সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধি সংশোধনের কাজ প্রায় চূড়ান্ত। আগস্টের শেষ সপ্তাহে সংশোধিত নিয়োগ বিধি প্রকাশ হতে পারে। নিয়োগ বিধি প্রকাশের পরের দিনেই সহকারী শিক্ষক পদের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, প্রাথমিক শিক্ষক পদে প্রায় ১৭ হাজার প্রার্থীকে নিয়োগ দেওয়া হবে। কিন্তু নিয়োগ বিধি সংশোধনের কাজ চূড়ান্ত না হওয়ায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে পারছে না প্রতিষ্ঠানটি।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম ধাপের নিয়োগ পরীক্ষা অতি সন্নিকটে । তাই শেষ সময়ের প্রস্তুতির জন্য শর্ট সাজেশন ও মডেল টেস্ট বই প্রকাশ হয়েছে। শেষ সময়ের প্রস্তুতি ও নিজেকে মডেল টেস্টের মাধ্যমে যাচাইয়ের জন্য বইটি সংগ্রহ করুন। আপডেট বই দ্রুত প্রকাশ হবে?
বইটি কেন পড়বেন?
বইটি ২০০৬ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত অনুষ্ঠিত সকল প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নের বিশ্লেষণ করে তৈরি করা হয়েছে। যে অংশ না পড়লেই নয় অর্থাৎ প্রতিটা প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় যে অংশ থেকে কমন আসে সেই অংশগুলোর গুরুত্বপূর্ণ তথ্যে সাজানো হয়েছে।
বইটিতে কি কি থাকছে?
১। অধ্যায় ও বিষয়ভিত্তিক শর্ট সাজেশন
২। বিষয়ভিত্তিক মডেল টেস্ট
৩। স্পেশাল পূর্ণাঙ্গ মডেল টেস্ট
৪। ২০০৬ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত অনুষ্ঠিত সকল প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন যুক্ত করা হয়েছে অধ্যায়ের শুরুতে ।
অধ্যায় ও বিষয়ভিত্তিক শর্ট সাজেশনঃ
বাংলাঃ মোট ৬৮পৃষ্ঠা
ইংরেজিঃ মোট ৫৯ পৃষ্ঠা
গণিতঃ মোট ৫২ পৃষ্ঠা
সাধারণ জ্ঞান , কম্পিউটার ও বিজ্ঞানঃ মোট ৬১ পৃষ্ঠা
বিষয় ভিত্তিক মডেল টেস্ট- ২০ টি
পূর্ণাঙ্গ মডেল টেস্ট- ২৫ টি
এদিকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, নারী কোটা, পোষ্য কোটা বাতিলসহ নিয়োগবিধিতে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আসছে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় বিধিমালা প্রস্তুত করে অনুমোদনের জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে।
মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ অধিদপ্তর, বিভাগ, জেলা ও উপজেলা কার্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগবিধিতেও আসছে পরিবর্তন। এসব প্রতিষ্ঠানে অনেক পদেই পদোন্নতি হতো না, সেখানেও পদোন্নতির সুযোগ রাখা হচ্ছে নতুন চাকরিবিধিতে।
সংশোধিত নিয়োগ বিধিমালা চূড়ান্তের পাশাপাশি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তর সহকারী শিক্ষক পদে প্রায় ১৭ হাজার পদে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ারও প্রস্তুতি নিচ্ছে। এর মধ্যে সহকারী শিক্ষক (সংগীত) পদে ২ হাজার ৫৮৩ ও সহকারী শিক্ষক (শরীর চর্চা) পদে ২ হাজার ৫৮৩ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে।
এ প্রসঙ্গে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু নূর মো. শামসুজ্জামান আজ সোমবার প্রথম আলোকে বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংশোধিত শিক্ষক নিয়োগবিধির কাজ প্রায় চূড়ান্ত। আইনি বিষয়গুলো খতিয়ে দেখার জন্য বিধিটি আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। নারী কোটা, পোষ্য কোটা বাতিলসহ নিয়োগবিধিতে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আসছে। নিয়োগবিধি চূড়ান্ত হওয়ার পরের দিনেই প্রায় ১৭ হাজার পদে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে।
অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে সংশোধিত নিয়োগ বিধিতে ৯৩ শতাংশ প্রার্থীকে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া হবে। এর বাইরে ৫ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা, ১ শতাংশ প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গ কোটা ও ১ শতাংশ ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর জন্য সংরক্ষিত রাখা হয়েছে।
সূত্রঃ প্রথম আলো