সরকারি চাকরি মানেই তো আলাদা একটা চাহিদা।দেশের ৮০% শিক্ষিত সমাজের একটাই লক্ষ্য একটা সরকারি চাকরি।তবে এটা যে এতো সহজ বিষয় না সেটা সবাই ভাল করেই জানে। তবে এতো কঠিন কেন তা কেউ ভাবেই না। 

আসলেই কি সরকারি চাকরি একটা কঠিন বিষয়?

আমরা এই বিষয়ে পরে ভাববো। তার আগে আমরা আমাদের দূর্বল তার কিছু দিক দেখি।

১। বয়সঃ যারা চাকরির প্রস্তুতি নিচ্ছেন তাদের ৯০% পরীক্ষার্থীর বয়স ২৪-২৯বছর।এটা এমন একটা সময় যে আপনি বিভিন্ন সমস্যার মধ্যে দিয়ে অতিবাহিত হবেন।যা ৯৯% মানুষের জীবনেই হয়ে থাকে।

২। স্মৃতিশক্তিঃ এই বয়সে বেশি ভাগ মানুষের সবচেয়ে বড় সমস্যা বেশি মনে রাখা সম্ভব হয়না।আপনি এসএসসি এইচএসসির সময় যেমন মনে রেখেছেন এখন হাজার চেষ্টা করলেও আপনি সে ভাবে মনে রাখতে পারবেন না।৯০% মানুষের অভিযোগ আগের মত আর মনে থাকে না।

৩। সময়ের অভাবঃ পড়ার সময়ের অভাব বেশি ভাগ শিক্ষার্থীদের।আপনি এসএসসি–এইচএসসি লেভেলে যেভাবে পড়াশোনা করেছিলেন এখন আপনার সেই পড়াশোনা করা প্রয়োজন।তবে বেশির ভাগ শিক্ষার্থীদের তা হয়না, এমনকি অনেকেরই এতো ধৈর্য নাই।

৪। পরিকল্পনার অভাবঃ পরিকল্পনা আপনার কাজকে ৮০% সহজ করে দিবে।আপনার পরিকল্পনা ঠিক না থাকলে আপনি বেশি দূরে এগিয়ে যেতে পারবেন না।নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেখে আপনার পরিকল্পনা ঠিক করবেন না , আপনার পরিকল্পনা ঠিক করতে হবে আপনার পড়ার ধৈর্য্য এবং আপনার সময় এবং আপনার মনে রাখার শক্তির উপরে।বেশি পড়া এবং মনে রাখার ক্ষমতা থাকলে বিসিএস, ব্যাংক টার্গেট করতে পারেন আর যদি আপনার লক্ষ্য থাকে একটা সরকারি চাকরি তাহলে সহজ পরিকল্পনা গ্রহণ করতে পারেন, নিচে আমরা এই বিষয়েই আলোচনা করতেছি।

৫। অনিয়মিত পড়াশোনাঃ অনেকেই পড়ে কিন্তু নিয়মিত না, আজ আছে কাল নাই।আবার আজ ভাল লাগছে না, কাল থেকে শুরু করবো।হাতে তো অনেক সময় আছে, এসব ভেবে নিয়মিত হতে পারে না।যা আপনার জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল।এই করতে করতে আপনার চাকরির বয়স শেষ হয়ে যাবে কিন্তু আপনার পড়া শেষ হবে না। আপনাকে শর্ট পরিকল্পনা করতে হবে, আমি আগামী ৩ মাস পড়াশোনা করবো।এই ৩ মাসে প্রস্তুতির ভাল একটা রেজাল্ট নিয়ে আসতে হবে।যদি ৩ মাস পড়েই আপনি প্রতিটা চাকরির পরীক্ষায় ৭০%-৮০% প্রশ্ন কমন পেতে থাকেন, দেখবেন আপনার পড়ার স্পিড (গতি) অনেক বেড়ে যাবে। ৮০% চাকরির পরীক্ষার্থী অল্প কিছুদিন পড়েই হতাশ হয়ে যায়, কারণ তারা অধিক পড়া দেখেই  মনে করে আমায় দিয়ে সম্ভব না। আপনি ছোট থেকে বড় না হয়ে যদি বড় থেকে ছোট হতে চান তাহলে তো হতাশ হবেনই। আপনাকে আগে ছোট থেকে বড় হতে হবে। এর মানে বিসিএস এর বইগুলো না পড়ে, যা প্রয়োজন তাই আগে পড়তে হবে। 

আমাদের সমস্যা নিয়ে অনেক আলোচনা হলো এখন আমাদের লক্ষ্য নিয়েই কথা বলি। 

আপনার লক্ষ্য কি একটা সরকারি চাকরি?

