সকল সরকারি চাকরির তথ্য সবার আগে মোবাইলে নোটিফিকেশন পেতে ডাউনলোড করুন
Android App: Jobs Exam Alert

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সহকারী পরিচালকের ১৩২টি শূন্যপদে প্রাথমিক বাছাই পরীক্ষার ফলাফলে একজনের উত্তীর্ণ হওয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। দেখা গেছে পরীক্ষার আসনবিন্যাসে (সিট প্ল্যান) উল্লেখ করা সর্বশেষ রোল নম্বরের বাইরে থেকে একজন প্রার্থী লিখিত পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত হয়েছেন। আর এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনায় মুখর হয়েছেন চাকরিপ্রার্থীদের অনেকে।

এসব সমালোচনার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে দুদক বলছে, মুঠোফোন অপারেটর টেলিটকের ‘যাচাই-বাছাইয়ে’ দেরি হওয়ার কারণে এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এটি নিয়ে সংশয়ের কিছু নেই। শতভাগ স্বচ্ছতার সঙ্গে নিয়োগের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

দুদকের সহকারী পরিচালকের ১৩২টি শূন্যপদে গত শুক্রবার প্রাথমিক বাছাই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষার ফি হিসেবে প্রার্থীদের আবেদনের নিয়ম অনুসরণ করে ৫০০ টাকা রাষ্ট্রায়ত্ত মুঠোফোন অপারেটর টেলিটক প্রি-পেইড সিম কার্ড থেকে এসএমএসের মাধ্যমে পাঠাতে বলা হয়েছিল।

২০ ফেব্রুয়ারি দুদকের প্রশাসন ও মানবসম্পদ বিভাগের পরিচালক জালাল সাইফুর রহমানের স্বাক্ষরে ওয়েবসাইটে প্রকাশিত আসনবিন্যাসে দেখা যায়, পরীক্ষায় মোট প্রার্থী ৯২ হাজার ৯৫৪ জন। একইদিন দুদকের মহাপরিচালক (প্রশাসন) মো. জহির রায়হান স্বাক্ষরিত পরীক্ষাটির প্রকাশিত ফলাফলে দেখা যায়, সেখানে ২ হাজার ৪৮২ জন প্রার্থী লিখিত পরীক্ষার জন্য উত্তীর্ণ হয়েছেন, যাঁদের মধ্যে ৯৩ হাজার ১৮২ রোল নম্বরধারী (সিট প্ল্যানের তালিকা বহির্ভূত) একজন রয়েছেন।

এটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে জীবনানন্দ আচার্য নামের এক প্রার্থী লিখেছেন, ‘সিট প্ল্যান ৯২ হাজার ৯৫৪ পর্যন্ত আর রেজাল্ট শিটে ৯৩ হাজার ১৮২! এটা কীভাবে হলো! তাড়াতাড়ি রেজাল্ট দেওয়ার কারণেই কি এটা হয়েছে? এতগুলো মানুষের স্বপ্ন নিয়ে এভাবে ছিনিমিনি খেলা! এর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে দুদকের মুখপাত্র প্রণব কুমার ভট্টাচার্য আজ শনিবার প্রথম আলোকে বলেন, টেলিটকের ‘যাচাই-বাছাইয়ে’ দেরি হওয়ার কারণে ২৬০ জনের মতো প্রার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ হারাচ্ছিলেন। শেষ মুহূর্তে তাঁদের পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া হয়। আর এ কারণে আসনবিন্যাসে ওই প্রার্থীদের রোল নম্বর ছিল না। একটি কেন্দ্রে তাঁদের সবার পরীক্ষা নেওয়া হয়। শতভাগ স্বচ্ছতার সঙ্গেই পরীক্ষা হয়েছে। সূত্রঃ প্রথম আলো