বিষয় কোডঃ ০০১

১। নিচের প্রশ্নগুলাের উত্তর লিখুন:

ক। শব্দগঠন বলতে কী বােঝায়? কী কী প্রক্রিয়ায় শব্দ গঠিত হয় উদাহরণসহ লিখুন।

খ। বাংলা একাডেমি প্রণীত প্রমিত বাংলা বানানের নিয়ম অনুসারে অ-তৎসম শব্দের ছয়টি বানানসূত্র লিখুন।

গ। নিচের বাক্যগুলাের শুদ্ধরূপ লিখুন:

(১) দুর্বলবশত সে আসতে পারেনি। উত্তরঃ দুর্বলতাবশত সে আসতে পারেনি।

(২) শুধুমাত্র অফিস চলাকালীন সময়ে দেখা হবে। উত্তরঃ শুধু অফিস চলাকালীন দেখা হবে।

(৩) সামগ্রিক আলােচনার প্রেক্ষিতে সিদ্ধান্তটি গৃহীত হয়েছে। উত্তরঃ আলােচনার প্রেক্ষিতে সিদ্ধান্তটি গৃহীত হয়েছে

(৪) দূরারােগ্য ব্যাধির স্বীকারে পরিণত হয়ে পৃথিবীতে বহু মানুষের মৃত্যু হয়। উত্তরঃ দূরারােগ্য ব্যাধির শিকারে পরিণত হয়ে পৃথিবীতে বহু মানুষের মৃত্যু হয়।

(৫) এ স্মরণিটি কবি নজরুলের স্বরণে নামকরণ করা হয়েছে। উত্তরঃ এ  সরণি  কবি নজরুলের  স্মরণে নামকরণ করা হয়েছে।

(৬) স্বাস্থ সকল সুখের মুল।। উত্তরঃ স্বাস্থ্য সকল সুখের মূল

ঘ। নিচের প্রবাদ-প্রবচন ব্যবহার করে অর্থপূর্ণ বাক্য লিখুন:

আমড়া কাঠের ঢেঁকি = অকেজো

শাক দিয়ে মাছ ঢাকা =  নিন্দনীয় কাজ গোপনের ব্যর্থ চেষ্টা করা।

তামার বিষ = অর্থের কুপ্রভাব

মিছরির ছুরি = মুখে মধু অন্তরে বিষ

ঠগ বাছতে গাঁ উজাড় =

ননীর পুতুল = শ্রমকাতর

ঙ। নিচের বাক্যগুলাে নির্দেশ অনুসারে রূপান্তর করুন:

(১) শহিদের মৃত্যু নেই। (অস্তিবাচক) উত্তরঃ শহীদেরা অমর

(২) ধনীরা প্রায়ই কৃপণ হয়। (জটিল) উত্তরঃ যারা ধনী, তারা প্রায়ই কৃপণ হয়।

(৩) তােমার সব জিনিসই দামি। (নেতিবাচক) উত্তরঃ তােমার কোন জিনিসই সস্তা নয়

(৪) জ্ঞানী হলেও তিনি বিনয়ী নন। (যৌগিক) উত্তরঃ তিনি জ্ঞানী কিন্তু বিনয়ী নন

(৫) ভুল সকলেই করে। (প্রশ্নবােধক)। উত্তরঃ সকলেই কি ভুল করে?

(৬) তিনি ধনী ছিলেন কিন্তু সুখী ছিলেন না। (সরল)। উত্তরঃ তিনি ধনী হয়েও সুখী ছিলেন না

২। ভাবসম্প্রসারণ করুন:

ক। শৈবাল দিঘিরে বলে উচ্চ করি শির, লিখে রেখাে, এক ফোঁটা দিলেম শিশির।

নিজে চেষ্টা করুন...

অথবা

খ। কমল হীরের পাথরটাকে বলে বিদ্যে, আর তা থেকে যে আলাে ঠিকরে বেরােয়, তার নাম কালচার

নিজে চেষ্টা করুন...