যদি লক্ষ্য একটা সরকারি চাকরি হয় তাহলে সময় প্রয়োজন ১০০ দিন।আপনার টার্গেট করতে হবে এই ১০০ দিনে পড়ালেখা ছাড়া আপনার জীবনে আর কিছুই নাই।নিজেকে এমনভাবে গুটিয়ে নিতে হবে, কারণ আপনি যত বেশি ভাববেন আপনারার হাতে অধিক সময় আছে, আপনি তত বেশি দূরে যাবেন।যদি ভাবেন এটাই শেষ সময় তখন সহজে এটা শেষ করতে পারবেন।

তবে আপনার মনে প্রশ্ন হতে পারে, ১০০দিনে কি সম্ভব আর কি এমন পড়তে হবে?  

সম্ভব প্রতিদিন টার্গেট করতে হবে এক অধ্যায় পড়াশোনার আর সেই সাথে যা প্রয়োজন তাই পড়তে হবে অতিরিক্ত পড়া যাবে না। কারণ মানুষের স্মৃতিশক্তির একটা লিমিট আছে, যদি মানুষ মনে রাখতে পারতো তাহলে মানুষ পাগল হয়ে যেতো। এইজন্য মানুষ ভুলে যায়।তাই আপনাকে চিন্তা করতে হবে আপনি সবকিছু মনে রাখতে পারবেন না। তবে চাকরির পরীক্ষার জন্য যা বেশি প্রয়োজন তা যেন মনে থাকে, বেশি প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো বেশি বেশি পড়তে হবে।যেমনঃ কারক, সন্ধি, সমাস, ধ্বনি বর্ণ, সমার্থক শব্দ, প্রকৃতি প্রত্যয়, এককথায় প্রকাশ, বাগধারা, শুদ্ধিকরণ। এই অধ্যায়গুলো থেকে সবচেয়ে বেশি প্রশ্ন হয়।

আপনি হয়তো ভাবছেন এটা সবাই জানে এই অধ্যায় থেকে বেশি প্রশ্ন হয় কিন্তু এতো বড় বড় অধ্যায় কিমনে রাখা সম্ভব?

কেউ যদি প্রতিনিয়ত পড়াশোনা করে এবং কৌশলে অনুশীলন করেতা হলে মনে রাখা সম্ভব।তবে আপনি যদি মনে করেন আপনার পক্ষে মনে রাখা সম্ভব না তাহলে আপনি কিছুটা কৌশলি হতে পারেন।যে প্রশ্নগুলো প্রতিনিয়ত পরীক্ষায় আসে, মানে সবচেয়ে বেশি পরীক্ষায় কমন পরে সেই প্রশ্নগুলো আগে ভাল ভাবে পড়বেন, যখন এই প্রশ্নগুলো আয়ত্ত হবে তখন আপনি বাকিগুলো মনে রাখার চেষ্টা করবেন। 

এখন ভাবতে পারেন এতে কত% লাভ হবে?

আপনি অনেক সহজে অধ্যায় ভিত্তিক ৮০-৯০% কমন পাবেন।যেমনঃ ৯৯% চাকরিরপরীক্ষার্থীর জন্য কঠিন অধ্যায় প্রকৃতি প্রত্যয়।এই অধ্যায় যারা বিসিএস পাশ তারাও ভয়ে হাত দেয় না।আপনার জন্য মাত্র ১/২পৃষ্ঠা মনে রাখতে হবে।এই ১/২পৃষ্ঠা থেকে আপনি যে কোন চাকরির পরীক্ষায় ৯৫%+ কমন পাবেন। জব'স পাসওয়ার্ড (All in one) বইয়ের কাজের সময় আমরা ১৯৯৯-২০২২ পর্যন্ত প্রায় বেশি ভাগ চাকরির পরীক্ষার প্রশ্ন বিশ্লেষণ করেছি। প্রতিটা পরীক্ষায় এই প্রশ্নগুলো রিপিট হয়। এইরকম প্রতিটা অধ্যায়েই কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন আছে যা বারবার রিপিট হয় । যা নিতান্তই কম না ৬০%-৭০% প্রশ্ন এমন আছে। তাই আপনাকে টার্গেট করতে হবে যে প্রশ্নগুলো বেশি রিপিট হচ্ছে তা ভাল করে পড়ার।আপনি জব'সপাসওয়ার্ড (All in one) বইয়ের দ্বিতীয় সংস্করণ বইয়ে সহজে এই বিষয়টি পাবেন।

