৩৪ ও ৩৫তম বিসিএস (বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস) পরীক্ষায় চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ ২৭ জনকে নিয়োগ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। রায় পাওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে তাঁদের নিয়োগ দিতে হবে। এই দুই বিসিএসে অন্যদের নিয়োগ যেদিন থেকে কার্যকর হয়েছে, তাঁদেরও একই তারিখ থেকে কার্যকর হবে।
পৃথক তিনটি রিটের চূড়ান্ত শুনানি শেষে এ বিষয়ে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে আজ মঙ্গলবার বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সালাহ উদ্দিন দোলন, মো. ছিদ্দিক উল্যাহ মিয়া, আব্দুস সাত্তার পালোয়ান, মো. মনিরুল ইসলাম রাহুল ও সোহরাওয়ার্দী সাদ্দাম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ওয়ায়েস আল হারুনী।
রায়ের পর ওয়ায়েস আল হারুনী বলেন, ‘দুই বিসিএসে সুপারিশপ্রাপ্ত ২৭ জনকে নিয়োগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আদেশে তাদের ৩৪ ও ৩৫তম বিসিএসে নিয়োগ পাওয়ার সময় থেকে সব সুবিধা দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।’
দুই বিসিএসে সুপারিশপ্রাপ্ত হওয়ার পরও নিয়োগ না পেয়ে ২৭ জন হাইকোর্টে যান। এরপর আদালত রুল জারি করে সুপারিশকৃতদের নিয়োগ দিতে নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং তাঁদের নিয়োগ দিতে ও গেজেটে নাম প্রকাশ করার পদক্ষেপ নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চান। এ বিষয়ে শুনানি শেষে রায় ঘোষণা করেন আদালত।