সকল সরকারি চাকরির তথ্য সবার আগে মোবাইলে নোটিফিকেশন পেতে মোবাইলে রাখুন
Android App: Jobs Exam Alert

চাকরির পরীক্ষার্থীদের সবচেয়ে বড় ভুল কি জানেন?

উত্তরঃ অধিক বই পড়া

আপনি হয়তো ভাবছেন, এটা কি করে সম্ভব? কিন্তু এটাই সত্যি! চাকরির পরীক্ষায় ৭০-৮০% প্রশ্ন আসে কিছু নির্দিষ্ট অধ্যায় বা নিয়ম থেকে। আপনি যদি গাঁধার মতো সব বই পড়ে যান, তাহলে কি সবকিছু মনে রাখতে পারবেন? সমস্যাটা ঠিক এখানেই। অতিরিক্ত পড়তে গিয়ে আমরা প্রায়ই পরীক্ষার জন্য যা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, তা-ই ভুলে যাই। ফলস্বরূপ, ভালো ফলাফল করতে পারি না।

যদি কোনো বিষয়ে দুর্বলতা থাকে, তাহলে সেখানে আরও কৌশলগত প্রস্তুতি নেওয়া প্রয়োজন।আসলে অনেক প্রার্থী জানেই না কিভাবে প্রস্তুতি নিতে হয়।

ভুল ধারণা: প্রতিটি পরীক্ষার জন্য আলাদা প্রস্তুতি

আপনার লক্ষ্য যদি প্রাইমারি, শিক্ষক নিবন্ধন, বা মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের পরীক্ষা হয়, তাহলে আপনি কি কখনো ভেবে দেখেছেন কিভাবে প্রস্তুতি নেওয়া উচিত?

বেশিরভাগ মানুষ এই পরীক্ষাগুলোর জন্য আলাদাভাবে প্রস্তুতি নেয় বা ভিন্ন ভিন্ন বই কেনে। এটিও একটি বড় সমস্যা। কেন? কারণ আপনি কি কখনো এই পরীক্ষাগুলোর সিলেবাস দেখেছেন?

সাধারণত এই পরীক্ষাগুলোতে ৪টি বিষয়ের উপর পরীক্ষা হয়: ১. বাংলা ২. গণিত ৩. ইংরেজি ৪. সাধারণ জ্ঞান (কম্পিউটার + বিজ্ঞান)

যদি এই ৪টি বিষয়ের উপরেই সব পরীক্ষা হয়ে থাকে, তাহলে আলাদা বই পড়ার প্রয়োজন কী? আপনার মনে হতে পারে, বিষয় এক হলেও অধ্যায়গুলো হয়তো আলাদা। কিন্তু আপনি যদি লক্ষ্য করেন, দেখবেন অধ্যায়গুলোও একই! তাহলে কেন আমরা ৪-৫ বছরেও এই বিষয়গুলো আয়ত্তে আনতে পারি না? অথবা আপনার প্রশ্ন হতে পারে, সিনিয়ররা কি এটা জানে না? কেন তারা ভালো করতে পারছে না?

আসলে, তাদের পড়াশোনার কৌশল নেই, অথবা তারা বুঝতেই পারে না কিভাবে পড়তে হবে বা প্রতিযোগিতা করতে হবে। তারা যা করে, আজ এই বই, কাল ওই বই; আজ এই পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি, কাল অন্য পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি! বিশ্বাস না হলে, আপনিও তাদের জিজ্ঞাসা করে দেখতে পারেন।

সঠিক কৌশল: সহজ ও পরিকল্পিত প্রস্তুতি

তাহলে চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতি কিভাবে নেবেন? আপনার লক্ষ্য যদি প্রাইমারি, শিক্ষক নিবন্ধন বা মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের পরীক্ষা হয়, তাহলে আলাদাভাবে প্রস্তুতি না নিয়ে একটি সহজ পরিকল্পনা করতে পারেন।

মোট ৯০টি অধ্যায় টার্গেট করুন, যেখান থেকে দেশের সকল চাকরির পরীক্ষায় সর্বনিম্ন ৭০%-৮০% প্রশ্ন কমন আসে। প্রতিদিন এলোমেলো না পড়ে, অধ্যায়ভিত্তিক একটি বই শেষ করুন। পড়াকে একটি প্রতিযোগিতা হিসেবে নিন। এজন্য যে অধ্যায় পড়বেন, সেই অধ্যায়ের উপর প্রতিদিন পরীক্ষা দিতে হবে।

কেন পরীক্ষা দেবেন? কারণ আপনি যদি পরীক্ষা না দেন, তাহলে কিভাবে বুঝবেন আপনার পড়া কেমন হয়েছে বা আপনি কেমন প্রস্তুতি নিচ্ছেন? সবচেয়ে সহজ হয়, সেই অধ্যায়ের বিগত সালের সকল প্রশ্নের উপর কুইজ প্র্যাকটিস করা। চাকরির পরীক্ষায় সবচেয়ে বেশি বিগত সালের প্রশ্ন কমন আসে, তাই আপনাকে আগে এই প্রশ্নগুলো জানা উচিত। নিজেকে যাচাই করার জন্য কুইজ দিতে পারেন। এতে নিজের ভুলগুলোও ধরতে পারবেন এবং সহজেই ভালো প্রস্তুতি নিতে পারবেন।

