নিয়োগজটের এই সময়ে অন্য প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ পরীক্ষায় যাতে প্রার্থীরা সঠিকভাবে অংশ নিতে পারেন, সে জন্য আপাতত নতুন কোনো নিয়োগ পরীক্ষা শুক্র ও শনিবার নেবে না বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। আজ বুধবার প্রথম আলোকে এসব কথা জানিয়েছেন পিএসসির চেয়ারম্যান সোহরাব হোসাইন।
সোহরাব হোসাইন বলেন, ‘আমরা দেখেছি, এক দিনে ১৪টি নিয়োগ পরীক্ষা হচ্ছে। এটা আগে কখনো দেখা যায়নি। করোনার বিশেষ পরিস্থিতির কারণে এ নিয়োগজট হয়েছে, এটা সাময়িক।’ কয়েক সপ্তাহ গেলে এই জট কমে আসবে বলে মনে করেন সোহরাব হোসাইন। এ জন্য আপাতত নতুন কোনো নিয়োগ পরীক্ষা শুক্র ও শনিবার নেওয়া হবে না বলে জানান তিনি। বলেন, আগামী শুক্রবার বিসিএস নন-ক্যাডার ক্র্যাফট ইনস্ট্রাক্টর পদের পরীক্ষাও পিছিয়ে দিয়েছে পিএসসি। এ পরীক্ষা আগামী ১৪ অক্টোবর বেলা ৩টা থেকে বিকেল ৪টায় অনুষ্ঠিত হবে।
সোহরাব হোসাইন আরও বলেন, ‘শুক্র-শনিবার পরীক্ষা না নেওয়ার চিন্তা আমাদের রয়েছে, তবে কতটুকু পারব জানি না। নতুন বিজ্ঞপ্তিগুলোয় আপাতত এই দুই দিন পরীক্ষা না রাখার চেষ্টা করব।’
এর মধ্যে কোনো কোনো পরীক্ষা শুক্রবার একই সময়ে পড়েছে। তিতাস গ্যাসের সহকারী ব্যবস্থাপক (জেনারেল) পদের নিয়োগ পরীক্ষা শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টায়। একই সময়ে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) পদের পরীক্ষাও।
এ ছাড়া আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের মধ্য তিতাসের সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা, বিসিএসআইআরের বেলা ১১টা থেকে, সিভিল এভিয়েশনের বেলা সাড়ে ৩টা থেকে, পল্লী বিদ্যুতের সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা, পিএসসির বেলা ৩টা থেকে, এনএসআইয়ের সকাল সাড়ে ১০টা, বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডসের সাড়ে বেলা ৩টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা, সাধারণ বীমার বেলা সাড়ে ৩টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা, জালালাবাদ গ্যাসের বেলা ৩টা থেকে বিকেল ৪টা, বিএডিসির সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর ১২টা, ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের আড়াইটা থেকে, পিডিপি সকাল ৯টা থেকে ১০টা এবং বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত পরীক্ষা আছে।
সূত্রঃ প্রথম আলো