পার্থক্য শুধু নামেই এছাড়া তেমন কোন পার্থক্য নাই বললেই চলে। যেমন মনে করেন,  বাংলায়  সমাস, কারক, বাগধারা, এককথায় প্রকাশ বা গণিত  সংখ্যা,  লাভ ক্ষতি, শতকরা, ঐকিক, গড় কিংবা সাধারণ জ্ঞানের প্রাচীন বাংলার ইতিহাস,  পাকিস্তানি আমল ও মুক্তিযুদ্ধ প্রায় সকল পরীক্ষায় একই। আগে শিক্ষাগত যোগ্যতা কম ছিল এই জন্য বেশি ভাগ প্রশ্ন এসএসসি এবং এইচএসসি লেভেল থেকে হতো কিন্তু বর্তমানে অনার্স শিক্ষাগত যোগ্যতায় এখন আর এই পরীক্ষাগুলোয় তেমন কোন পার্থক্য নাই বললেই চলে । সর্বোচ্চ পার্থক্য কোনটাই কিছু অধ্যায় বেশি পড়তে হবে আর কোনটাই কিছু অধ্যায় কম পড়তে হবে।

এখন আপনার কি সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিৎ?

যদি একই পড়া দিয়ে তিন ধরণের চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতি হয় তাহলে আপনি কেন শুধু প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ বা শুধু শিক্ষক নিবন্ধন বা শুধু মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের পরীক্ষার প্রস্তুতি নিবেন? শুধু এখানেই না প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা একটা শেষ হতে প্রায় অধিক সময় নিয়ে থাকে, আর যদি আপনি সেই পরীক্ষার আশায় বসে থাকেন দেখা যাবে আপনি ১০০% অলস হয়ে যাবেন। এছাড়া দেখবেন পরীক্ষার তারিখ প্রকাশ হলে ঐ কয়েকদিনে বই শেষের চেষ্টা করবেন। আর শিক্ষক নিবন্ধনের পরীক্ষার চিন্তা না করায় ভাল, যদি আপনি প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ অথবা  মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে থাকেন। কারণ এখানে ৪০ মার্ক হচ্ছে পাশ মার্ক এই জন্য আলাদা করে পড়ার প্রয়োজন নাই। ৯০%  অধ্যায়গুলো একই। মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতি কি ব্যতিক্রম? না ব্যতিক্রম না একই প্রস্তুতি দিয়ে আপনি এই পরীক্ষায় ভাল ফলাফল করতে পারবেন। এমনকি আপনাকে এই পরীক্ষাগুলো প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ অথবা শিক্ষক নিবন্ধনের পরীক্ষায় হেল্প করবে। ভাবছেন কিভাবে? পড়াতো একই অন্যদিকে আপনি প্রায় মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের ৭ দিনে একটা করে চাকরির পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন এতে আপনার পড়াশোনাও গতিশীল হবে সাথেই চাকরি সহজে পেতে পারবেন। প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা বছরে একটা হয়েছে এমন খুব কম লক্ষ্য করা যায় আর আপনি শুধু একটা নিয়োগের জন্য একটা বছর পড়াশোনা করতে পারবেন?? বর্তমানে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি হয়েছে এই জন্য আপনার পড়ার ইচ্ছে অনেক বেশি কিন্তু ১ মাস পরে আর আপনার এই স্প্রিড থাকবে না। আবার স্প্রিড ফিরে আসবে পরীক্ষার সময়সূচী প্রকাশ হলে। তাই আপনার উচিৎ হবে একই সাথে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ, শিক্ষক নিবন্ধন,মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়া। এতে আপনি অধিক সুযোগ পাবেন নিজেকে প্রমাণ করার । সাথেই শুধু একটা বা দুইটা চাকরির পরীক্ষায় পরীক্ষা দেওয়া বোকামি ছাড়া কিছুই নয় । আপনি যদি প্রকৃত চাকরির প্রার্থী হয়ে থাকেন তাহলে এই ভাবেই পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়া উচিৎ ।

 কেন আপনি এই সিদ্ধান্ত নিবেন?

প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে এই জন্য আপনার চিন্তা প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ কেন্দ্রিক হয়েছে কিন্তু সাথেই ৪০৩২ পদের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের, ১৫৬২ পদে পরিবার পরিক্ল্পনা অধিদপ্তরের এছাড়াও আগে আবেদন করেছেন ডাক অধিদপ্তরের, খাদ্য অধিদপ্তরের বা স্বাস্থ্যসহ  অনেক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে। প্রতিটা নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির যখন পরীক্ষার সময় প্রকাশ হবে তখন আপনি সেই নিয়োগ সংক্রান্ত বই খুঁজতে শুরু করবেন। তাহলে দেখা যাবে আপনার সিন্ধান্ত প্রতিটা পরীক্ষায় পরিবর্তন হবে এবং আপনি কোনটাই ভাল ফলাফল করতে পারবেন না। তাই এমনভাবে পড়াশোনা না করে অধ্যায় ভিত্তিক পড়ুন । যে অধ্যায় পড়বেন ভালভাবে সেই অধ্যায় পড়ুন। চেষ্টা করুন বেশি বেশি চাকরির পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার জন্য। আপনি যতবেশি পরীক্ষা দিবেন অভিজ্ঞতা বাড়বে সাথেই  যখন টিকতে শুরু করবেন তখন পড়ার গতি বাড়তে  থাকবে। আপনি যদি এভাবে চাকরির প্রস্তুতি নিতে চান তাহলে  জব’স পাসওয়ার্ড বইটি পড়ে ৯০ দিনের পরীক্ষার মাধ্যমে একসাথে সরকারি চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে পারবেন। অনেকে ভাবতে পারে সর্বশেষ মার্কেটিং কৌশল আপনার চিন্তা ভাবনাই এটা ঠিক আছে কিন্তু আপনাকে জানোনা তো আমাদের দ্বায়িত্ব এবং আপনার পড়াশোনা গতিশীল হবে এই জন্য আমরা বিষয়টা বলছি তবে সিদ্ধান্ত আপনাকেই নিতে হবে।  

আর এই বিষয়গুলোকে গুরুত্ব দিয়ে জব’স পাসওয়ার্ড বইটি রচনা করা হয়েছে। আপনি চাইলে এই বইটি পড়তে পারেন এবং বইটি শেষ করার জন্য ৯০ দিনের রুটিন প্রকাশ করা হয়েছে, সেই অনুযায়ী পরীক্ষা দিতে পারেন।  

সর্বশেষঃ আমরা বলছি না বইটি অনেক ভাল তবে আমরা কৌশলগত এবং নতুন একটা পড়ার সিস্টেম তৈরি করার চেষ্টা করেছি মাত্র বাঁকিটা আল্লাহ্‌তালার ইচ্ছে। আর আমাদের বিশ্বাস এভাবে পড়লে আপনি বেশিরভাগ পরীক্ষায় ভাল ফলাফল করতে পারবেন ।

বইটির ডেমোঃ https://drive.google.com/file/d/11u9P4tsH25kCkY-JBOacHikQuQXbW_jp/view

৯০দিনের পরীক্ষার রুটিনঃ https://drive.google.com/file/d/1zCbwfZ8bUVlRcMUuanx9AUhseKMhBWjq/view

বইটি পাবেন আপনার জেলা শহরের প্রায় প্রতিটা লাইব্রেরিতে ।

কোন ভুল হলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।