৩। সারমর্ম লিখুন:

ক। ওরে নবীন, ওরে আমার কাঁচা,

ওরে সবুজ, ওরে অবুঝ,

আধ-মরাদের ঘা মেরে তুই বাচা।

রক্ত আলাের মদে মাতাল ভােরে

আজকে যে যা বলে বলুক তােরে,

সকল তর্ক হেলায় তুচ্ছ করে

পুচ্ছটি তাের উচ্চে তুলে নাচা।

আয় দুরন্ত, আয়রে আমার কাঁচা।

নিজে চেষ্টা করুন...

অথবা

মৃত্যুর হাত হইতে বাঁচিবার উপায় জগতের একটি প্রাণীরও নাই। সুতরাং এই অবধারিত সত্যকে সানন্দে স্বীকার করিয়া নিয়াও মৃত্যুকে জয় করিবার জন্য একটি বিশেষ কৌশল আয়ত্ত করিতে হইবে। তাহা হইতেছে, অতীতের পূর্বপুরুষদের সাধনাকে নিজের জীবনে এমনভাবে রূপান্তর করা-যেন ইহার ফলে তােমার বা আমার মৃত্যুর পরেও সেই সাধনার শুভফল তােমার পুত্রাদিক্রমে বা আমার শিষ্যাদিক্রমে জগতের মধ্যে ক্রমবিস্তারিত হইতে পারে। মৃত্যু তােমার দেহকেই মাত্র ধ্বংস করিতে পারিল, তােমার আরব্ধ সাধনার ক্রমবিকাশকে অবরুদ্ধ করিতে পারিল না-এইখানেই মহাপরাক্রান্ত মৃত্যুর আসল পরাজয়।

নিজে চেষ্টা করুন...

৪। নিচের প্রশ্নগুলাের সংক্ষিপ্ত উত্তর দিন:

ক। চর্যাপদের ভাষাকে কেন সন্ধ্যা ভাষা’ বলা হয়?

উত্তরঃ সন্ধ্যায় থাকে আলো আঁধারের খেলা। সন্ধ্যার সময় কোন কিছু স্পষ্টরূপে দেখা যায় না। তেমনিভাবে হাজার বছর আগে লেখা চর্যাপদের ভাষাতেও অস্পষ্টতা থাকার কারণে এই ভাষাকে সন্ধ্যা বা সান্ধ্য ভাষা বলা হয়েছে। কেউ কেউ এ ভাষাকে আলো আঁধারের ভাষা বলেছেন।

 খ। শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যের পরিচয় এবং বিষয়বস্তু সম্পর্কে আলােচনা করুন।

উত্তরঃ শ্রীকৃষ্ণকীর্তন বড়ুচণ্ডীদাস নামক জনৈক মধ্যযুগীয় কবি রচিত রাধাকৃষ্ণের প্রণয়কথা বিষয়ক একটি আখ্যানকাব্য। ১৯০৯ সালে বসন্তরঞ্জন রায় বিদ্বদ্বল্লভ পশ্চিম বঙ্গের বাঁকুড়া জেলার বিষ্ণুপুরের নিকটবর্তী কাঁকিল্যা গ্রাম থেকে অযত্নরক্ষিত অবস্থায় এই কাব্যের একটি পুথি আবিষ্কার করেন। ১৯১৬ সালে তারই সম্পাদনায় বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ থেকে ‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’ নামে পুথিটি প্রকাশিত হয়; যদিও কারও কারও মতে মূল গ্রন্থটির নাম ছিল ‘শ্রীকৃষ্ণসন্দর্ভ’। বৌদ্ধ-সহজীয়া গ্রন্থ চর্যাপদের পর এটিই আদি-মধ্য বাংলা ভাষার প্রাচীনতম আবিষ্কৃত নিদর্শন।

