করোনা: বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিল বাংলাদেশের আবিষ্কার

গণস্বাস্থ্যকে অনুমতি, দেশেই তৈরি হবে করোনা পরীক্ষার কিটযে ভুলে ইতালিতে করোনার মহামারিরাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর কাছে জরুরি অবস্থা জারির আবেদনদেশে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা আরও বাড়লকরোনা ভাইরাস কৃত্রিম নয়, নতুন গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশবিমানবন্দর থেকে ৭ জন কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে

করেনা ভাইরাসের আতঙ্কের সারা পৃথিবী যখন কাঁপছে তখন বৈপ্লবিক এক আবিষ্কারের কথা জানাল বাংলাদেশের গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র। তারা সহজ এবং সুলভ এক পদ্ধতি আবিষ্কার করেছে, যার মাধ্যমে মাত্র ১৫ মিনিটেই করোনা ভাইরাসের পরীক্ষা করা যাবে।

বৃহস্পতিবার (১৯ মার্চ) সময় সংবাদকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।

এরই মধ্যে সরকারের তরফ থেকে এটি উৎপাদনের অনুমতিও পেয়েছেন বলে জানান ড. জাফরুল্লাহ


তিনি বলেন, কিটটা হলো, এ দিয়ে রোগী নিজেই নিজের পরীক্ষা করতে পারে। এখানে ছোট যন্ত্র থাকে যাতে রক্তের নমুনা মিশিয়ে পরীক্ষা করা হয়, ওটা হলো কিট। করোনার যে কিটটা আছে, এটা ছোট যন্ত্র দিয়ে পরীক্ষা করা যায় না। এটার জন্য পিসিআর লাগে। এই পিসিআরের দাম ৫০ লাখ টাকা। এর জন্য বিশেষজ্ঞ লোকজনও লাগে। এই পরীক্ষা করতে ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা খরচ হয়। দুই থেকে পাঁচদিন সময় লাগে।

জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, আর আমাদের এই পদ্ধতির বৈপ্লবিক দিক হলো, আমরা ১৫ মিনিটের মধ্যে বলে দিতে পারবো আপনার করোনা হয়েছে কিনা। রোগটা নির্ণয় করে দিতে পারবো।

এই জন্যই সারা পৃথিবীর আগ্রহের কেন্দ্রে চলে এসেছে গণস্বাস্থ্যের এই আবিষ্কার।

যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার্স ফর ডিজিজ কন্ট্রোল এন্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) এখন গণস্বাস্থ্যের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, বিশ্বের সবচেয়ে বড় বৈজ্ঞানিক প্রতিষ্ঠান আমাকে ফোন করেছে। তারা এটা নিয়ে আমাদের সঙ্গে কাজ করতে চায়।

দুই থেকে চার সপ্তাহের মধ্যেই উৎপাদন শুরু করা হবে বলেও জানান তিনি।

তিনি বলেন, আজ দুপুরে আমরা সরকারের অনুমোদন পেয়েছি। আগামী ১ সপ্তাহের মধ্যে যুক্তরাজ্য থেকে কাঁচামাল দেশে পৌঁছাবে। দুই থেকে চার সপ্তাহের মধ্যে উৎপাদনে যাবো।

তিনি আরও বলেন, কিট উৎপাদনের কাঁচামাল চীনের কাছেও আছে। তবে চীন বাণিজ্যিকভাবে কিট উৎপাদনের জন্যে কাঁচামাল বিক্রি করবে না বলে জানিয়েছে।

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র উৎপাদন শুরু করলে দেশে কিট নিয়ে কোনো সঙ্কট থাকবে না বলেও দাবি করেন ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।