আপনার জন্য সহজ সমাধান: জব’স পাসওয়ার্ড (All In One)

আপনি জব’স পাসওয়ার্ড (All In One) বইটি ফলো করতে পারেন। এখানে আপনি কিছু বিষয়ে সহজ সমাধান পাবেন:

  • একটি বইয়ে সকল বিষয়: এখানে বাংলা, গণিত, ইংরেজি, এবং সাধারণ জ্ঞান (কম্পিউটার + বিজ্ঞান) – সব বিষয় পাবেন।
  • ৭০-৮০% কমন: একটি বই শেষ করলেই আপনি যেকোনো চাকরির পরীক্ষায় ৭০-৮০% প্রশ্ন কমন পাবেন।
  • দৈনিক পরীক্ষা: বইয়ের সাথে কুপন কোড আছে, এই কোড দিয়ে প্রতিদিন অধ্যায়ভিত্তিক Daily Exam দিতে পারবেন। অধ্যায়ভিত্তিক কুইজ দিয়ে নিজেকে যাচাই করতে পারবেন।

এই সহজ পরিকল্পনায় আপনি নিজের অজান্তেই একটি ভালো চাকরির প্রস্তুতি নিতে পারবেন, মাত্র ৪-৫টি ধাপ অতিক্রম করে:

প্রথম ধাপ: রুটিন অনুযায়ী অধ্যায় পড়া

একটি রুটিন অনুযায়ী জব’স পাসওয়ার্ড (All In One) বইটির অধ্যায়গুলো পড়ুন। প্রতিদিন একটি করে অধ্যায় পড়বেন। এভাবে ১০০ দিনে আপনি ৯০টি অধ্যায় শেষ করবেন।

দ্বিতীয় ধাপ: অধ্যায়ভিত্তিক কুইজ টেস্ট

অধ্যায় পড়ার পর সেই অধ্যায়ের উপর ১০০-২০০টি কুইজ প্রশ্ন পাবেন। আপনার পড়া কেমন হলো, তা যাচাই করার জন্য এই কুইজ টেস্ট দিন। এতে আপনি সহজেই বুঝতে পারবেন আপনার কোন প্রশ্নগুলো ভুল হচ্ছে।

তৃতীয় ধাপ: ভুলগুলো চিহ্নিত ও সংশোধন

ভুলগুলো আলাদাভাবে তালিকাভুক্ত করা থাকবে। পরবর্তীতে সেই ভুলগুলো আরও ভালোভাবে দেখুন। চাইলে যে বিষয়গুলো বারবার ভুল হচ্ছে, সেগুলো নোট করে রাখুন যাতে ভবিষ্যতে আর ভুল না হয়।

চতুর্থ ধাপ: ডেইলি এক্সামে অংশগ্রহণ

সারাদিনের প্রস্তুতিকে সবার সাথে তুলনা করার জন্য Daily Exam-এ অংশগ্রহণ করুন। এতে আপনার সেই অধ্যায়ের পড়া কেমন হয়েছে, তা অন্য প্রার্থীদের তুলনায় সহজেই বুঝতে পারবেন।

আপনি যদি এইভাবে ৯০টি অধ্যায় শেষ করতে পারেন, তাহলে যেকোনো চাকরির পরীক্ষায় সর্বনিম্ন ৭০-৮০% প্রশ্ন কমন আসবেই। আপনার মনে হতে পারে, বাকি ২০% এর জন্য কী করতে হবে? এর মধ্যে ১০% প্রশ্ন নতুন হতে পারে, যা কারোই কমন আসবে না। আর বাকি ১০% সাম্প্রতিক তথ্যের উপর থাকতে পারে।

তবে আপনার উচিত হবে প্রথমে ৭০-৮০% অংশ কভার করা, যাতে শুধু টাকা নষ্ট করে পরীক্ষার হলে যেতে না হয়। আপনি যদি এই বইটি আমাদের দেওয়া ধাপ অনুযায়ী শেষ করতে পারেন, তাহলে নিজের পরিবর্তন নিজেই লক্ষ্য করতে পারবেন।

সর্বশেষ অনুষ্ঠিত ২০২৫ সালের প্রশ্নের সমাধান এবং কমন প্রশ্নের বিশ্লেষণ পিডিএফ দেওয়া হলো। বইটি শেষ করার জন্য একটি রুটিনও দেওয়া হলো। আগামী ২৫-০৬-২০২৫ তারিখ থেকে নতুন ব্যাচ শুরু হবে।

আপনার চাকরির প্রস্তুতিকে আরও কার্যকর করতে এই পরামর্শগুলো কাজে লাগাতে পারেন। শুভকামনা!

বইটি পাবেন  আপনার জেলা শহরে  যে যে লাইব্রেরিতেঃ

https://studyonlinebd.com/user/jobs-circular-details/?id=19483

১০০ দিনের ফ্রি পরীক্ষার রুটিনঃ

 https://goo.su/routine

Recent Job Solution 2025 PDF:  

https://goo.su/Recent2025