প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের জেলা পর্যায়ের মৌখিক পরীক্ষার কমিটিতে আংশিক সংশোধন করা হয়েছে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ কবির উদ্দীন স্বাক্ষরিত জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, কেন্দ্রীয় প্রাথমিক শিক্ষক নির্বাচন কমিটির ১২৬তম সভার সুপারিশ অনুযায়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণের জন্য প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ২০১০ সালের ২৭ জানুয়ারি তারিখে জারি করা প্রজ্ঞাপন আংশিক সংশোধন করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

জেলা পর্যায়ে মৌখিক পরীক্ষা বোর্ডের সদস্য হিসেবে জেলার একজন বিদ্বান, বিদ্যোৎসাহী বা অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকের (প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর কর্তৃক মনোনীত) পরিবর্তে জেলা সদরের পিটিআই, সুপারিনটেনডেন্টকে সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে।

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৪৫ হাজার সহকারী শিক্ষক পদের লিখিত পরীক্ষা তিন ধাপে নেওয়া হচ্ছে। দুই ধাপের লিখিত পরীক্ষা এরই মধ্যে শেষ হয়েছে। তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা হবে আগামী ৩ জুন

প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণ কমিটির প্রধান জেলা প্রশাসক। তাঁর নেতৃত্বে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাসহ (ডিপিইও) তিনজন বা এর বেশি সদস্য ভাইভা বোর্ডে থাকেন।

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৪৫ হাজার সহকারী শিক্ষক পদের লিখিত পরীক্ষা তিন ধাপে নেওয়া হচ্ছে। দুই ধাপের লিখিত পরীক্ষা এরই মধ্যে শেষ হয়েছে। তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা হবে আগামী ৩ জুন।

প্রথম ধাপের লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন ৪০ হাজার ৮৬২ জন। উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য ২৩ মের মধ্যে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে বলা হয়েছে। মৌখিক পরীক্ষার স্থান, তারিখ ও সময় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে। তিন ধাপে পরীক্ষা নেওয়া শেষে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের আগামী জুলাই মাসের মধ্যে নিয়োগ দেওয়া হবে বলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।

সূত্রঃ প্রথম আলো