করোনাভাইরাস বর্তমান বিশ্বে একটা আতঙ্কের নাম । প্রতিটা দেশ বর্তমানে হিমশিম খাচ্ছে এই ভাইরাস থেকে রক্ষা পাবার জন্য। আমাদের দেশ তাদের থেকে ব্যতিক্রম না। আমাদের দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হয়েছে এমন কি অনেক জেলা লকডাউন করা হয়েছে । তার পরেও আক্রান্ত এবং মৃত রোগীর সংখ্যা দিন দিন বেড়েই যাচ্ছে । এখন যে অবস্থায় দেশ আছে এভাবে চলতে থাকলে আমরা বেশি দিন চলতে পারবনা। তাই আমাদের মত দেশকে দ্রুত এই সমস্যার সমাধান করতে হবে । করোনাভাইরাস নিয়ে সরকারের বিভিন্ন কার্যকম থাকলেও আমার দৃষ্টিতে পরিকল্পনায় কিছু ভুল করছে । সরকারের ইচ্ছে থাকলে এবং জনগণের সহায়তায় ১৫ দিনের মধ্যে আমরা এই আতঙ্ক থেকে মুক্তি পেতে পারি । বর্তমানে সরকার যে পরিকল্পনায় চলছে তাতে ৬ মাসেও সম্ভব হবে না করোনা মুক্ত করা । কারণ ভাইরাস একজনের থেকে আরেক জনের কাছে যাচ্ছে ফলে দিন দিন রোগীর সংখ্যা বেড়েই যাচ্ছে । এই অবস্থা থেকে মুক্তির জন্য আমাদের প্রয়োজন ১৫ দিনের একটা পরিকল্পনা । যা আমাদের দেশের সকল ক্রার্যকম স্বাভাবিক করতে সাহায্য করবে । কারণ করোনাভাইরাস ১৪ দিনের এর মধ্যে প্রকাশ পায় । ফলে ১৫ দিনে যারা আক্রান্ত হচ্ছে তাদের আলাদা করে চিকিৎসা দিয়ে ও তাদের পাশে যারা থাকছে তাদের আলাদা করতে পারলেই এইটা সমাধান করা সম্ভব । এখন যেভাবে পরিচালনা করা হচ্ছে তাতে ভাইরাস প্রবাসীদের মধ্যে থেকে দেশের মানুষের কাছে পৌঁছে দিয়েছে , এমন কি গ্রামের আরো মানুষের কাছেও যেতে পারে , যারা মনেই করছে না তারা আক্রান্ত হয়েছে ।
১৫ দিনের পরিকল্পনা নিম্নরূপঃ
১। ১৫ দিন পর্যন্ত কারফিউ জারি । কোন ব্যাক্তি ১৫ দিন পর্যন্ত বাড়ি থেকে বের হতে পারবেনা । যে যেখানে আছে ১৫ দিন সেই খানেই অবস্থান করবে ।
২ । প্রতিটা গ্রামের প্রাথমিক শিক্ষক এবং মসজিদের ইমাম এসব দেখভালের দ্বায়িত্বে থাকবে। ঐ গ্রামের যা কিছু প্রয়োজন তারা একটা টিম করে নিরাপদে বাসায় পাঠিয়ে দিবে ।
৩ । সেনাবাহিনী , বডারগার্ড , পুলিশ , আনসার সহ সকল বাহিনীর সদস্য প্রতিটা গ্রামে ক্যাম্প করবে যাতে কেউ আইন ভঙ্গ করতে না পারে । এছাড়া তারা বিভিন্ন বিষয়ে তদারকি করবেন।
৪। জেলা প্রশাসাক সহ টিএনও , ইউএনও , বিসিএস ক্যাডার সহ সকল উচ্চ পদস্থ ব্যক্তির অধীনে একটা করে ইউনিয়ন পরিষদের দ্বায়িত্ব দিতে হবে । তারা সেই ইউনিয়নের সকল ওয়ার্ড পরিচালনা করবে ।
