ক্ষমা করবেন এইটা কোন রাজনৈতিক পোস্ট না- আমার জীবনে এমন নিউজ দেখি নাই , এমন কি বাংলার ইতিহাসে হয়েছে না কি জানা নাই। সব চেয়ে কষ্টের বিষয় হচ্ছে মানুষ দিন দিন বোকা হয়ে যাচ্ছে, না কি টাকা বেশি হয়েছে ? আরে ভাই টাকা দিয়েই যদি চাকরি পাওয়া যেতো তা হলে আজ চাকরি আর চাকরি থাকতো কোন মানুষ থাকতো না। আর টাকা নিতে কারো কষ্ট লাগে না আপনি যাকেই টাকা দিবেন ,সেই টাকা নিবে আর আপনাকে চাকরি দিতে চাইবেই এইটা স্বাভাবিক । ৯৯.৯৯% মানুষ এইটাকে বিজনেস হিসেবে নিয়েছে । আর আপনারা লোভে পরে শুধু ধোঁকা খাচ্ছেন । আপনি যে টাকা দিবেন ঐটাকা অন্য কাজে লাগান , মানুষ কে দিয়ে এই ভাবে রাস্তায় নিমে আর কি হবে । আর এখানে যত চাকরিপ্রার্থী দেখতে পাচ্ছি , এতো গুলোকে যদি এই ভাবে চাকরি দেয়, তা হলে দেশের আর কিছু থাকবে না। বেকার সমস্যা অনেকে ভাবে এইটা সমাধান করা কঠিন কিন্তু আমার মনে হয়না এতো কঠিন সরকার চাইলেই প্রতি সপ্তাহে কম করে হলে ১হাজার থেকে ৫হাজার নতুন কর্ম সংস্থান সৃষ্টি করতে পারবে । সরকারকে তেমন কোন টাকা দিতেও হবে না ,এমন কি এই কর্মসংস্থান বাস্তবমুখী হবে যার ইনকাম সেই করবে অন্য দিকে রাষ্ট্রের উন্নয়নে বড় ভূমিকা পালন করতে পারবে। কিন্তু আমাদের দেশের সরকার দেশের রাজনীতি নিয়ে চিন্তা করতে করতে এইটা ভুলে ও মনে করে না।
রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) আসনের ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের এমপি কাজী আবদুল ওয়াদুদ দারাকে দেয়া ঘুষের টাকা ফেরত নেয়ার জন্য প্রায় আড়াই ঘণ্টা রাস্তায় অবস্থান করলেন চাকরিপ্রার্থীরা।
তাদের অভিযোগ, চাকরির জন্য তারা এমপিকে দুই থেকে পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত দিয়েছেন। কিন্তু এমপি তাদের চাকরি দেননি, টাকাও ফেরত দেননি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে পুঠিয়া উপজেলার প্রায় দুই শতাধিক যুবক রাজশাহী-ঢাকা মহাসড়কের ঝলমলিয়া এলাকায় অবস্থান নিয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল ওয়াদুদ দারা এমপির জন্য অপেক্ষা করতে থাকেন। এ সময় তারা এমপির বিরুদ্ধে নানা স্লোগানও দেন।
পরে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পুঠিয়া পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু বকর সিদ্দিক, সাধারণ সম্পাদক শাহরিয়ার রহিম কনক ও উপজেলা আওয়ামী লীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক আবুল ফজল প্রামাণিকসহ স্থানীয় নেতারা গিয়ে তাদের অনুরোধ করে রাস্তা থেকে সরিয়ে দেন।
রাজশাহী জেলা পরিষদের সদস্য আবুল ফজল প্রামাণিক এ সময় চাকরিপ্রার্থীদের উদ্দেশে বলেন, ২০০৯ সালে তিনি নিজেই সহকারী শিক্ষক পদে তার ভাইয়ের চাকরির জন্য এমপিকে দুই লাখ টাকা দিয়েছেন। এমপি তার ভাইকে চাকরি দেননি, টাকাও ফেরত দেননি। তিনি নিজেই ভুক্তভোগী। নির্বাচনের পর তারা আবদুল ওয়াদুদ দারাকে যেখানে পাবেন, সেখানেই সবার টাকা আদায় করবেন।
নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের টিকিটে এমপি নির্বাচিত হন ব্যবসায়ী আবদুল ওয়াদুদ দারা। দশম সংসদ নির্বাচনেও তিনি দলের মনোনয়নে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এমপি হন।
এই ১০ বছরে এমপি দারা দুই উপজেলার বহু যুবকের কাছ থেকে চাকরি দেয়ার নামে টাকা নিয়েছেন বলে অভিযোগ আছে। একাদশ সংসদ নির্বাচনে এমপি দারা দলের মনোনয়ন পাননি।
এমপির অপেক্ষায় চাকরিপ্রার্থীদের রাস্তায় অবস্থান নেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা পরিষদের সদস্য আবুল ফজল প্রামাণিক বলেন, বৃহস্পতিবার উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়ে শুক্রবার এমপি আবদুল ওয়াদুদ দারার এলাকায় আসার খবর প্রচার করেন। তাই চাকরিপ্রার্থীরা তাদের টাকা আদায়ে এমপিকে আটকানোর জন্য সড়কে অবস্থান নিয়েছিলেন।
আবুল ফজল বলেন, চাকরিপ্রার্থীরা রাস্তায় অবস্থান নিলে আমাকে থানা থেকে ফোন করা হয়। বলা হয়, ‘সামনে নির্বাচন, এতে আপনাদের দলের ক্ষতি হবে। বিক্ষুব্ধদের রাস্তা থেকে সরিয়ে দেন।’
তিনি বলেন, তাই আমরা গিয়ে চাকরিপ্রার্থীদের বুঝিয়ে রাস্তা থেকে সরিয়ে দেই। তাদের আশ্বাস দিয়েছি, ৩০ ডিসেম্বরের পর আবদুল ওয়াদুদ দারাকে যেখানে পাওয়া যাবে সেখানেই তার কাছ থেকে টাকা আদায় করা হবে।
এ বিষয়ে পুঠিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মহিনুল ইসলাম বলেন, টাকা দিয়ে চাকরি পাননি এমন কিছু লোক রাস্তা অবরোধ করেছিলেন। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তাদের সরিয়ে দেয়। বিকালে নিজ এলাকায় এমপি দারা ফিরেছেন বলে জানিয়েছেন এ পুলিশ কর্মকর্তা।
এ বিষয়ে কয়েক দফা এমপি আব্দুল ওয়াদুদ দারার মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলে বন্ধ পাওয়া যায়। এসএমএস দিয়েও সাড়া না পাওয়ায় এসব অভিযোগের বিষয়ে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। সূত্রঃ যুগান্তর