ভগবান বিষ্ণুর অবতাররূপে কৃষ্ণের জন্ম, বড়াইয়ের সহযোগিতায় বৃন্দাবনে রাধার সঙ্গে তার প্রণয় এবং অন্তে বৃন্দাবন ও রাধা উভয়কে ত্যাগ করে কৃষ্ণের চিরতরে মথুরায় অভিপ্রয়াণ – এই হল ‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’ কাব্যের মূল উপজীব্য। আখ্যায়িকাটি মোট ১৩ খণ্ডে বিভক্ত। জন্মখণ্ড, তাম্বুলখণ্ড, দানখণ্ড, নৌকাখণ্ড, বৃন্দাবনখণ্ড ইত্যাদি ১২টি অংশ 'খণ্ড' নামে লেখা হলেও অন্তিম অংশটির নাম শুধুই 'রাধাবিরহ', এই অংশটির শেষের পৃষ্ঠাগুলি পাওয়া যায়নি। পুঁথিটি খণ্ডিত বলে কাব্য রচনার সন-তারিখও জানা যায়।

গ। মনসামঙ্গল কাব্যের বেহুলা চরিত্রটির বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করুন।

উত্তরঃ বেহুলা প্রাচীন বাংলার সুবিখ্যাত মঙ্গলকাব্য মনসামঙ্গলের প্রধান চরিত্র। চাঁদ সওদাগরের একজন অন্যতম হলেন পুত্র লখিন্দরের স্ত্রী।  বেহুলা ছিল স্বামী ভক্ত, স্বামীর জন্য নিবেদিত প্রাণ। খুবই ধৈয্যশীল মহিলা ছিলেন বেহুলা।

ঘ. ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের তিনটি মৌলিক রচনার নাম লিখুন। উত্তরঃ ব্রজবিলাস, রত্নপরীক্ষা ও প্রভাবতী সম্ভাষণ

ঙ। আধুনিক কবি হিসেবে মাইকেল মধুসূদন দত্তের অবদান ব্যাখ্যা করুন।

উত্তরঃ আধুনিক বাংলা কাব্যের প্রথম কবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত। মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত ঊনবিংশ শতাব্দীর বিশিষ্ট বাঙালি কবি ও নাট্যকার তথা বাংলার নবজাগরণ সাহিত্যের অন্যতম পুরোধা ব্যক্তিত্ব। মধুসূদন বাংলা সাহিত্যের প্রথম আধুনিক কবি, প্রথম সার্থক নাট্যকার। তিনি আধুনিক বাংলা কবিতার পথ নির্মাতা। তিনি বাংলা সাহিত্যে উপহার দেন শর্মিষ্ঠা, পদ্মাবতী, তিলোত্তমা সম্ভব কাব্য, কৃষ্ণকুমারী, মেঘনাদবদ কাব্য, ব্রজঙ্গনা কাব্য, বীরঙ্গনা কাব্য, চতুর্দশপদী কবিতাবলী, হেক্টরবধ এর মতো বিখ্যাত সাহিত্যকর্ম। মধুসূদন দত্ত নাট্যকার হিসেবেই প্রথম বাংলা সাহিত্যের অঙ্গনে পদার্পণ করেন।

চ। শওকত ওসমানের মুক্তিযুদ্ধকেন্দ্রিক তিনটি গ্রন্থের নাম লিখুন।

উত্তরঃ জাহান্নম হইতে বিদায় (১৯৭১), দুই সৈনিক (১৯৭৩) ও নেকড়ে অরণ্য (১৯৭৩)

ছ। রােকেয়া সাখাওয়াত হােসেনের ‘অবরােধবাসিনী’ গ্রন্থের বিষয় বৈশিষ্ট্য বর্ণনা করুন।

উত্তরঃ তৎকালীন ভারতবর্ষীয় নারীদের বিশেষ করে মুসলমান ঘরের নারীদের সমাজের অবরোধপ্রথার জন্য যে অসুবিধায় পড়তে হত তা বর্ণিত হয়েছে। মোট ৪৭ ঘটনাকে অনুগল্প আকারে লেখে বইটি তৈরি করা হয়েছে। ঘটনাগুলো সব বাস্তব জীবন থেকে নেওয়া। এ বইয়ের মাধ্যমে বেগম রোকেয়া গল্পাকারে পর্দা প্রথার দরুন নারীদের দুর্ভোগ সবার কাছে উপস্থাপন করেছেন।