৫। যে কোন রোগী বা করোনা আক্রান্ত কোন ব্যক্তির সন্ধান পাওয়া মাত্র বিশেষ নিরাপত্তা দিয়ে হাঁসপাতালে নিয়ে আসতে হবে ।
৬। এভাবে ১৫ দিন পরিচালনা করতে পারলে করোনা সংক্রমণ ০% নিয়ে আসা যাবে ।
৭। যখন দেখা যাবে আমাদের দেশে করোনা আক্রান্ত সংখ্যা নাই , তখন বিদেশ থেকে যে কেউ আসলে তাকে সরকার নিজ দ্বায়িত্তে ১৫ দিন কোয়ারেন্টাইনে রাখবে । তা হলে নতুন করে আর রোগী আমাদের দেশে আক্রান্ত হবে না ।
৮। আমরা বাহিরের দেশের সাথে যোগাযোগ না করতে পারলেও, ১৫ দিন পরে নিজেদের সকল কিছু সচল করতে পারবো। আমাদের দেশের সকল কিছু স্বাভাবিক ভাবে চলবে ।
বর্তমানে সরকার যা করছে তাতে আমাদের ক্ষতি কি কি হচ্ছে তা দেখুন নিচের তালিকায়ঃ
১। শিক্ষা বন্ধঃ যদিও সরকার ৩১ পর্যন্ত বন্ধ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করেছে কিন্তু ৩১ তারিখে স্বাভাবিক হবে এমন লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না ।
২। প্রতিটা জেলা শহর থেকে মানুষকে বাসায় চলে যেতে বলছে , ফলে শহরে যদি কেউ আক্রান্ত হয় তা হলে সে গ্রামে গিয়ে আরো বেশি মানুষকে আক্রান্ত করবে । গ্রামের মানুষ অসচেতন বেশি , ফলে করোনার বিস্তার আরো বেশি হচ্ছে ।
৩। বর্তমানে অর্থনৈতিক যে ক্ষতি হচ্ছে তা যদি আরো ৬ মাস চলে তা হলে দেশের মানুষকে রক্ষা করা কঠিন হয়ে যাবে । তাই আমরা যদি ৬ মাসের ক্ষতিকে ১৫ দিনে করে স্বাভাবিক হতে পারি । আমার দৃষ্টিতে এটাই আমাদের জন্য ভাল ।
৪। আমরা কিন্তু দেশের ৭০% দেশের সব কিছু বন্ধ করেই দিয়েছি, তা হলে আর ৩০% বন্ধ করে দিয়ে যদি ১৫ দিন পরে আমরা ১০০% নিরাপদ হয় তা হলে আমার দৃষ্টিতে অনেক ভাল হয় ।
সরকারের কাছে বিশেষভাবে অনুরোধ করবো বিষয়টা নিয়ে ভাবার জন্য এবং আপনাদের সবাইকে অনুরোধ করবো বিষয়টা বিশ্লেষণ করার। যদি আমার আইডিয়া ভাল লাগে এবং বিশ্লেষণ আপনার পছন্দ হয় তাহলে আপনার পরিচিত উচ্চ পদস্থ কোন কর্মকর্তা থাকলে আলোচনা করতে পারেন । সাথে আপনাদের ও তাঁদের মতামত যোগ করতে পারেন। আমাদের Jobs Exam Alert App এর ব্যবহারকারী ৪ লাখ ৪৪ হাজার এর মধ্যে অনেকেই আছেন এমন পরিবার থেকে যারা এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার ক্ষমতা রাখেন। দয়া করে বিষয়টা আলোচনা করে দেখবেন।
বাংলাদেশ নিরাপদ হোক, আমরা নিরাপদে থাকতে চাই।
লিখেছেনঃ জবস এক্সাম অ্যালার্ট এর প্রতিষ্ঠাতা এনামুল হক ।