প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি সমাপনী (পিইসি), জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) এবং জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষার ফলের সারসংক্ষেপ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আজ সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় গণভবনে শিক্ষা বোর্ড ও মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার ফলের অনুলিপি তুলে দেন প্রধানমন্ত্রীর হাতে।
ফলের সারসংক্ষেপে দেখা গেছে, এ বছর প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনীর চেয়ে ইবতেদায়ির ফল তুলমনামূলক ভালো হয়েছে। ইবতেদায়িতে পাসের হার ৯৭ দশমিক ৬৯ শতাংশ। আর পিইসিতে ৯৭ দশমিক ৫৯ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছে।
জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩ লাখ ৬৮ হাজার ১৯৩ শিক্ষার্থী।
এদিকে জেএসসিতে পাসের হার ৮৫ দশমিক ৮৩ শতাংশ। আর মাদ্রাসা বোর্ডের জেডিসিতে গড় পাসের হার ৮৯ দশমিক ০৪ শতাংশ।
জেএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬৮ হাজার ৯৫ শিক্ষার্থী। গত কয়েক বছরের তুলনায় এবার জিপিএ-৫ কমেছে। চতুর্থ বিষয় ছাড়াই ফল নির্ধারণ করায় এবার জিপিএ-৫ কমেছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী।
শতভাগ পাস করেছে ৪ হাজার ৭৬৯ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ।
ফলের সারসংক্ষেপ হাতে পেয়ে সংক্ষিপ্ত বক্তৃতায় পাস করা শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের অভিনন্দন জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, পিইসি ও জেএসসি পরীক্ষার কারণে শিক্ষার্থীদের ভয় কেটে গেছে।
আজ বেলা ১২টায় সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে জেএসসি-জেডিসির বিস্তারিত ফল প্রকাশ করবেন শিক্ষামন্ত্রী।
আর দুপুর ১টায় নিজ মন্ত্রণালয়ে সংবাদ সম্মেলনে পিইসির ফলের বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করবেন গণশিক্ষামন্ত্রী।
গত কয়েক বছর ধরেই পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণির সমাপনীর ফল একই দিনে প্রকাশ করা হচ্ছে। সাধারণত ডিসেম্বর শেষ দিকে এ ফল ঘোষণা করা হলেও এবার ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটের তারিখ থাকায় আগেই ফল ঘোষণা করা হল।
গত ১৮ থেকে ২৬ নভেম্বর প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা হয়। এক মাসেরও কম সময়ে পিইসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ হলো এবার। এই পরীক্ষায় ৩০ লাখ ৯৫ হাজার ১২৩ ক্ষুদে শিক্ষার্থী অংশ নেয়।
১ থেকে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত জেএসসি-জেডিসিতে অংশ নেয় ২৬ লাখ ৭০ হাজার ৩৩৩ শিক্ষার্থী।
যেভাবে জানা যাবে ফল
মোবাইল ফোন থেকে DPE লিখে স্পেস দিয়ে থানা/উপজেলার কোড নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে ২০১৮ লিখে ১৬২২২ নম্বরে এসএমএস পাঠিয়ে প্রাথমিক সমাপনীর ফল জানা যাবে।
আর ইবতেদায়ির ফল পেতে EBT লিখে স্পেস দিয়ে থানা/উপজেলার কোড নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে ২০১৮ লিখে ১৬২২২ নম্বরে এসএমএস পাঠাতে হবে।
এসএমএস লেখার সময় সরকারি অথবা রেজিস্ট্রার্ড বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের EMIS কোড নম্বরের প্রথম পাঁচ সংখ্যা উপজেলা/থানা কোড হিসেবে ব্যবহার করতে হবে, যা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের ওয়েবসাইট, সংশ্লিষ্ট জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস, উপজেলা/থানা শিক্ষা অফিস ও প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে জানা যাবে।
এ ছাড়া প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের ওয়েবসাইট এবং টেলিটকের ওয়েবসাইট থেকেও প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি সমাপনীর ফল জানা যাবে।
অন্যদিকে যে কোনো মোবাইল থেকে JSC/JDC লিখে স্পেস দিয়ে নিজ বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে 2018 লিখতে এসএমএস করলে ফিরতি এসএমএসে জেএসসি/জেডিসির ফল জানিয়ে দেয়া হবে।
এ ছাড়া শিক্ষা বোর্ডগুলোর ওয়েবসাইট এবং সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইট থেকেও জেএসসি-জেডিসির ফল জানা যাবে।
আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাবকমিটি জানিয়েছে, সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে ই-মেইলেও জেএসসি-জেডিসির ফলের সফটকপি পাঠাবে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ড। প্রয়োজনে এদের কাছ থেকেও ফলের কপি সংগ্রহ করা যাবে।