জ। আবহমান বাংলার ছবি জীবনানন্দ দাশের কবিতায় কীভাবে চিত্রিত হয়েছে লিখুন।

উত্তরঃ বাংলা কবিতার রূপনির্মাণে যে কয়েকজন কবির নাম সর্বাগ্রে উচ্চারিত হয় তাঁদের একজন জীবনানন্দ দাশ। গ্রামবাংলার ঐতিহ্যময় নিসর্গ ও রূপকথা-পুরাণের জগৎ জীবনানন্দের কাব্যে হয়ে উঠেছে চিত্ররূপময়, তাতে তিনি ‘রূপসী বাংলার কবি’ অভিধায় খ্যাত হয়েছেন। বিশেষতঃ কবিতার উপমা প্রয়োগে জীবননান্দের নৈপুন্য তুলনাহীন। কবিতাকে তিনি মুক্ত আঙ্গিকে উত্তীর্ণ করে গদ্যের স্পন্দনযুক্ত করেন, যা’ পরবর্তী কবিদের প্রবলভাবে প্রভাবিত করেছে। জীবন বোধকে নাড়া দিয়েছে। তার কবিতার চিত্রময়তা, যার সঙ্গে আমরা অনায়েসে ঘনিষ্ঠ বোধ করি। এটি তার জনপ্রিয়তার অন্যতম একটি কারণ। জীবনানন্দ বাংলা কাব্য সাহিত্যের যে অজ্ঞাত পূর্ব ধারা আবিষ্কার করেছিলেন তা জীবনানন্দের সমকালীন সময়ে খুব কম কাব্য রসিক কিংবা নন্দন তাত্ত্বিকরা বুঝতে পেরেছিলেন।

ঝ। সৈয়দ শামসুল হকের পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়' কাব্যনাটকটি সম্পর্কে বিশ্লেষণ করুন।

উত্তরঃ পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায় নাটকটি মুক্তিযুদ্ধের পটভূমিতে রচিত একটি কাব্য নাটক। কাব্যনাট্যটিতে অধিকার আদায়ের সংগ্রামে সামিল হওয়ার প্রেরণার পাশাপাশি সামাজিক ও ধর্মীয় শিক্ষার জড়তা আর অসহায়তার কথা বিবৃত হয়েছে। স্থান পেয়েছে অধিকার আর অস্তিত্বরক্ষার লড়াইয়ে নিজেকে সম্পৃক্ত করার আত্মশক্তিতে বলীয়ান হওয়ার প্রেরণার কথা। ঈশ্বরের অবস্থিতি সম্বন্ধে জনতার মনে সংশয়ের দোলার সত্যাসত্যের বিবরণেও নাট্যকার সমান সাহসী বলে মনে হয়েছে। সাধারণ মানুষের বিপদে দয়াময় ও রক্ষাকারী স্রষ্টার অনুপস্থিতি বিষয়ে জিজ্ঞাসাও হাজির করেছেন তিনি পাত্রপাত্রীদের সরল উপলব্ধি ও সংলাপের ভেতর দিয়ে। পাপের, অপরাধের আর অন্যায়ের অনিবার্য অবসানে ছবি আঁকতে গিয়ে ঐতিহ্যের শক্তির সহায়তা নিয়েছেন লেখক। সব কিছুকে ছাড়িয়ে মুক্তিবাহিনির বিজয়ের সম্ভাব্যতা ও সত্যতাকে ফুটিয়ে তুলেছেন তিনি শিল্পীর কৌশলি তুলির আঁচড়ে। ধান্দাবাজ সমাজপতি কাঁচা-ঈমানে ভরকরা চাটুকার ও দালাল মাতবর যেন শুনতে পেয়েছে সমাগত বিজয়ী মুক্তিসেনানির পায়ের আওয়াজ! তার কানে ভেসে আসা আওয়াজটাই এখানে মুখ্য। সত্যিকার অর্থে, জাতির পতাকার শুভ সূচনা আর বেঁচেথাকা মানুষগুলোর স্বপ্ন-প্রত্যাশার ক্যানভাসে এই গল্পটি নির্মিত হয় এক ঘোরলাগা বিবরণের জোয়ারের ভেতর দিয়ে।

