পিএসসিতে নন–ক্যাডারে শূন্য পদের তালিকা এলে কীভাবে কী করা হবে, এ বিষয়ে জানতে চাইলে সোহরাব হোসাইন বলেন, ‘তালিকা এলেই সব পদ নন–ক্যাডারে সরাসরি নিয়োগ দেওয়া যায় না। কিছু কিছু পদ আছে, যা প্রার্থীদের যোগ্যতার সঙ্গে যায়। আবার কিছু কিছু পদ আছে, যেগুলো যোগ্যতায় নন–ক্যাডারে অপেক্ষমাণ প্রার্থীদের সঙ্গে মেলে না। বিশেষ করে, কারিগরি কিছু পদের ক্ষেত্রে এমন হয়। সরাসরি যোগ্যতা যখন মেলে না তখন আমরা সেই পদগুলো আলাদা করব। এটি আলাদা করার পর এসব পদে নিয়োগের জন্য আলাদা বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে ও আলাদাভাবে নিয়োগ হবে।’

 

৪৫তম বিসিএস থেকেই ক্যাডারের মতো নন–ক্যাডারেও পছন্দের সুযোগ রাখার জন্য কাজ করে যাচ্ছে পিএসসি। এ জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠিয়েছে পিএসসি।

পিএসসি চেয়ারম্যান আরও বলেন, এই আলাদা করতে পিএসসিকে আলাদাভাবে সময় দিতে হয় ও সবকিছু সঠিকভাবে মূল্যায়ন করতে হয়। এরপরও পিএসসি নিয়মিত কাজের বাইরে এই বিষয় নিয়ে কাজ করছে। যত বেশি সংখ্যায় প্রার্থীকে পিএসসির মাধ্যমে নিয়োগ দেওয়া যায় সে জন্য কাজ করছে পিএসসি।

পিএসসি সূত্র জানায়, নন–ক্যাডারে নিয়োগ শুরু হওয়ার পর এর সুবিধা ভোগ করছেন বিসিএস পরীক্ষায় পাস করা প্রার্থীরা। যাঁরা বিসিএসে পাস করেও ক্যাডারে পদ পান না, তাঁদের নন–ক্যাডারে রাখা হয়। সেখান থেকে মেধার বিবেচনায় ও শূন্য পদের তালিকায় থাকা সাপেক্ষে ৯ থেকে ১২ গ্রেডের বিভিন্ন চাকরির সুপারিশ করে পিএসসি।

সবশেষ বেশ কয়েকটি বিসিএস থেকেই নন–ক্যাডার নিয়োগ পেয়েছেন। কোনো কোনো বিসিএসে নন–ক্যাডারের তালিকায় থাকা বেশির ভাগ প্রার্থীই চাকরি পেয়েছেন।

আরও পড়ুন

সুত্রঃ প্রথম আলো- ১৪-০৮-২০২২