১৬৫০পদের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তার নিয়োগ-কার্যক্রমে স্থিতাবস্থা বহাল

প্রাথমিকভাবে উত্তীর্ণ ১ হাজার ৬৫০ জন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তার নিয়োগ কার্যক্রমে হাইকোর্টের দেওয়া ৩০ দিনের স্থিতাবস্থার আদেশ বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।

হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা পৃথক লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) খারিজ করে দিয়েছেন সর্বোচ্চ আদালত। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন সাত সদস্যর আপিল বিভাগ আজ বৃহস্পতিবার এই আদেশ দেন।

রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট রুলসহ এই নিয়োগ কার্যক্রমে ৩০ দিনের জন্য স্থিতাবস্থা রাখতে আদেশ দিয়েছিলেন। এই আদেশ স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ আবেদন করে, যা আজ শুনানির জন্য আপিল বিভাগে ওঠে।

আপিল বিভাগে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা। অন্যদিকে, রিট আবেদনকারী ৩৪ জনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সালাহ উদ্দিন।

পরে আইনজীবী সালাহ উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, রাষ্ট্রপক্ষ হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করার অনুমতি চেয়েছিল। তা খারিজ করেছেন আপিল বিভাগ। ফলে হাইকোর্টের আদেশ বহাল থাকছে।

ওই নিয়োগে কোটাপদ্ধতি অনুসরণে অনিয়মের অভিযোগ তুলে গত ২৮ জানুয়ারি কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর আবেদন করেন মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নেওয়া ৩৪ জন প্রার্থী। এতে ফল না পেয়ে মো. রাশেদুল ইসলামসহ ৩৪ জন রিটটি করেন।

রিট আবেদনকারী পক্ষ জানায়, ২০১৮ সালের ২৩ জানুয়ারি ১ হাজার ৬৫০ জন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। একই বছরের ২ আগস্ট প্রিলিমিনারি পরীক্ষা হয়। পরে ওই বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর লিখিত পরীক্ষা হয়। এরপর চলতি বছরের ১৭ জানুয়ারি মৌখিক পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয়। এতে প্রাথমিকভাবে ১ হাজার ৬৫০ জন উত্তীর্ণ হন। তবে এ ক্ষেত্রে কোটাপদ্ধতি যথাযথভাবে অনুসরণ না করে ওই ফল প্রকাশ করার অভিযোগ তুলে ফল পুনরায় প্রকাশের জন্য কৃষিসচিব ও অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কাছে আবেদন জানিয়েছেন রিটকারীরা।

রিট আবেদনকারীদের আইনজীবী সালাহ উদ্দিন জানান, ১৬ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট অভিযোগ চার সপ্তাহের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে নির্দেশ দেন। রুলে অভিযোগ নিষ্পত্তি করতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি হবে না এবং অভিযোগ অনুসন্ধান করে সে অনুযায়ী ফল পুনঃপ্রকাশ করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়। কৃষিসচিব, জনপ্রশাসন সচিব, সরকারি কর্ম কমিশনের চেয়ারম্যান ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ বিবাদীদের চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়।