 

ঞ। মধ্যযুগের রােমান্টিক প্রণয়ােপাখ্যানগুলাের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে ধারণা লিপিবদ্ধ করুন।

উত্তরঃ মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যের মুসলমান কবিগণের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য অবদান রোমান্টিক প্রণয়োপাখ্যান। এই শ্রেণির কাব্য মধ্যযুগের সাহিত্যে বিশিষ্ট স্থান জুড়ে আছে।ফারসি বা হিন্দি সাহিত্যের উৎস থেকে উপকরণ নিয়ে রচিত প্রণয় কাব্যগুলোতে প্রথমবারের মত মানবীয় বৈশিষ্ট্য প্রতিফলিত হয়েছে।মধ্যযুগের কাব্যের ইতিহাসে ধর্মীয় বিষয়বস্তুর আধিপত্য ছিল,কোথাও কোথাও লৌকিক ও সামাজিক জীবনের ছায়াপাত ঘটলেও দেবদেবীর প্রাধান্যে তাতে মানবীয় অনুভূতির প্রকাশ স্পষ্ট হয়ে উঠেনি।এই শ্রেণির কাব্যে মানব-মানবীর প্রেম কাহিনি রূপায়িত হয়ে গতানুগতিক সাহিত্যের ধারায় ব্যতিক্রমের সৃষ্টি করেছে।মুসলমান কবিগণ হিন্দুধর্মাচারের পরিবেশের বাহিরে থেকে মানবিক কাব্য রচনায় অভিনবত্ব দেখান।

 

বিষয় কোডঃ ০০২

১. নিজে চেষ্টা করুন...

২. নিজে চেষ্টা করুন...

খ। কমল হীরের পাথরটাকে বলে বিদ্যে, আর তা থেকে যে আলাে ঠিকরে বেরােয়, তার নাম কালচার

৩। সারমর্ম লিখুন:

ক। ওরে নবীন, ওরে আমার কাঁচা,

ওরে সবুজ, ওরে অবুঝ,

আধ-মরাদের ঘা মেরে তুই বাচা।

রক্ত আলাের মদে মাতাল ভােরে

আজকে যে যা বলে বলুক তােরে,

সকল তর্ক হেলায় তুচ্ছ করে

পুচ্ছটি তাের উচ্চে তুলে নাচা।

আয় দুরন্ত, আয়রে আমার কাঁচা।

নিজে চেষ্টা করুন...

অথবা

মৃত্যুর হাত হইতে বাঁচিবার উপায় জগতের একটি প্রাণীরও নাই। সুতরাং এই অবধারিত সত্যকে সানন্দে স্বীকার করিয়া নিয়াও মৃত্যুকে জয় করিবার জন্য একটি বিশেষ কৌশল আয়ত্ত করিতে হইবে। তাহা হইতেছে, অতীতের পূর্বপুরুষদের সাধনাকে নিজের জীবনে এমনভাবে রূপান্তর করা-যেন ইহার ফলে তােমার বা আমার মৃত্যুর পরেও সেই সাধনার শুভফল তােমার পুত্রাদিক্রমে বা আমার শিষ্যাদিক্রমে জগতের মধ্যে ক্রমবিস্তারিত হইতে পারে। মৃত্যু তােমার দেহকেই মাত্র ধ্বংস করিতে পারিল, তােমার আরব্ধ সাধনার ক্রমবিকাশকে অবরুদ্ধ করিতে পারিল না-এইখানেই মহাপরাক্রান্ত মৃত্যুর আসল পরাজয়।

নিজে চেষ্টা করুন...