চলতি বছরে এইচএসসির প্রতিটি বিষয়ের প্রতি পত্রে দুই ঘণ্টার পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে ২০ মিনিট নৈর্ব্যক্তিক এবং ১ ঘণ্টা ৪০ মিনিট রচনামূলক প্রশ্নের উত্তর দেয়ার জন্য বরাদ্দ থাকবে।
বিজ্ঞান বিভাগে ব্যবহারিকসহ বিষয়গুলোতে পরীক্ষার্থীদের প্রতি পত্রে ৪৫ নম্বরের পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে। এরমধ্যে রচনামূলকে ৩০ নম্বর ও নৈর্ব্যত্তিকে থাকবে ১৫ নম্বর। আর মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের ব্যবহারিক ছাড়া বিষয়গুলোতে শিক্ষার্থীদের প্রতি পত্রে ৫৫ নম্বরের পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে। এরমধ্যে ৪০ নম্বর রচনামূলক পরীক্ষা ও ১৫ নম্বরের নৈর্ব্যাত্তিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। তবে বাংলা দ্বিতীয় পত্র এবং ইংরেজি প্রথম ও দ্বিতীয় পত্র পরীক্ষা হবে ৫০ নম্বরের।
ব্যবহারিক ছাড়া বিষয়েগুলোর রচনামূলকের ৪০ নম্বরকে ৭০ নম্বরে এবং নৈর্ব্যক্তিকের ১৫ নম্বরকে ৩০ নম্বরে রূপান্তর করে ফল প্রস্তুত করা হবে। আর ব্যবহারিকসহ বিষয়গুলোর রচনামূলকের ৩০ নম্বরকে ৫০ নম্বরে এবং নৈর্ব্যক্তিকের ১৫ নম্বরকে ২৫ নম্বরে রূপান্তর করে ফল প্রস্তুত হবে। বাংলা দ্বিতীয় পত্র এবং ইংরেজি প্রথম ও দ্বিতীয় পত্রের ৫০ নম্বরকে ১০০ নম্বরে রূপান্তর করা হবে।
এসব তথ্য জানিয়ে গতকাল রোববার এইচএসসি পরীক্ষার নম্বর বিভাজন প্রকাশ করেছে ঢাকা বোর্ড।
নম্বর বিভাজনে উল্লেখ করা হয়েছে, প্রতি পত্রের পরীক্ষার সময় হবে দুই ঘণ্টা। এর মধ্যে ২০ মিনিট নৈর্ব্যক্তিক এবং ১ ঘণ্টা ৪০ মিনিট রচনামূলক প্রশ্নের উত্তর দেয়ার জন্য বরাদ্দ থাকবে।
এইচএসসি পরীক্ষার নম্বর বিভাজন পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, পদার্থবিজ্ঞান প্রথম ও দ্বিতীয় পত্র, রসায়ন প্রথম ও দ্বিতীয় পত্র, উচ্চতর গণিত প্রথম ও দ্বিতীয় পত্রের মত বিজ্ঞান বিভাগের ব্যবহারিকসহ প্রতি পত্রের পরীক্ষা হবে মোট ৪৫ নম্বরে। এরমধ্যে রচনামূলকে ৩০ ও নৈর্ব্যক্তিকে থাকবে ১৫ নম্বর। রচনামূলক অংশে প্রতিটি পত্রে মোট ৮টি প্রশ্ন থাকবে। এরমধ্যে ৩টি প্রশ্নের উত্তর করতে হবে। প্রতিটিতে ১০ নম্বর। আর নৈর্ব্যত্তিকে ২৫টি প্রশ্ন থাকবে, এরমধ্যে উত্তর করতে হবে ১৫টির। প্রতিটির মান ১ নম্বর।
বোর্ড বলছে, ব্যবহারিকসহ বিষয়ে প্রতি পত্রের পরীক্ষার ৩০ নম্বরকে ৫০ নম্বরে ও নৈর্ব্যত্তিকের ১৫ নম্বরকে ২৫ নম্বরে রূপান্তর করে শিক্ষার্থীদের ওই পত্রে পাওয়া মোট নম্বর নির্ধারণ করা হবে।
আর মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের ও ব্যবহারিক ছাড়া বিষয়গুলোতে প্রতি পত্রে মোট পরীক্ষা হবে ৫৫ নম্বরে। এর মধ্যে রচনামূলকে থাকবে ৪০ নম্বর আর নৈর্ব্যত্তিকে থাকছে ১৫ নম্বর। রচনামূলক অংশে ১১টি প্রশ্ন থাকলেও উত্তর করতে হবে ৪টি প্রশ্নের। প্রতিটিতে ১০ নম্বর। আর নৈর্ব্যত্তিকে ৩০টি প্রশ্নের মধ্যে উত্তর করতে হবে ১৫টির। প্রতিটির মান ১ নম্বর।
মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের পরীক্ষার্থীদের ৪০ নম্বরকে ৭০ নম্বরে ও নৈর্ব্যত্তিকের ১৫ নম্বরকে ৩০ নম্বরে রূপান্তর করে শিক্ষার্থীদের মোট নম্বর নির্ধারণ করা হবে।
বিস্তারিত দেখুন নিচেঃ