নতুন এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের অনলাইনে আবেদনের শেষ দিন ছিল আজ সোমবার। কিন্তু আবেদন জমা দিতে গিয়ে সার্ভার জটিলতার সমস্যায় পড়েন একাধিক প্রধান শিক্ষক। তাই আবেদনের সময়সীমা মঙ্গলবার পর্যন্ত বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর।
মাউশির উপ-পরিচালক রুহুল মমিন জানিয়েছেন, নতুন এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের আবেদনের সমসসীমা আগামী ৪ মে পর্যন্ত নির্ধারিত ছিল। কেউ কেউ আবেদন সম্পন্ন করতে পারেনি বলে শোনা যাচ্ছে। বিষয়টি বিবেচনা করে আবেদন প্রক্রিয়ার সময় বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগামী ৫ মে পর্যন্ত এ কার্যক্রম চলবে।
মাউশির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আমরা মে মাসেই অর্থাৎ ঈদের আগে শিক্ষকদের নতুন এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের বেতন-ভাতা দিতে চাই। এজন্য আবেদন প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে খুব সংক্ষিপ্ত সময় দেওয়া হয়েছে। শিক্ষকদের অসুবিধার কথা বিবেচনা করে আরো একদিন সময় বৃদ্ধি করা হয়েছে। অন্যান্য প্রক্রিয়াতেও একদিন করে সময় বৃদ্ধি করা হবে।
বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় সভাপতি ও এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ লিয়াজোঁ ফোরামের মুখপাত্র মো. নজরুল ইসলাম রনি কালের কণ্ঠকে বলেন, সারা দেশ থেকেই নতুন এমপিওভুক্ত একাধিক শিক্ষক-কর্মচারী আমাদের জানিয়েছেন তারা আবেদন অনলাইনে জমা দিতে পারছেন না। মাউশি থেকে আবেদন করার দিক নির্দেশনা দেওয়া হলেও সেভাবে আবেদন সম্পন্ন করা সম্ভব হচ্ছে না। তাই এমপিওভুক্তির আবেদনের সময় বৃদ্ধি করতে মাউশির ডিজির দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি।
গত বছরের ২৩ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুই হাজার ৭৩০টি ননএমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করার নির্দেশ দেন। এর মধ্য থেকে শতাধিক প্রতিষ্ঠানকে বাদ দিয়ে গত সপ্তাহে এমপিওভুক্তির চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এসব প্রতিষ্ঠান ৩০ হাজার শিক্ষক কর্মচারী অনলাইনে এমপিওভুক্তির আবেদন করছেন। যাদেরকে ঈদের আগেই বেতন-ভাতা দিতে চায় সরকার।