তরুণদের কর্মসংস্থান

বেকার সমস্যার সমাধান হবে আমাদের সরকারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রাধিকারের একটি। সরকারের সীমাহীন ব্যর্থতার ফলে 'কর্মসংস্থানহীন প্রবৃদ্ধির' দুষ্টচক্র থেকে তরুণ সমাজকে বের করে আনতে খুব দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া হবে।

  • পুলিশ এবং সামরিক বাহিনী ব্যতীত সরকারি চাকরিতে প্রবেশের জন্য কোন বয়স সীমা থাকবে না।
  • সরকারি চাকুরিতে শুধুমাত্র অনগ্রসর জনগোষ্ঠী এবং প্রতিবন্ধীদের জন্য কোটা ছাড়া আর কোনো কোটা থাকবে না।
  • ত্রিশোর্ধ্ব শিক্ষিত বেকারের জন্য  বেকার ভাতা চালু করার উদ্দেশ্যে রাষ্ট্রীয় সক্ষমতা পরীক্ষা করে বাস্তবায়ন করার জন্য একটি কমিশন গঠন করা হবে। 
  • আগামী ৫ বছরের মধ্যে সব সরকারি শূন্য পদে নিয়োগ সম্পন্ন করা হবে।
  • প্রতি জেলা-উপজেলায় তরুণদের কর্মমুখী করার লক্ষ্যে কর্মসংস্থান প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন করা হবে। উদ্যোক্তাদের আনুষ্ঠানিকভাবে উপজেলা, জেলা, বিভাগীয় ও জাতীয় পর্যায়ে সম্মাননা ও স্বীকৃতি প্রদানের কার্যকরী উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। বেকার তরুণদের উদ্যোক্তা করার প্রয়াসে বেসরকারি ঋণ প্রদান ক্ষেত্রে শর্ত শিথিল করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। (তারুণ্যের ইশতেহার ভাবনা ২০১৮ থেকে সংযুক্ত)
  • বেসরকারি বিনিয়োগ বৃদ্ধির মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য প্রশাসনিক জটিলতা, ঘুষ-দুর্নীতি, রাজনৈতিক পোষকতা মুক্ত বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করণে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। (তারুণ্যের ইশতেহার ভাবনা ২০১৮ থেকে সংযুক্ত)
  • বড় নিয়োগ পরীক্ষাগুলো বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশনের মতো বিভাগীয় শহরগুলোতেও নেয়ার ব্যবস্থা করা হবে। ‌সরকারি কর্মকমিশনের কর্মক্ষমতা বাড়াতে জনবল বৃদ্ধি করে সরকারী সকল চাকুরীর নিয়োগ পরীক্ষা পাবলিক সার্ভিস কমিশনের নিয়ন্ত্রণে আনা হবে। প্রয়োজনে স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে নিয়োগের ক্ষেত্রে আলাদা বোর্ড গঠন করা হবে। (তারুণ্যের ইশতেহার ভাবনা ২০১৮ থেকে সংযুক্ত)
  • সরকারী চাকুরী আইনের আলোকে বেসরকারি চাকরি আইন প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। সরকারি ও বেসরকারি চাকরিতে বিদ্যমান বৈষম্য কমানো হবে। (তারুণ্যের ইশতেহার ভাবনা ২০১৮ থেকে সংযুক্ত)
  • দেশে কাজ করা ওয়ার্ক পারমিটবিহীন অবৈধ সকল বিদেশী নাগরিকের চাকুরি করা বন্ধ করা হবে। যেসব সেক্টরে বৈধ বিদেশী চাকুরিজীবি আছেন, সেসব ক্ষেত্রেও প্রয়োজনে প্রশিক্ষণ দিয়ে দেশীয় তরুণদের নিয়োগে উৎসাহ দেয়া হবে। বৈধ বিদেশী চাকুরিজীবিদের আয়কর প্রদানে বাধ্য করা হবে।
  • সারা দেশের বিভিন্ন জায়গায় তরুণদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ কেন্দ্র চালু করা হবে। ফ্রিল্যান্সিং এর আয় দেশে নিয়ে আসার জন্য দ্রুততম সময়ে পেপ্যাল সেবা দেশে আনা হবে। 
  • বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ভাষা, ভোকেশনাল ট্রেনিং এবং চাকরি উপযোগী প্রশিক্ষণ দিয়ে তরুণদেরকে বিদেশে কর্মসংস্থানে সহায়তা করা হবে। বৈদেশিক কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে ব্যয় বর্তমানের তুলনায় ২৫ থেকে ৩০ শতাংশের মধ্যে নিয়ে আসা হবে। চূড়ান্তভাবে বৈদেশিক কর্মসংস্থান নিশ্চিত হলে নামমাত্র সুদে ঋণ দেয়া হবে।
  • গ্রামে অবস্থান করে দেশবাসীর পুষ্টির উন্নয়নের জন্য শিক্ষিত তরুন তরুনীরা ক্ষুদ্র পোলট্রি ফার্ম স্থাপন করে উৎপাদন ও বাজারজাতে নিয়োজিত হলে তাদের বিনা সুদে ঋন ও অন্যান্য বিশেষ প্রনাদনা সাহায্য দেয়া হবে এবং পোলট্রি সংশ্লিষ্ট প্রাণী ও উৎপাদন সামগ্রীর পুরো আমদানী শুল্ক, ভ্যাট ও আয়কর মুক্ত হবে আগামী ১০ (দশ) বছরের জন্য। তবে বড় পুজির পোলট্রিতে ১৫% বিক্রয় শুল্ক ও ১৫% ভ্যাট প্রযোজ্য হবে।
  • উদ্যোক্তা তরুণদের জন্য খুব কম সুদে ঋণ প্রদান করা হবে।
  • ব্যপক সংখ্যক নন-গ্র্যাজুয়েটের কর্মসংস্থান হবে কৃষি উৎপাদন এবং কৃষি বিপনন সমবায়ে। প্রয়োজন মাফিক সকল বহুল ব্যবহৃত এবং প্রয়োজনীয় স্বল্প উৎপাদিত কৃষিপণ্যের উৎপাদন বাড়ানোর জন্য বিশেষ উৎসাহ ভর্তুকী দেয়া হবে।
  • দরিদ্র স্বল্প শিক্ষিত যুবকদের একটি আফ্রিকান ভাষায় কথোপকথন ও আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতির ব্যবহার সর্ম্পকিত প্রশিক্ষন দেয়া হলে, তাদের ব্যাপক কর্মসংস্থান সমূহ হবে আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের কৃষিতে। জাপানেও কৃষিতে কর্মসংস্থানের উজ্জল সম্ভাবনা আছে।
  • তরুণদের সরকারি উন্নয়ন কাজে সংযুক্ত করা হবে।
  • বেশি সংখ্যক কর্মসংস্থানের জন্য শ্রমঘন মাঝারি ও ক্ষুদ্র শিল্প খাতকে উৎসাহিত করা হবে এবং প্রণোদনা দেয়া হবে।

(এখন আমরা সাধারণ জনগণ অপেক্ষায় আছি আগামীকাল আওয়ামী লীগ ইশেতেহারে আমাদের জন্য কি দেবে????)