৩৭তম বিসিএসে নন–ক্যাডার তালিকা থেকে প্রার্থীদের নিয়োগের উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। এ জন্য বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে শূন্য পদের সংখ্যা ও চাহিদা জানতে চেয়েছে পিএসসি। মন্ত্রণালয়গুলো ৩০ জুলাইয়ের মধ্যে এসব শূন্য পদের চাহিদা পিএসসিতে পাঠাতে পারবে।
পিএসসি সূত্র জানায়, গত ১২ জুন ৩৭তম বিসিএসে ১ হাজার ৩১৪ জনকে ক্যাডার হিসেবে সুপারিশ করে চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করে পিএসসি। এতে সাধারণ ক্যাডার হয়েছেন ৪৬৫ জন, সহকারী সার্জন হয়েছেন ২৭২ জন, ডেন্টাল সার্জন হয়েছেন ৫১ জন। অন্যান্য কারিগরিতে ক্যাডার হয়েছেন ৩১৬ জন এবং শিক্ষা ক্যাডার হয়েছেন ২১০ জন।
এ ছাড়া ৩ হাজার ৪৫৪ জনকে নন–ক্যাডারে অপেক্ষমাণ রাখা হয়েছে। পদ পাওয়া সাপেক্ষে তাদের নিয়োগ দেওয়া হবে।
নন–ক্যাডারদের নিয়োগ দিতে ৩৭তম বিসিএসের ফলাফল ঘোষণার পর পিএসসি বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির তালিকা চেয়ে চিঠি দেয়ে। সেই তালিকা পেয়ে বেশ কিছু মন্ত্রণালয় এরই মধ্যে পিএসসিতে শূন্য পদের তালিকা দেওয়া শুরু করেছে। ৩০ জুলাই তালিকা পাঠানোর শেষ দিন নির্ধারণ করেছে পিএসসি। এরপর শূন্য পদের সংখ্যার কথা জানা যাবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পিএসসির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ক্যাডার) নেসার উদ্দিন আহমদ প্রথম আলোকে বলেন, ৩৭তম বিসিএসে নন–ক্যাডারের তালিকা পেতে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে তালিকা চেয়ে পিএসসি চিঠি পাঠিয়েছে। সেখান থেকে কিছু শূন্যপদ পাওয়া শুরু হয়েছে। ৩০ জুলাইয়ের পর এই তালিকা সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যাবে। এই সময়ের মধ্যে মন্ত্রণালয়গুলো পিএসসিতে শূন্য পদের তালিকা দিতে পারবে। সেখান থেকেই নন–ক্যাডারদের নিয়োগ দেওয়া হবে।
গত বছরের ১১ ফেব্রুয়ারি ৩৭তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা শুরু হয়। শেষ হয় গত বছরের ২৩ মে। এই পরীক্ষায় ৫ হাজার ৩৭৯ জন পাস করেন।
২০১৬ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ৩৭তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশ নেন ২ লাখ ৪৩ হাজার ৪৭৬ জন পরীক্ষার্থী। প্রাথমিক বাছাই পরীক্ষায় ৮ হাজার ৫২৩ জন উত্তীর্ণ হন। তবে লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেন ৮ হাজার ৩১ জন।
প্রথম শ্রেণির গেজেটেড কর্মকর্তা হিসেবে ১ হাজার ২২৬ জনকে নিয়োগ দিতে ৩৭তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিল পিএসসি। সূত্রঃ প্রথম আলো