গণিত সমস্যাঃ অনেকেই ভাবছেন বাংলা না হয় এই ভাবে পার করতে পারবো কিন্তু গণিত কি ভাবে কি হবে? যদি আপনার সমস্যা গণিত হয় আপনি প্রতিটা অধ্যায় থেকে ৯-১০টা নিয়মের গণিত শিখবেন।আপনি যদি এই ৯-১০টা নিয়মের গণিত করতে পারেন ৮০% কমন পাবেন প্রতিটা পরীক্ষায়।  জব'স পাসওয়ার্ড (All in one) বইয়ের দ্বিতীয় সংস্করণ করার সময় আমরা জব'সপাসওয়ার্ড (All in one) বইয়ের ২০২০ সালের প্রকাশিত বইয়ের সাথে ২০২১-২০২২প্রশ্ন বিশ্লেষণ করে দেখেছি।প্রতিটা পরীক্ষায় এই নিয়মগুলোই দেখা যায়।আমাদের বইয়েও বিশ্লেষণ দেওয়া হয়েছে কোন নিয়ম থেকে ২০২১ সালে কত প্রশ্ন কমন এসেছে, কোন নিয়ম থেকে ২০২২ সালে কত প্রশ্ন কমন এসেছে।যাতে আপনি সহজে নির্বাচন করতে পারেন কোন নিয়ম আপনাকে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। 

ইংরেজি সমস্যাঃ ইংরেজি দেশের বেশিরভাগ শিক্ষার্থীদের বড় সমস্যা।অনেকেই আছে ভয়েই হাত দিতে চায় না। এর একটা বড় কারণ আমার মনে হয় বাজারের বড় বড় বইয়ের প্রতিযোগিতা।এক একটা ইংরেজি বই ১২০০-১৪০০পৃষ্ঠা। এমনিতেই ইংরেজিতে দূর্বল তার উপরে এতো বড় বই।কম পড়ে ভাল করতে চাইলে গ্রামারের ক্ষেত্রে নিয়ম পড়তে হবে।আপনি যদি উদাহরণ পড়ে হুবহু কমন পেতে চান তাহলে আপনাকে মহাসমুদ্র পারি দিতে হবে।আপনি জব'সপাসওয়ার্ড (All in one) বইয়ের দ্বিতীয় সংস্করণ পড়তে পারেন এতে সহজে আপনি বুঝতে পারবেন কোন নিয়ম  থেকে কত মার্ক কমন আসতে পারে।২০২১-২০২২ সালের বিশ্লেষণ দেখতে পাবেন।এই অংশ যত গুরুত্বপূর্ণ তার থেকেও বেশি গুরুত্বপূর্ণ মূখস্ত বিদ্যা যেমন, spelling, vocabulary, idiom Pharse, preposition etc এই বিষয়গুলোর জন্যও জব'সপাসওয়ার্ড (All in one) বইয়ের দ্বিতীয় সংস্করণ বইয়ে থাকছে স্পেশাল শর্ট সাজেশন। প্রতিটা অধ্যায়ের শেষে পরীক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ শর্ট সাজেশন পাবেন।এই অংশগুলো ভালভাবে শেষ করতে পারলে প্রতিটা পরীক্ষায় আপনি অনেক সহজেই অনেক বেশি মার্ক কমন পাবেন। 

আশাকরি বইটি আপনার লাইফ পরিবর্তনে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা পালন করবে।ছোট একটা বইয়েই বাংলা ব্যাকরণ, বাংলা সাহিত্য, গণিত, সাধারণজ্ঞান বাংলাদেশ, সাধারণ জ্ঞান আন্তর্জাতিক, ইংরেজি, বিজ্ঞান, কম্পিউটার সব বিষয়গুলো নিয়ে সাজানো ।প্রতিটা পরীক্ষায় সবচেয়ে বেশি কমন আসে এবং আসবে এমন তথ্যে সাজানো এবং রিভিশনের জন্য অধ্যায়ের শেষ প্রয়োজনীয় রিভিশন টিপশ ও শর্ট সাজেশন দেওয়া আছে এমন কি ২০২১-২০২২সালে অধ্যায় থেকে কত মার্ক কমন এসেছে বা কোন নিয়ম থেকে কত মার্ক কমন আছে তাও বিশ্লেষণ করা বাজারে একমাত্র নতুন বই।

আপনার লক্ষ্য সরকারি চাকরি অর্জন করতে আপনার প্রয়োজন বেসিক বিষয়ে জ্ঞান অর্জন যা আপনার প্রতিটা পরীক্ষায় ৭০-৮০% কভার করবে।তাই অন্য কোন চিন্তা বাদ দিয়ে প্রথমে ৬৫৭ পৃষ্ঠার বই আগে শেষ করুন।তারপরে নিজের পরিবর্তন নিজেই বুঝতে পারবেন।

Demo book: View Now