, লাউ, শশা, মিষ্টি কুমড়ায় কোন ধরনের অঙ্কুরোদগম হয়? উত্তরঃ মৃৎভেদী অঙ্কুরোদগম ( যে অঙ্কুরোদগম প্রক্রিয়ায় বীজপত্রসহ ভ্রূণমুকুল মাটি ভেদ করে উপরে উঠে আসে তাকে মৃৎভেদী অঙ্কুরোদগম বলে। যেমন-তেঁতুল, কুমড়া,পিঁয়াজ, শিম ইত্যাদি।)
২০. কোন উদ্ভিদে নডিউল হয়? উত্তরঃ শিমজাতীয় উদ্ভিদের মূলে নডিউল হয় (Leguminosae গোত্রের উদ্ভিদের মূলে নডিউল দেখা যায়)
২১. এপিকালচার কি? উত্তরঃ মৌমাছি পালন
২২. কম্পোস্ট কোন প্রকারের সার? উত্তরঃ কম্পোস্ট হলো প্রাণী ও উদ্ভিদ জাত দ্রব্য থেকে তৈরিকৃত জৈব সার।
২৩. টুমরো রোগের কারণ কি? উত্তরঃ রাইস টুংরো ভাইরাস (Rice Tungro Virus) নামক এক ধরনের অতি সূক্ষ্ম জীবাণু দ্বারা এ রোগ হয়ে থাকে।
২৪. মাটির স্পর্শ ছাড়া কৃষিকে কি বলে? উত্তরঃ হাইড্রোফনিক বা পানিতে চাষাবাদ।
২৫. ট্রাইকোডার্মা (Trichoderma) কি? উত্তরঃ ট্রাইকোডার্মা হচ্ছে মাটিতে মুক্তভাবে বসবাসকারি উপকারি ছত্রাক- যা উদ্ভিদের শিকড়স্থ মাটি, পঁচা আবর্জনা ও কম্পোস্ট ইত্যাদিতে অধিক পরিমাণে পাওয়া যায়।
খ-বিভাগ
২৬. নাইট্রিফিকেশন (Nitrification) বলতে কি বুঝায়? উত্তরঃ অ্যামোনিয়াকে নাইট্রাইটে পরিনত করাকে নাইট্রিফিকেশন বলে । অর্থাৎ যে পদ্ধতিতে জীবাণুর ক্রিয়ার ফলে মৃত্তিকাস্থ অ্যামোনিয়া প্রথমে নাইট্রাইট এবং পরে নাইট্রেট যৌগে পরিণত হয়, তাকে নাইট্রিফিকেশন বলে।
২৭. ধান গাছের বৃদ্ধির পর্যায়গুলো লিখুন। উত্তরঃ ধান গাছের বৃদ্ধির পর্যায়গুলো প্রধানতঃ ১. দৈহিক বৃদ্ধি পর্যায় ২. জনন পর্যায় ৩. পরিপক্ক পর্যায়।
২৮. গ্রীন হাউস ইফেক্ট বলতে কী বোঝায়? উত্তরঃ উচ্চ অক্ষাংশে শীতপ্রধান উন্নত দেশসমূহে শাক-সবজি উৎপাদনের জন্য তৈরী বিশেষ একধরনের কাঁচের ঘরকে সবুজ ঘর বা গ্রীন হাউস (Green House) বলা হয়ে থাকে।
গ-বিভাগ
২৯. মাটির উর্বরতা (Soil Fertility) ও উৎপাদনশীলতা (Productivity) বলতে কী বোঝায়? মাটির উর্বরতা কিভাবে বৃদ্ধি করা যায়?
উত্তরঃ
মাটির উর্বরতা (Soil Fertility): গাছের বৃদ্ধি ও পুষ্টির জন্য যথেষ্ট পরিমাণ খাদ্য উপাদান একটি নির্দিষ্ট অনুপাতে সরবরাহ করা মাটির সহজাত অভ্যাস। একেই মাটির উর্বরতা বলা হয়।
মাটির উৎপাদনশীলতাঃ গাছের বৃদ্ধি ও পুষ্টির জন্য মাটির যে সক্ষমতা তাকেই মাটির উৎপাদনশীলতা বলে।
নিম্নলিখিত বিষয়গুলি অবলম্বন করলে কোনরূপ রাসায়নিক সার ব্যবহার না করেই মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি করা যায়।
১. প্রথমেই খেয়াল রাখতে হবে যাতে মাটির উপরি স্তর কখনো খালি না থাকে। মানে সবসময় কোনো না কোনো গাছ/ ঘাস দ্বারা আবৃত থাকতে হবে।
২. এক বছরের অন্তত ৩-৪ মাস মাটির ওপর ডাল জাতীয় গাছ থাকতে হবে। এই জাতীয় গাছ নাইট্রোজেনকে মাটিতে সংবদ্ধকরনে খুব সহায়ক।
৩. বছরের বাকি সময় যদি অন্য ফসলের সাথেও ডাল জাতীয় ফসলের অন্তর্বর্তী চাষ করা করা যায় তাহলে আরো ভালো।
৪. দুটি ফসল অন্তর্বর্তীয় চাষে একসাথে লাগাতে হলে আলাদা আলাদা শেকড়ের দৈর্ঘকে প্রাধান্য দেওয়া উচিত।
৫. অধিকভোজী ফসল যেমন আঁখ, কার্পাস এগুলো বছরের পর বছর লাগাতে নেই, ঘনঘন ফসলের পরিবর্তন করা দরকার।
৬. মাটিতে ভালো মানের কপোস্ট, গোবর, খইল ইত্যাদি জৈব পদার্থ মেশানো দরকার। এগুলো মাটিতে জৈব কার্বনের পরিমান বৃদ্ধি করে। এছাড়াও মাটিতে উপকারী জীবাণুর পরিমান বাড়ানোর জন্য এগুলো অত্যন্ত জরুরি।
৭. জৈব সার যেমন এজটোব্যাক্টর, ফসফেট এবং পটাশিয়াম দ্রবণকারী ব্যাকটেরিয়া ইত্যাদি মেশাতে হবে।