করোনাভাইরাসের কারণে স্থগিত থাকা সব সরকারি চাকরির পরীক্ষা নভেম্বরে অনুষ্ঠিত হবে।
করোনার কারণে থমকে আছে সরকারি চাকরির সকল নিয়োগ পরীক্ষা। বিশেষ করে ৩৮, ৪০ ও ৪১তম বিসিএসসহ পিএসসির অধীনে ১৩টি পরীক্ষা স্থগিত আছে। অন্যদিকে অর্নাস ও মাস্টার্স শেষ করেও নতুন বিজ্ঞপ্তি না থাকায় আবেদন করতে পারছেন না চাকরি প্রত্যাশীরা।
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন ডিবিসি নিউজকে জানিয়েছেন, স্থগিত থাকা সব সরকারি চাকরির পরীক্ষা নভেম্বরে অনুষ্ঠিত হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স-মাস্টার্স শেষ করে সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষার অপেক্ষায় আলামিন রাজু। আর করোনাকালে ঢাকায় থেকে প্রস্তুতি নেয়া কঠিন হয়ে যাচ্ছে, বলছেন ইডেন থেকে অনার্স পাস করা আরেক শিক্ষার্থী।
করোনার প্রকোপে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের বড় একটি অংশ গ্রামে অবস্থান করছেন। সেখানে ইন্টারনেট সুবিধাসহ অনেক সীমাবদ্ধতার কথা জানান শিক্ষার্থীরা। নির্ধারিত সময়ে পরীক্ষা না হওয়া ও নতুন করে বিজ্ঞপ্তি না থাকায় বয়সের দিকটি নিয়েও শঙ্কার মধ্যে রয়েছেন চাকরি প্রত্যাশীরা।
করোনাভাইরাসের প্রকোপের কারণে আটকে গেছে তিনটি বিসিএস ও নন ক্যাডার চাকরির পরীক্ষাসহ পাবলিক সার্ভিস কমিশন-পিএসসির ১৩টি পরীক্ষা। পিছিয়ে গেছে খাদ্য অধিদপ্তরের নিয়োগ পরীক্ষা, ব্যান্সডকের লিখিত পরীক্ষা। তুলা উন্নয়ন বোর্ডের পরীক্ষা। সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, জনতা ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষাসহ অনেকগুলো সরকারি চাকরি পরীক্ষা প্রক্রিয়া আপাতত থেমে আছে।
পাবলিক সার্ভিস কমিশন-পিএসসি'র চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাদিক জানিয়েছেন, ৩৮তম বিসিএস এর চূড়ান্ত ফলাফল দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রকাশ করা হবে। তবে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালু না হলে কোনো নিয়োগ পরীক্ষা নেয়া যাবে না।
নভেম্বরে সরকারি চাকরি পরীক্ষা শেষ করার কথা জানান, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। বয়সের বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সাথে পরামর্শ করার কথাও জানান প্রতিমন্ত্রী।
করোনার প্রকোপে মার্চ, এপ্রিল, মে ও জুন এই চার মাসে সরকারি চাকরির কোনো নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়নি।