সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩৫ বছর ও অবসরের বয়সসীমা ৬৫ বছর করার সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি। কমিটি এ বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলেছে। বুধবার (২৭ জুন) সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ সুপারিশ করা হয়। সংসদ সচিবালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
সরকারি চাকরিতে প্রবেশে বয়সসীমা বাড়ানোর বিষয়ে বিভিন্ন মহল থেকে দাবি থাকলেও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে, এ বিষয়ে সরকারের কোনও উদ্যোগ নেই। প্রধানমন্ত্রীও এর আগে সংসদের প্রশ্নোত্তরে চাকরির বয়সসীমা বাড়ানোর দাবি নাকচ করে দিয়েছেন।
বৈঠকে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) মাধ্যমে কেন্দ্রীয়ভাবে শিক্ষক নিয়োগ পদ্ধতি বাতিল করে আগের মতো স্থানীয়ভাবে ম্যানেজিং কমিটির মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার সুপারিশ করা হয়।
কমিটি বলেছে, এনটিআরসিএ’র মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগ হলে দীর্ঘসূত্রিতা ও অনিয়মের সুযোগ থাকে। সে কারণে বিধায় এ পদ্ধতি বাতিল করার সুপারিশ করা হয়। কমিটি নিবন্ধনের মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে মৌখিক পরীক্ষা বাতিল করার সুপারিশও করে।
এছাড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির ক্ষেত্রে উপজেলার আকার, ইউনিয়ন সংখ্যা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বিবেচনা করে বাস্তব অবস্থা বিবেচনার মাধ্যমে স্কুল কলেজ সরকারিকরণের পরামর্শ দেওয়া হয়।
বৈঠকে জানানো হয়, বর্তমানে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/বিভাগ/দফতরে ‘বিশেষ অনুরোধে’ ৪ জন সচিব, ৩৬ জন অতিরিক্ত সচিব, ১১১ জন যুগ্ম সচিব এবং ২০০ জন উপসচিব তিন বছরের বেশি সময় ধরে একই কর্মস্থলে রয়েছেন।
কমিটির সভাপতি এইচ এন আশিকুর রহমানের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী, মুস্তফা লুৎফুল্লাহ, র আ ম উবায়দুল মোক্তাদির চৌধুরী, মো. আব্দুল্লাহ ও খোরশেদ আরা হক বৈঠকে অংশ নেন।