সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) চেয়ারম্যান মো. সোহরাব হোসাইন পদত্যাগ করলেন। আজ মঙ্গলবার বিকেলে তিনি পিএসসির সচিবের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন।
পিএসসি চেয়ারম্যানের পাশাপাশি কমিশনের ১২ জন সদস্য আজ পিএসসি সচিবের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন। পদত্যাগপত্রগুলো রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো হচ্ছে।
সোহরাব হোসাইন ২০২০ সালের ২১ সেপ্টেম্বর পিএসসির চেয়ারম্যান পদে যোগ দেন। ২০২৫ সালের ২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তাঁর মেয়াদ ছিল। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর পিএসসি চেয়ারম্যানসহ পুরো কমিশনের পদত্যাগের দাবি ওঠে। কয়েক দিন ধরে পিএসসি সংস্কারের দাবি জানিয়ে আসছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কেরা।
পদত্যাগ করা সদস্যরা হলেন—সাবেক জ্যেষ্ঠ সচিব ফয়েজ আহম্মদ, সাবেক অধ্যাপক উত্তম কুমার সাহা, সাবেক নির্বাহী পরিচালক জাহিদুর রশিদ, অধ্যাপক মুবিনা খন্দকার, অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন, সাবেক জ্যেষ্ঠ সচিব কে এম আলী আজম, সাবেক সচিব খলিলুর রহমান, মাউশির সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক, সাবেক জ্যেষ্ঠ সচিব মাকছুদুর রহমান, সাবেক সচিব নাজমানারা খাতুন, এন সিদ্দিকা খানম ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক প্রদীপ কুমার পাণ্ডে।
তবে ২ জন সদস্য এখনো পদত্যাগপত্র জমা দেননি। তাঁরা হলেন সাবেক জ্যেষ্ঠ সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ, সাবেক সচিব ও সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি শফিকুল ইসলাম।
পিএসসি সচিব আবদুল্লাহ আল মাসুদ চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ‘পিএসসি চেয়ারম্যানসহ কমিশনের ১২ জন সদস্য পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। আমরা এসব পদত্যাগপত্র রাষ্ট্রপতি বরাবর পাঠিয়ে দিয়েছি। বাকি তিনজন এখনো পদত্যাগপত্র জমা দেননি। তাঁরা আগামীকালের (বুধবার) মধ্যে জমা দেবেন।’
এ সপ্তাহের মধ্যেই পিএসসির সংস্কার দাবি করে চাকরির পরীক্ষাগুলো শুরু করার দাবি জানান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সারজিস আলম। গত শনিবার রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে এ দাবি করেন তিনি। সারজিস বলেন, এ সপ্তাহের মধ্যে পিএসসি সংস্কার করে চাকরিপ্রত্যাশীদের চাকরির পরীক্ষাগুলো শুরু করতে হবে। যে তরুণ প্রজন্ম এই অভ্যুত্থানের অগ্রনায়ক, তাদের প্রায়োরিটির কথা ভুলে গেলে চলবে না।